ডাক দোহাই দিলে তার উপর নেমে আসত শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন। চলতি বছরের প্রথম দিকে স্বামী ফারম্নক মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে এসে স্ত্রীর বোসামাল চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে জেসমিন সকলের অগোচরে ঘরের মূল্যবান মালামাল নিয়া পিত্রালয়ে চলে যায়। পরে স্বামীসহ কয়েক আত্মীয়ের বিরম্নদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। যাহা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলা দায়েরের কিছুদিন পর স্বামী ফারম্নক বিদেশ চলে যায়।
তার পর থেকে স্ত্রী জেসমিন আক্তার পিত্রালয় থেকে মাঝে মধ্যে স্বামীর বাড়িতে এসে ঘর থেকে মূল্যবান মালামাল জোর পূর্বক নিয়া যেত। কিন্তু তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টি নীরবে হজম করত। অবশেষে গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে জেসমিন আক্তার তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ একটি ট্রাক নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে আসে। বাড়িতে প্রবেশ করেই ফিল্মি ষ্টাইলে ঘরের সমূদয় ফার্নিসার, ক্রোকারিজ সামগ্রী, সোনা গহনা, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী পরিধেয় বস্ত্রসহ ঘরে থাকা মূল্যবান সমূদয় মালামাল নিয়ে যায়। ঘটনায় আকষ্মর্িকতায় শ্বাশুড়ি হতভম্ব হয়ে বাধা দেয়।
এতে জেসমিন আক্তার ৰিপ্ত হয়ে শ্বাশুড়ির দু'হাতে কামড়িয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। এতে শ্বাশুড়ি অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে মাহমুদা আক্তার মৃতু্য যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। এ ব্যাপারে মাহমুদা আক্তার বাদি হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।