আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফোনে ফোনে

Shams একবার এক ছেলের মোবাইলে অপরিচিত নাম্বার থেকে একটা কল এলো!! মেয়ে : তোমার কি বৌ আছে?? ছেলে : না নাই, তুমি কে?! মেয়ে : আমি তোমার বৌ!! খবর আছে তোমার!! বাসায় এসে তোমার খবর নেব আমি!! ছেলেটা তো চিন্তায় অস্থির!! কিছুক্ষণ পর ছেলেটার মোবাইলে আবার একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এলো। মেয়ে : তোমার কি বৌ আছে?? ছেলে : হাঁ আছে!! আমি বিবাহিত। মেয়ে : কী?!!!! আমি তোমার গার্লফ্রেন্ড! তুমি আমার সঙ্গে এমন প্রতারণা করতে পারলে! ওহ মাই গড! ছেলে : না, নাঃ না, জান সরি!! আমি ভেবেছি তুমি ওই মোটা মেয়েটা যে সারা দিন ডিস্টার্ব করে!! রাগ করো না লক্ষ্মীটি!! মেয়ে : হ্যাঁ, তুমি ঠিক ধরেছ!! আমি সেই মোটা মেয়েটা যে সারা দিন ডিস্টার্ব করে!! বাসায় এস!! আজকে তোমার খবর আছে!! এই হল ফোনের অবস্থা! ছেলেবেলায় ইংরেজি বইয়ে পড়েছে পেনফ্রেন্ড এখন দেখছি ফোনফ্রেন্ড আর ফেসবুকফ্রেন্ড। ফেসবুকফ্রেন্ড ক আর খ-এর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ক একসময় অনেক বড় চাকরি পেল।

সে খ-কে বিয়ে করতে চায়, কিন্তু মুখোমুখি গিয়ে সে কথা বলার সাহস পায় না। একদিন সাহস করে সে খ-দের বাড়িতে টেলিফোন করল। ক : খ বলছ? খ : বলছি। ক : খ, অনেকদিন ধরে তোমাকে একটা কথা বলব ভাবছি, কিন্তু বলা হয়ে উঠছে না। আমাদের সম্পর্ক তো অনেকদিন হল।

এবার আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে রাজি আছ, প্রিয়তমা? খ : অবশ্যই প্রিয়তম! কিন্তু। ক : কিন্তু কী? খ : তুমি যেন কে? ফোনে তো অনেকে চিনতে পারে না। আবার অনেকে তো চেনাতেও পারে না। যেমন ধরুন ক্রিংক্রিং বেজে উঠল শিক্ষকের টেলিফোন।

শিক্ষক : হ্যালো। অপর প্রান্ত থেকে : শুনুন, আমার ছেলের গায়ে ভীষণ জ্বর। ও আজ স্কুলে যেতে পারবে না। শিক্ষক : আপনি কে বলছেন? অপর প্রান্ত থেকে : আমি আমার বাবা বলছি! আমেরিকায় পাঁচ হাজার বছর আগের ভূস্তরে একটা টেলিফোনের তার পাওয়া গেল। আমাদের বিজ্ঞানীরা বললেন এতে আশ্চর্যের কী আছে, আমাদের দেশে চল।

তো আমেরিকান বিজ্ঞানীরা এলেন আমাদের দেশে। বিস্তর খোঁড়াখুঁড়ি হল। কিছুতেই কোথাও কিছু পাওয়া গেল না। আরও খোঁড়াখুঁড়ির পর প্রায় ১০ হাজার বছর আগের গভীর ভূত্বক পর্যন্ত গিয়েও কিচ্ছুটি পাওয়া গেল না। আমেরিকান বিজ্ঞানীরা হাসাহাসি করতে লাগলেন।

‘কী হল বাংলাদেশী বিজ্ঞানী? তোমাদের দেশে টেলিফোনের তার পেতে হলে খোঁড়ার দরকার হবে না, মাটির উপরেই পাওয়া যাবে। ’ চূড়ান্ত অপমান। সবাই অপমানের একশেষ। কী করা যায়! তখন ডাকা হল ড. আবুলকে। উনি গিয়ে আমেরিকান বিজ্ঞানীদের বললেন, ‘কী ব্যাপার, এখনও আপনারা কিছু বুঝতে পারছেন না?’ ‘কী বুঝব? বোঝার আর আছেটা কী?’ ড. আবুল : ‘এই জন্যই বলে যে আমেরিকানরা মাথা মোটা।

আরে সাহেব আমাদের দেশে ১০ হাজার বছর আগেই লোকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত যেঃ তাই খোঁড়াখুঁড়ি করে পাবেন কিছু?’ যুগের সঙ্গে সঙ্গে কত কিছু বদলায় কিন্তু বদলায় না ফোনো ফোনি : শীতের দিন ভোর ৫টায় বেজে উঠল করিম সাহেবের টেলিফোন। ঘুম থেকে উঠে ফোন ধরলেন তিনি। করিম সাহেব : হ্যালো। অপর প্রান্ত থেকে রাগত কণ্ঠস্বর : আমি আপনার প্রতিবেশী বলছি। আপনার কুকুরটা দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করছে।

তার যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারছি না। করিম সাহেব বিনয়ের সঙ্গে তার প্রতিবেশীর নাম ও ফোন নম্বর জেনে নিয়ে ফোন রাখলেন। পরদিন ভোর ৫টায় প্রতিবেশীকে ফোন করলেন করিম সাহেব, ‘শুভ সকাল। আপনাকে জানাতে ফোন করেছি যে আমার কোন কুকুর নেই। ’ টেলিফোন থেকে মোবাইলে যাওয়ার পরে সম্ভবত অনেকে ভুলে গেছে কে কোথায় ফোনটা ধরেছে।

যেমন এক লেখকের কাছে এক বিরক্ত করা ভক্ত ফোন করে বলছে আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য বাসায় আসি। লেখক মহাশয় বলেন আমি তো বাসার বাইরে। পরে এস। কলটা কাটার পরে তিনি লক্ষ্য করেন ফোনটা মোবাইলে নয় ল্যান্ডফোনে এসেছিল। এমন ভুল বা সঠিক বোঝাবুঝি চলে অনেক জায়গায় যেমন : প্রেমিক-প্রেমিকার চরম ঝগড়া হওয়ার পর দু’জন বাড়ি চলে গেল।

কিছুক্ষণ পর প্রেমিকের দেয়া এসএমএস : ১৫ মিনিট পর : সরি ৩০ মিনিট পর : প্লিজ, সরি ১ ঘণ্টা পর : জান খালি একবার কথা বল!! ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর : প্লিজ এত রাগ করো না জান!!! ২ ঘণ্টা পর : আমি সত্যি সরি জান, আমার সঙ্গে কথা নয় আমি আÍহত্যা করব! ৩ ঘণ্টা পর প্রেমিক যখন এসএমএস টাইপ করছিল: ‘যা ভাগ, তোর মতো একশ’ মাইয়া আমার পিছে ঘোরে, তুই মর গিয়া!!! ঠিক তখনই সে একটা এসএমএস পেল প্রেমিকার কাছ থেকে : ‘মোবাইলে ব্যালেন্স ছিল না তাই রিপ্লাই দিতে পারিনি!!’ প্রেমিকের রিপ্লাই : উপস!!! ঠিক আছে জান, আই লাভ ইউ!!! সবচেয়ে আজব ফোন বেশি আসে পত্রিকা অফিসে না পুলিশ স্টেশনেÑ এ নিয়ে তর্ক হতে পারে, যেমন পত্রিকা অফিস সারা দিন খোলা থাকে না, আর পুলিশ স্টেশনে ফোন করতে সাহস অথবা ভয়ংকর বিপদ লাগে। টেলিফোন বেজে উঠল পুলিশ অফিসে। রিসিভার তুলতেই শোনা গেল, ‘বাঁচান! বাঁচান!’ ‘এক্ষুনি রওনা হচ্ছি। কী হয়েছে বলুন। ’ ‘ঘরে বেড়াল ঢুকেছে,’ উত্তর এলো অপর প্রান্ত থেকে।

‘এই ফালতু কারণে পুলিশকে কেউ জ্বালাতন করে! কে আপনি?’ ‘তোতাপাখি। ’ ফোনের উৎপত্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রেমের জন্য ফোন হয়ে পড়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে হঠাৎ একটা মেয়েকে ভালো লেগে গেল তানিমের। পায়ে পায়ে মেয়েটির কাছে এগিয়ে গেল সে। ‘মাফ করবেন, আমি কি আপনার টেলিফোন নাম্বারটা পেতে পারি?’ মেয়ে : টেলিফোন নির্দেশিকায় খোঁজ করুন, পেয়ে যাবেন।

তানিম : কিন্তু, আপনার নামটা? মেয়ে : নাম্বারের সঙ্গে নামটাও নির্দেশিকায় দেয়া আছে, বোকা! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.