৭১ এর রাজাকার নিপাত যাক। আসুন আমরা সবাই দেশের রাজনৈতিক নেতাদের মত না হয়ে, দেশকে ভালোবাসি-দেশপ্রেমিক হই.......
বিশ্বের প্রাচীনতম ও সবচে বিখ্যাত বিস্ময় !
গিজার পিরামিডকে বলা হয় বিশ্বের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে বিখ্যাত বিস্ময়। এটি বিশ্বের প্রাচীন যে সাতটি বিস্ময় ছিল তার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন এবং একমাত্র বিস্ময়, যা এখনো টিকে আছে। একে গিজার পিরামিড ছাড়াও খুফুর পিরামিড এবং চেপসের পিরামিডও বলা হয়।
২০ লাখেরও বেশি ব্লক পাথর দিয়ে এই পিরামিডটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
এর নির্মাণে ২০ বছরের বেশি সময় লেগেছে এবং ধারণা করা হয় ২৫৬০ খ্রিস্টপূর্ব নাগাদ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। প্রথম দিকে এর উচ্চতা ছিল ৪৮০.৬ ফুট। এটি প্রায় ৩ হাজার ৮০০ বছর ধরে মানুষের তৈরি সবচেয়ে উঁচু স্থাপত্য হিসেবে নিজের গৌরব ধরে রেখেছিল।
ধারণা করা হয়, মিশরের চতুর্থ ফারাও সম্রাট খুফুর সমাধিস্থল এটি।
মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য !!
চীনের মহাপ্রাচীরকে বলা হয় মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য।
খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতক থেকে ষোড়শ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চীনের উত্তর সীমান্ত রক্ষার জন্য পাথর ও মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল অনেকগুলো দীর্ঘ প্রাচীর সারি। এর মধ্যে ২২০ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াঙের আদেশে নির্মিত প্রাচীরটিই সবচেয়ে বিখ্যাত। এটি বর্তমান প্রাচীরের অনেক উত্তরে অবস্থিত এবং এর খুব সামান্যই এখনো অবশিষ্ট আছে। বর্তমান প্রাচীরটি নির্মিত হয়েছে মিং রাজবংশের শাসনামলে।
এই প্রাচীরের উচ্চতা ৫ থেকে ৮ মিটার আর লম্বায় ৬ হাজার ৫৩২ কিলোমিটার ।
এটির শুরু হয়েছে সাংহাই পাস থেকে এবং শেষ হয়েছে লোপনুর নামের একটি জায়গায়।
এই প্রাচীরটির মূল অংশের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ২০৮ সালের দিকে। শুরু করেছিলেন চৈনিকরা, কিং সাম্রাজ্যের সময়। চীনের প্রথম সম্রাট কিং শি হুয়াং এটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। তিনি শত্রুর হাত থেকে নিজের সম্রাজ্য রক্ষার জন্য দীর্ঘ করে নির্মাণ করেছিলেন।
সুরক্ষিত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত দুর্গনগরী !!!
জর্ডানের পেত্রা নগরী একটি প্রাচীন আরব শহর। পেত্রা নগরী ছিল মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ। আর এটি বিখ্যাত ছিল এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলোর কারণে।
বর্তমান জর্দানের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা ওয়াদি মুসার ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদদেশে এটি অবস্থিত। ৪০০ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতাইন রাজ্যের রাজধানী।
এটি তৈরি গুহার অভ্যন্তরে, যা কোথাও কোথাও মাত্র ১২ ফুট চওড়া আর মাথার ওপর পাথরের দেয়াল। গুহার পাশেই কঠিন পাথুরে দেয়ালের গায়ে গ্রথিত সেই সব প্রাচীন দালান, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ‘খাজনেত ফিরাউন’ নামের মন্দিরটি। এই মন্দিরটি ফারাওদের ধনভান্ডার নামেও পরিচিত। এছাড়া আছে অর্ধগোলাকৃতি একটি নাট্যশালা, যেখানে প্রায় ৩ হাজার দর্শক একসাথে বসতে পারে।
পেত্রা ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নগরী ।
এর চারধারে ছিল উঁচু পাহাড় আর একটি ঝরনাধারা।
গাজা, বসরা ও দামাস্কাস, লোহিত সাগরের পাশের আকুয়াবা ও লিউস এবং মরুভূমি দিয়ে পারস্য উপসাগরে যাওয়ার সব প্রধান বাণিজ্যপথগুলো নিয়ন্ত্রণ করত এই নগরী।
বহু বহু বছর অজানা থাকার পর এই প্রাচীন নগরীটিকে ১৮১২ সালে পৃথিবীর কাছে উন্মোচন করেন সুইস পরিব্রাজক জোহান লুদভিগ বুর্খার্দত। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো একে ‘বৈশ্বিক ঐতিহ্য’ ঘোষণা করে ।
সম্পদ, সংস্কৃতি আর ক্ষমতায় এককালে পেত্রা যে কত সমৃদ্ধ ছিল তা এর ধ্বংসাবশেষ থেকেই টের পাওয়া যায়।
ইনকাদের হারানো শহর !!!!
পেরুর মাচু পিচু হচ্ছে সম্ভবত ইনকা সভ্যতার সবচে পরিচিত নিদর্শন, যাকে ‘ইনকাদের হারানো শহর’ বলা হয়।
মাচু পিচু কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের আগের সময়ের একটি ইনকা শহর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ২৪০০ মিটার বা ৭,৮৭৫ ফুট। এটি পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকার একটি পর্বতচূড়ায় অবস্থিত। ১৪৫০ সালের দিকে শহরটি নির্মিত হয়।
তবে এর একশ বছর পর এটি পরিত্যাক্ত হয়, যখন ইনকা সভ্যতা স্পেনের হাতে আক্রান্ত হয়।
বহুদিন অজ্ঞাত থাকার পর হাইরাম বিংহাম নামের একজন মার্কিন ঐতিহাসিক ১৯১১ সালে এটিকে আবার বিশ্বের নজরে নিয়ে আসেন। ১৯৮১ সালে একে পেরুর সংরক্ষিত ঐতিহাসিক এলাকা হিসেবে এবং ইউনেস্কো ১৯৮৩ সালে একে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। মাচু পিচু বর্তমান নতুন সপ্তাশ্চর্যেরও একটি।
সূত্র: অনেক.......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।