সম্ভাব্য সকল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই ..........
সমাজে চরিত্রহীন লম্পট সবসময় ছিল ,আছে হয়ত ভবিষ্যতেও থাকবে,যেটা প্রয়োজন তা হল এদেরকে সভ্য সমাজ থেকে দূরে রাখা। সমাজে পতিতালয় রাখার যারা পক্ষপাতি তারা এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই পতিতালয় টিকিয়ে রাখার পক্ষে মত দেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের দায়ীত্বে যারা থাকেন তাদেরকে বিচারালয়ের বিচারপতিদের মতই অত্যন্ত দক্ষতা আর সততার সাথে কাজটি করতে হয় কারন এর সাথেই সরাসরি জড়িত হাজার হাজার শিক্ষার্থী তথা দেশের ভবিষং।
আজকের কালের কন্ঠে ভিকারুননেসায় শিক্ষক নিয়োগের যে চিত্রটি ফুটে উঠেছে সেটি যদি সত্য হয় তবে তা ভয়াবহ আশংকাজনক এক ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করে,যেমন :
প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে নিয়োজিত শিক্ষক-কর্মচারীর অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াত ঘরানার এ জন্যই হোসনে আরা ও রাশেদ খান মেনন আওয়ামী ঘরানার কিছু শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে পরিমলসহ ছয়জন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তাঁদের সবার বাড়ি গোপালগঞ্জে।
ভিকারুননিসার কয়েকজন প্রবীণ শিক্ষক দাবি করেন, পরিমলের স্বভাবচরিত্র যে ভালো না, তা হোসনে আরা ও রাশেদ খান মেনন আগেই জানতেন। কিন্তু গোপালগঞ্জে বাড়ি এমন কাউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা খুশি করতে চেয়েছিলেন।
চরিত্রহীন লম্পট পরিমলের জন্য পতিতালয়ই ছিল উপযুক্ত স্হান,কিন্তু ভিকারুননিসার মত একটি স্বনামধন্য স্কুলে পরিমলসহ গত ছয় মাসে যে ছয়জন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয় তাঁদের সবার বাড়ি গোপালগঞ্জে এবং অসাম্প্রদায়িক এই বাংলাদেশে একটি সংখ্যা লঘু সাম্প্রদায়ভূক্ত যেটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য সাম্প্রদায়িক প্রভাবের পরিচয় বহন করে।
লম্পট পরিমলের বিচারের পাশাপাশি জনাব রাশেদ খান মেনন আর হোসনে আরার কাছে একটি নির্দিষ্ট এলাকার ঐ ছয়জন নির্দিষ্ট সাম্প্রদায়ভূক্ত শিক্ষক নিয়োগের যথার্ততার ব্যাখ্যা দাবি করে ঐ প্রতিবাদী ছাত্রী,অভিভাবক আর সচেতন নাগরিক সমাজ।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।