আমি আমার জীবন থেকে দেখেছি মানুষ কেন রাজনীতি করে ? কেহ আসে অভাবের তাড়নায়, কেহ আসে নিজের ক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে, কেহ আসে সত্যিকার মানুষের কল্যানের জন্য। তবে তাদের সংখ্যা বর্তমানে খুব্ কম। আমি দেখেছি আমার মামা আবুল খায়ের যাকে ঢাকায় কেহহ চিনতনা আমার বাবার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ও আপনজন। সারাজীবন একসংগে কাটিয়েছেন।
হঠৎ ঢাকা এলেন।
নুর আহমেদের মামা সকল আওযামীলীগের কমন মামা। আসেন আর ১০-১৫ দিন আমার বাসায় খাকেন। সাখাওযাত ও সোয়ান মেঝেতে ঘুমায় মামা মুরুব্বী। এক সময় আমি অসুস্থ্য হলাম। সাখাওয়াত মারা গেল।
আবার মামার আসা শুরু। সোয়ান মেঝেতে ঘুমাক আমি আর চাহনা। আমি মামাকে একদিন বললাম-মামা আপনি হলিয়াচ মামার (মামার ম্যালক) এপার্টমেন্টে থা্কেন। মামা রেগে চলে গেলেন আর আসলেন না। আমিও খুজিনি।
তারপর আমি জানতাম মামা ৩ নম্বর ধানমন্ডিতে থাকেন। তারপর হঠাৎ একদিন নড়াহল থেকে বোন জানাল মামা ঢাকা মেডিকেলে অসুস্থ। আমি ঠিকানার অভাবে যেতে পারিনি।
হঠাৎ মামা একদিন আমার অফিসে গণপুর্ত প্রতিমন্ত্রীর সিকুরিটি পুলিশসহ। কি ব্যাপার ! সবহ জানলাম বিস্তারিত।
জানলাম তিনি আওয়ামীলীগে সম্বনয়কারী ছিলেন। এখন আওযামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা। নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগের পল্টন ময়দানের বিশাল জনসভায় তিনি লাঠি হাতে দা্ড়িযেছিলেন ঠিক ১৯৮৭ সনের নুর হোসেনের মত তারপর তিনি সেদিন আহতও হন। আর সাথে সাথে ঢাকা মেডিকেল আর সেখানে খুব সম্ভবত আওযামীলীগের সকল নেতা, সম্ভবত: প্রধানমন্ত্রীও । রাতারাতি নুর হোসেন না হতে পারলেও হিরো হয়ে গেলেন-শেখ হাসিনার খেতাব প্রাপ্ত ’’ বাংলার মামা ‘ ।
কেবল বাংলার মামাহ নয় একেবারে শেখ হাসিনার নির্দেশের কৃষক হ্উসুফ মোল্যার ছোট ভাহয়ের গলায় উঠল বীর মুক্তিযুদ্ধার সার্টিফিকেট।
আমি ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কথায় লিখেছি মামার সম্পর্কে। যাহহোক মামা এখন বীর মুক্তিযোদ্ধা আর কৃষান কন্যা অন্যায়কারী, অপরাধী বাংলাদেশ সরকারের কাছে তবে কৃষান কন্যা হউসুফ মোল্যার দশো পুত্র একি কন্যা আর আজ নড়াহল ডিসি সাহেবরা তাকে সরকারী গাড়ী ব্যবহার করতে দেন। কিন্ত কৃষান কন্যার জন্য তাদের গাড়ীতে সীট হয়না। এটাহ বাস্তব।
তা্হ আজ সব দেখে মনে হয় আজকাল সকল মিটিং মিশিল কেবল নিজেদের অস্তিত্বের লড়া্হ। কারন বাংলার দরিদ্র জনগন আজ বড়হ অসহায়। তাদের পীট ওযালে ঠেকে গেছে। তারা অনেক আশা করে আমাদের রাজনীতিবিদদের ভোট দেয়। আর তারা পরে তাদের নিজ স্বার্থে ক্ষমতা ব্যবহার করে আর দেশের ভিতর অস্থিতিশিলতার সৃষ্টি হয়।
জনগনের সকল আশা আখাঙ্খাগুলির মৃতু ঘটে। আর তখনহ তারা বিকল্প অপসান খুজতে থাকে। তখন তারা আবার যোগ দেয় বিরোধী দলে। ঠিক এভাবেহ চলতে থাকে আর থাকবে কিন্ত দরিদ্র কৃষক সমাজ, প্রতিবন্ধী, অসহায়, প্রকৃত শিক্ষিত সমাজ যারা কোন দলের ন্য় ;জাতির নয় যারা কারো কাছে মাথা নত করেনা তারা অসহায় ও ধীরে ধীরে আরও দরিদ্র হয়ে পড়ে।
তাহত মনে হয় এহ বিশাল জনসভায় জোকারের মত যোগ দেয়া কেবল নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সেখানে দেশপ্রেমের কোন অভিপ্রায় থাকেনা।
সত্যিকারে দেশ প্রেমিক যারা তারা তাদের নিজ নিজ কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যা একজন ভাল কৃষক, জেলে, কামার, ছাত্র, শিক্ষক , রির্পোটারুও হতে পারে। এরা আসে পেটের দায়ে মজুরী খাটতে। তারপর দুঘটনা ঘটলে তাদের পুরস্কার করা্ হয়। যেমন করা হয়েছে নুর হোসেনের নামে নুর হোসেন চত্তর।
একটি মানুষের জীবনের মুল্য কি একটি নাম ফলক ? যাহ হোক আবুল খায়ের মরেনি তাহ তাকে বাংলার মামা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব দেয়া হযেছে। আর এহগুলি হল আমাদের নষ্ট রাজনীতি যা জনগনের মুক্তি আনতে পারেনা।
এহসব মিটিং,মিশিল, লং রোড মার্চ, জনসভা কেবল সো ডাউন করা, জনগনের ভিতর আতংকের সৃষ্টি করা, দলকে ভারী করা যেখানে জনগনের কল্যান নিহিত নয়। বরং এহ টাকা দিয়ে টেকনাথ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত দরিদ্র কৃষক, গরীব, দু:খ, প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া আর শক্তিশালী বিরোধী দলীয়্ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ সৃষ্টি করা যারা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল , আবুল হোসেন, কামরুল হসলাম, সাহারা খাতুনদের কাজের জবাবদিহি নিতে পারে। কিন্ত আমি তা দেখছিনা আমি আজ বাংলায় যা দেখছি তা ঠিক একহ পুনারাবৃত্তি হবে -দরিদ্র জনগনের কোনদিন মুক্তি আসবেনা।
কেবল সংবিধান রচিত হবে আর ধ্বংষ করা হবে। বাংলার জনগনের মুক্তি কোনদিন আসবেনা। আবার আমরা একহ খেলায় পতিত হব। তখন আওযামীলীগ থাকবে রাস্তায় আর বিএনপি থাকবে বাংলাদেশ সচিবালয়ে। একহ খেলা চলবে।
গরীব কৃষক, দরিদ্র সমাজ দরিদ্রহ থাকবে আর ধনী, আমলা, রাজনীতিবিদরা ধনীহ হবে। তাদের কোন কষ্ট থাকবে না। কেবল কষ্ট বাংলার জনেগনের। -কৃষান কন্যা রাহিলা, ১১ নভেম্বর,২০১১ খ্রি:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।