এক বিয়েবাড়িতে একটি মেয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সে আমার দূরসম্পর্কের আত্মীয়, বিবাহিতা। তার স্বামী বিদেশে থাকে। ওই দিন সে আমার মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে যায়। এর পর থেকে ফোনে তার সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হতো।
তার দাবি একটাই, সে আমার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক করতে চায়। এক দিন আমার সঙ্গে কথা বলতে না পারলে পাগলের মতো হয়ে যায়। তার এত আগ্রহ দেখে আমি তাকে অবহেলা করতে থাকি।
কারণ, আমি চাই না, তার সংসার আমার জন্য ভেঙে হয়ে যাক। গ্রামাঞ্চলে এমন বন্ধুত্বের সম্পর্ক কেই বা ভালো চোখে দেখবে।
সে এক দিন বলে, ‘তুমি আমাকে এড়িয়ে চলো কেন? আমি তোমাকে কখনো বলব না আমাকে বিয়ে করার জন্য। তুমি শুধু আমার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখো। ’
এর পর থেকে আবার তার সঙ্গে কথা বলা শুরু। বারবার অনুরোধ করার পর কিছুদিন আগে আমি তার বাসায় যাই। ওই দিন বাসায় আর কেউ ছিল না।
একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়ে যায়। এর পর থেকে আমার মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে। এখন যদি তার সঙ্গে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করি, তাহলে সে হয়তো আমাকে স্বার্থপর ভাববে। আবার যদি সম্পর্ক রাখি, আর ভবিষ্যতে যদি এ রকম ভুল হয়ে যায় বা তার স্বামী কোনোমতে টের পেয়ে যান, তাহলে কী হবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
আরো একটা মেয়ের কথা শুনেন। এটা অবশ্য দেশী কেস।
আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। দশম শ্রেণী থেকে আমার সঙ্গে একজনের সম্পর্ক আছে। কিন্তু সে বিবাহিত এবং সন্তানের বাবা। আমি অবিবাহিত, এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে একাধিকবার আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। আমি জানি, এ সম্পর্ক সমাজ, এমনকি আমার পরিবারও মেনে নেবে না।
দশম শ্রেণীতেই সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব করলে আমি তাকে ফিরিয়ে দিই। তার মাস খানেক পরেই সে বিয়ে করে।
তারপর যে কীভাবে তার সঙ্গে এমন হলো, নিজেও বুঝতে পারিনি। আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। তাই তাকে আমি কোনো প্রকার জোর করি না।
জানি, আমি তার স্ত্রীকে ধোঁকা দিচ্ছি। কিন্তু তাকে কোনোভাবেই ভুলতে পারছি না। আমিই তাকে অনেকবার বলেছি দূরে থাকতে। দেখা যায়, আমি নিজেই থাকতে পারি না।
এ জন্য কয়েকবার ব্লেড দিয়ে হাত কেটে কষ্টটা ভুলতে চেয়েছি।
পরক্ষণেই দেখা যায়, আমি তার সঙ্গে আবার কথা বলি। সেও আমাকে ভালোবাসে। আমি দুবার সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে সে আমাকে গর্ভপাত করাতে সাহায্য করে। আমি তার কাছ থেকে সব রকমের সহায়তা পাই। তাকে যখন ভুলে যেতে বলি, সে খুব কান্নাকাটি করে।
জানি, দুজনেরই উচিত দূরে সরে যাওয়া। কিন্তু কেউই আমরা পারছি না। মাঝেমধ্যে নিজেকে খুব খারাপ মেয়ে মনে হয়। আমি এখন কী করব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
প্রেম ভালোবাসার সাথে শারিরীক সম্পর্কের পরিমাণটা এখন মনে হয় অনেক বেড়ে গেছে। অনেকেই হয়ত এটাকে সাধারণ ব্যাপারই মনে করছে।
পরকীয়া কখনো ভালো নয়। এটাতে শুধু শারিরীক আনন্দই আছে, আর কিছু নয়। সবসময়ই জটিলতা দিয়েই সমাপ্তি হয়। অনেক সময় হয়ত সমাপ্তি বলে কিছুই আর থাকে না।
আর যারা বিদেশে থাকেন, দয়া করে বউয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন, শারিরীক এবং মানসিক।
টাকা পয়সাই জীবনের সব না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।