আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাপে ভরা বিস্ময়কর 'স্নেক টেম্পল'

'সর্প মন্দির' শুনলেই মনে বিস্ময় জাগে। কেননা মন্দিরে সাপ থাকে এটা খুব একটা শোনা যায় না। কিন্তু মালয়েশিয়ার পেনাং দ্বীপে এমনই একটা মন্দির রয়েছে যেখানে দেখা যায় নানা প্রজাতির বিষধর সাপ। আকারে-প্রকারেও এই সাপগুলি বিচিত্র। মন্দির প্রাঙ্গণ তো বটেই, ভেতরের নানা গাছের ডালেও মনোহর ভঙ্গিতে আয়েশ করে ঝুলছে নানা রঙের সাপ।

আকারে, প্রকারে তারা বিচিত্র। প্রকাণ্ড অজগরের পাশাপাশি আছে হাতের আঙুলের চেয়েও চিকন সাপ। গায়ের বর্ণিল রং তো রীতিমতো চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। এই মন্দিরটিই বিশ্বের মানুষের কাছে 'স্নেক টেম্পল' বা 'সর্প মন্দির' নামে পরিচিত।

'সর্প মন্দির' প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্পটি চমৎকার।

পেনাং দ্বীপের অধিকাংশ অধিবাসীই চীনা ও ভারতীয় অভিবাসী। তাদের অনেকের বিশ্বাস, কয়েকশ' বছর আগেও পেনাং ছিল জঙ্গলময়। নবম শতাব্দীতে জঙ্গলে বাস করতেন এক বৌদ্ধ ভিক্ষু। চর সু কং নামের এ ভিক্ষুই ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রক্ষা করেছিলেন সাপগুলো। দিয়েছিলেন আশ্রয়, বেঁচে থাকার জন্য সেগুলোকে খাদ্য দিতেন।

এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর নামেই এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫০ সালে। মন্দিরের মূল প্রার্থনা কক্ষে প্রতিষ্ঠাতার মূর্তি বসানো আছে। তবে মজার ব্যাপার হল সর্প মন্দিরের প্রকৃত নাম 'টেম্পল অব দি আজিউর ক্লাউড'। পেনাংয়ের অপরূপ সুন্দর নীল আকাশের সঙ্গে তুলনা করে রাখা হয়েছে নামটি। কিন্তু মানুষের মুখে মুখে এর নাম হয়ে যায় 'সর্প মন্দির'।

মালয়েশিয়ার পেনাং দ্বীপে নেমে বায়ান লেপাস বিমানবন্দর পেরিয়ে একটু সামনে এগোলেই সানগাই ক্লুয়াং অঞ্চল। এখান থেকে বাসে করে যেতে হবে 'সর্প মন্দির'। এশিয়া ছাড়াও বিশ্বের নানা দেশ থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরা মনোবাসনা পূরণ করার জন্য, আবার অনেকে বেড়ানোর জন্য যান সাপের মন্দিরে। এভাবে এটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠেছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষ বাসস্ট্যান্ড থেকে মন্দির পর্যন্ত সারাটা পথ নানা অলৌকিক ঘটনার দেয়ালচিত্রে ভরিয়ে দিয়েছেন।

আসল মজা পাওয়া যায় মন্দিরের ভেতরে ঢোকার পর। সেখানকার পরিবেশ এমনই অন্যরকম যে চমকে উঠতে হবে অতি সাহসী মানুষটিকেও। মন্দিরের ঠিক সামনেই বসানো আছে ধূপ পোড়ানোর বড় একটি পাত্র। প্রতিদিন ধূপের ধোঁয়া মেখে সর্প দেবতার কাছে মনোবাসনা জানান অসংখ্য পুণ্যার্থী। অবশ্য সন্দেহবাদীরা বলেন, ধূপের ধোঁয়ার উৎকট গন্ধেই বেশির ভাগ সময় নিথর হয়ে পড়ে থাকে বিষাক্ত সাপগুলো।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।