আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রমজান ও চিকিতসা ।

রমজানে ডায়াবেটিক রোগীর খাদ্যাভাস বাজারে প্রচলিত শরবতে সুগার থাকে তাই খেতে পারবেন না। তবে লো ক্যঅলরী বা সুইটেনিং সুগার মিশিয়ে শরবত খেতে পারেন। খাদ্যে যেন প্রচুর পরিমানে পানি থাকে,সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সবজি বেশী করে খেতে পারবেন। মাছ-শাংশও পরিমান মতো খাওয়া যাবে।

তবে আলাদা ডাল খাবার প্রয়োজন নাই। কোন খাবারেই তেল যেন বেশী না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রাতে এবং সেহরীতে দুই বেলাই ভাত খাওয়া যাবে। সবচেয়ে বেশী ক্যালরী পাওয়া যায় ভোররাতের খাবারে। একটি ব্যাপার খুবই গুরুত্বপূর্ন তা হচ্ছে, ডায়াবেটিক রোগীরা যেন ইফতার, রাতের খাবার এবং সেহরী এ তিনবেলার খাবারই খান।

একটি খেজুর,না হলে অন্য যে কোন এক ধরনের ফল ইফতারে খাওয়া যাবে। ডিমের সাদা অংশ খেতে পারবেন। যাদের কিডনী সমস্যা আছে তারা ডাল,পেঁয়াজু,বেগুনী-এ জাতীয় খাবার মেনু থেকে বাদ দেয়া উত্তম। রমজানে হার্টেররোগীদের খাদ্যাব্যাস হার্টেররোগীদের রোজা রাখতে নিষেধ নেই,বরং রোযা রাখা তাদের জন্য ভাল। এ সকল রোগীদের খাবার মেনুতে সাধারনত চর্বি নজাতীয় খাবার যেমন: গরুর ও খাসির মাংষ,ডিমের কুসুম,দুধের সর এবংদুমপান ইত্যাদি যেন না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তবে খাবার মেনুতে শাকসবজি,ভাত,মুরগির মাংস ইত্যাদি থাকতে পারে। তবে রোযা রাকলে যাদের বুকে ব্যাথা বা বুক ধরফর করে, শ্বাসকষ্টের ভাব হয় কিংবা যারা ক্লান্ত হয়ে পরেন তাদের রোযা রাখা উচিত হবে না। অর্থাত হার্টের রোগীরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ীঠিক করে নিবেন,রোযা রাখা ঠিক হবে কিনা। যাদের গত ২ মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিংবা করোনারি বাইপাস সার্জারী করা হয়েছে তাদের রোযা রাখা উচিত নয়। অন্যান্য হার্টের রোগী যারা রোযা রাখবেন তাদের ওষুধ রিসিডিউল করে নিতে হবে।

যেমন- দুপুরে খাওয়ার পর বা ভরা পেটে যে ওষুধ খাওয়া হয় তা ইফতারের পর,সকালের ওষুধ সেহরীর সময় এবং রাতের ওষুধ রাতে খাবারের সময়ই গ্রহন করা যেতে পারে। যে সব কারনে রোগীর রোজা নষ্ট হবে না * চোখ এবং কানের ড্রপস এবং ওয়াশ ব্যবহার করলে। * যে সকল ওষুধচামড়া দিয়ে শোষিত হয় যেমন: ক্রীম,অয়েন্টমেন্ট,লোশন এবং মেডিকেল প্লাস্টার ব্যবহার করলে। * যে সকল ইনজেকশন চামড়া,মাংশপেশী,জয়েন্ট অথবা শিরা দিয়ে দিতে হয় (ইনজেকশনের মাধ্যমে খাওয়ানো যাবেনা) * নাইট্রোগ্লিসারিন ট্যাবলেট জিহ্বার নীচে রেখে এনজিনার চিকিতসা নিলে। * মাউথ ওয়াশ,গার্গল অথবা মুখের স্প্রে ব্যবহার করলে (পাকস্থলীতে প্রবেশ করানো যাবে না) * অক্সিজেন এবং এনসথেটিক ব্যবহার করলে।

* যোনি পথে প্রেসারিজ,মেডিকেল ওভিওলস, ভেজাইনাল ওয়াশ ইত্যাদি ব্যবহার করলে। * লিভার এবং অন্যান্য অঙ্গের বায়োপসি করলে। * ল্যাবরেটরি টেস্টের জন্য রক্ত দিলে। * ব্লাড ডোনেশন এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশান করলে। * টুথ ড্রিলিং, টুথএক্সট্রাকসান, টুথ ক্লিনিং, মেসওয়াক বা দাঁত মাজলে।

* এনডোসকপি ডায়াগনস্টিক বা অন্যান্য ইনটারভেনশান করলে। * আরটেরিওগ্রাফির জন্য হার্ট এং অন্যান্য অঙ্গের জন্য ক্যাথেটার এবং মিডিয়া নিলে। * নোজ ড্রপস এবং নোজ স্প্রে ব্যবহার করলে * ইনহেলার ব্যবহার করলে। * ইনসুলিন গ্রহন করলে (চিকিতসকের পরামর্শে ব্যবহার করুন) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।