নেট ছাত্রীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যন্ড কলেজে শুরু হলো প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন ফরম বিক্রি। সোমবার প্রথম দিন সকল শাখায় ফরম বিক্রি হয়েছে মোট তিন হাজার ৬৫৮টি। এর মধ্যে সিদ্ধেশ্বরীর মূল ক্যাম্পাসেই বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৬৭টি। চার দিনব্যাপী ফরম বিক্রি কার্যক্রমের আজ দ্বিতীয় দিন। এদিকে সন্তানের ভর্তি ফরম নিতে আসা অভিভাবকদের ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপৰ।
তবে একই সঙ্গে ছয়টি বু্যথে ফরম বিক্রির উদ্যোগ নেয়ায় অভিভাবকদের এবার কোন সমস্যা হবে না বলে আশ্বসত্ম করছে কর্তৃপৰ। কর্তৃপৰ একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কেউ একাধিক ফরম কিনতে পারবে না। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের প্রমাণ পেলে তার সকল আবেদন বাতিল করা হবে। ফরম পাওয়া যাবে ১৭ নবেম্বর পর্যন্ত। সোমবার ফরম বিক্রির প্রথম দিন প্রতিটি শাখাতেই ছিল অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড়।
তবে এই ভির সবচেয়ে বেশি ছিল মূল ক্যাম্পাসে। প্রভাতি শাখার ফরম নিতে অনেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ভোর রাতে। ভিড় দেখে অনেকেই চলে গেছেন ফরম না কিনেই। ছোট বোনের জন্য ফরম নিতে এসেছিলেন রফিকুল ইসলাম। দুপুর দেড়টার দিকে তিনি জানান, লাইনে দাঁড়িয়েছেন সকাল সাড়ে সাতটায়।
তাও লাইনের অনেক পেছনে তার জায়গা হয়েছে। বেলা সাড়ে বারটার দিকে দেখা যায় লাইন গিয়েছে মনোয়ারা হাসপাতাল পর্যন্ত। দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক অভিভাবকেরই আলোচনার বিষয় ছিল ভর্তি প্রক্রিয়া। যুক্তি এ প্রক্রিয়ার পক্ষে বিপক্ষে। অভিভাবকরা অধিকাংশই বললেন, লটারির মাধ্যমে ভর্তির সিদ্ধানত্মটি খুবই ভাল।
এতে শিশুদের উপর অযাচিত চাপ থাকবে না। তবে তার মাঝেও তাদের শঙ্কা, যদি দুর্নীতি হয়। তবে শঙ্কার কোন কারণ নেই বলে মনে করছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যৰ (চলতি দায়িত্বে) মঞ্জুয়ারা বেগম। একই সঙ্গে তিনি পুরো প্রক্রিয়া সফল করতে ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকসহ সর্বসত্মরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। প্রথম দিনের ভিড়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে উদ্বিঘ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই।
প্রথম দিন অধিকাংশ অভিভাবক চলে আসায় ভির বেশি হয়েছে। দুু’দিন গেলেই ভির কমে যাবে। তাছাড়া ছয়টি বু্যথে ফরম বিক্রি হচ্ছে। তাই কোন সমস্যা হবে না কারও। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম দিন শেষ সময় পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়েছিল এমন কাউকেই ফরম না নিয়ে যেতে হয়নি।
সময় শেষ হওয়ার পর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সকলকেই প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এনে ফরম দেয়া হয়েছে। উলেস্নখ্য, গেল বছর প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ২২ হাজার ২১৯টি ফরম বিক্রি হয়েছিল। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বাতিল করা হয়েছিল ৬ হাজার ১৫৫টি আবেদন ফরম। মোট এক হাজার ৫৬৮টি আসনে ছাত্রী ভর্তি করানো হয় ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।