আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের ভালো নিয়ে মাথাব্যাথা কি সবযুগে বিরোধী-দলেরই থাকবে???

বম ভোলানাথ আজিব এক দেশে বাস করি আমরা। মেজাজ চরম খারাপ হয় যখন দেখি দেশের শীর্ষস্থানীয় দলদুটি একই হাড়ির ভাত। একটা টিপলেই বুঝা যায় আর সবাই কেমন। টিপাইমুখে বাঁধ নির্মান করছে ভারত। ভালো কথা।

ভারতের অধিকার আছে তার সীমানায় যেকোন স্থানে যেকোন স্থাপনা নির্মানের। আর চামে যদি ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায় তবে তো সোনায় সোহাগা। বাংলাদেশ ভাটির দেশ [টিপাইমুখের হিসাবে]। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের অধিকার আছে যাতে তারা পানির প্রাপ্যতার উপর নজর-দারি করতে পারে। স্বাভাবিক হিসাব বলে ভারত চাইবে বাঁধ করতে আর বাংলাদেশ চাইবে বাঁধ তৈরীর কাজে বাধা দিতে।

ভারত স্বাভাবিক কাজ করছে। তারা বাঁধ নির্মানের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। যেন ঐ ১৫০০ মে.ও. বিদ্যুৎ না হলে ভারত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আজিব চিত্র বাংলাদেশে।

এখানে মানুষ এখন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছে। এক দল বলছে বাঁধ হলে বাংলাদেশে উটের রাখাল হওয়ার চাকরি নিতে লাইন পড়ে যাবে। আর এক দল বলছে অন্যে কি করল তা নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভালো। নইলে তিব্বত কদুর তেলের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যেতে পারে। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে প্রথম দলই দেশের জন্য জানপ্রাণ দিয়ে খাটছে।

আর প্রথম দল ভারত-চামচামির ব্রডম্যানিয় টেস্ট ক্রিকেটে রানের গড়ের মতই অস্পর্শনীয় রেকর্ড স্থাপন করতে চাচ্ছে। ওকে সবই ঠিক। কিন্তু সমস্যা হল যে অবস্থান নির্দিষ্ট না। কিন্তু যে পায় সুযোগ, সেই খুলে ফেসবুক এর মত যে যায় বিরোধী দলে সেই হয় দেশ-প্রেমিক। সরকার দলে গেলেই সেই দল হয়ে যায় দেশ-বিরোধী।

ভারত সরকার যেখানে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মানের জন্য চুক্তি করে ফেলেছে সেখানে আমাদের সরকার বলছে যে আসলে সেখানে বহুমুখী জলাধার হচ্ছে। কোন বাঁধ হচ্ছেনা। পানিসম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী বলছে যে ওটা আসলে ওদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। ওতে নাক গলানো ঠিক হবেনা। কিন্তু বাঁধ নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান NHPC বলছে ভিন্ন কথা।

ওরা বলছে যে আসলে ওখানে 162.80 m high Rockfill Dam with central impervious Core হচ্ছে। কেউ কি জানেন ড্যাম শব্দের অর্থ কী? বাংলাদেশের পরের রাষ্ট্রে ঘুরে বেড়ানো বিষয়ক মন্ত্রীর অবশ্য সুনাম আছে আগ বাড়িয়ে অন্য দেশের হয়ে কোন কথার ব্যাখ্যা দেয়ার। আমরা আশা করছি দুই-পাঁচ বছরের মধ্যে উনি সাহেবা আমাদের লিপজেলের বিক্রি বাড়িয়ে দেয়ার মত ব্যাখ্যা দিবেন[শীতে ফেটেছে ঠোঁট? হাসিতে নেই চোট? লাগাও পচাঁ শুকটির গন্ধওয়ালা বাখখান কোম্পানির লিপজেল। একা একা প্রাণভরে হাসো। কেউ কাছে ঘেষবে না।

]। যাক, যেজন্য এসব ফালতু [শাব্দিক এবং ভাবগত উভয়ার্থেই] প্যাচাল তার কারন হচ্ছে, আমি আজ শাবিপ্রবিতে গিয়েছিলাম একটু [জীবনে প্রথমবার]। তো বেলা একটা দেড়টার মধ্যে আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করলাম জাতীয় ছাত্র দল এই ব্যানারে ১০-১২ জন ছাত্র টিপাইমুখ মানিনা বলে স্লোগান দিচ্ছে। যেন এই ১০-১২ জন টিপাইমুখ প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েই জন্মেছে। আর সবাই সারা গা থেকে সাবান ডলে দায়-দায়িত্ব তুলে ফেলেছে।

ভালো। গায়ে ময়লা না থাকা অবশ্যই ভালোত্বের লক্ষন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.