আমি ফ্রা ঙ্কে স্টা ই ন......... এই গল্প শুধু আমার না আমাদের। আমাদের প্রতিটি বিপ্লবীর। শুরু সেই একেই ভাবে। এ্যডভাঞ্চারের খোজে ঘর ছাড়া। এর পর বুঝতে পারা পথ ও সিধান্ত দুটোই ভুল ছিলো।
এর পর কিছু মানুষ ফিরে যায় তাঁর বাড়িতে। আর কেউ হারিয়ে যায় কালের গর্ভে। যারা টিকে থাকে তারাই বিপ্লবী হয়ে উঠে। সত্যিকারের বিপ্লবী এদের মাঝে খুব কম ই হয়। কিন্তু যারা হয় তার হলো সাচ্চা বিপ্লবী।
প্রতি হাজারে ১ জন এমন হয়। কিন্তু তার জন্য দরকার একজন পথ প্রদর্শক। সেই পথ প্রদর্শক হতে পারে একটা বই, একজন মানুষ, একটা গল্প অথবা প্রতিশোধের অদম্য স্পৃহা। এটা সব সময়ের জন্যই সত্য। নাটুকে মনে হচ্ছে আমার কথা গুলো কিন্তু এটা বাতব ছিলো এই কিছুদিন আগেও।
কারণ তখন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই ছিলো। প্রতিযোগীতা এভাবে মুক্ত ছিলো না। মানুষ পরিবার থেকে , স্কুল – কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেই নৈতিক শিক্ষাটা পেতো যে শিক্ষা তাঁকে দেখিয়ে দিতো তার পথ যেখানে জীবন মৃত্যু মুখ্য কোন বিষয় নয় আদর্শের জন্য লড়াই হলো মুল বিষয়। সে সময় গণ মাধ্যম ও এখনকার মতো উলঙ্গ ছিলো না। তাঁর স্বল্প কথা বলতো কিন্তু সেটা ছিলো দৃঢ়।
যে কথা অন্যায়ের পাথুরে দেয়ালে আঘাত করে তাকে ভেদ করে দিতো। যখন একজন মধ্যবিত্তের লড়াই ছিলো সম্মাজ নিয়ে বেঁচে থাকার। প্রতিযোগীতা ছিলো শিক্ষার ও বিজ্ঞানের।
আমি সেই সকল দিনের কথা বলছি। আমি সেই সকল দিনের শেষ সময়ের এক শিশু।
আমি এখন যাই হই। আমার বয়স যাই হোক না কেন আমি এখনো বিপ্লবের শিশু। সেই সময় টা ছিলো ৯০ এর দশকের কোন জানুয়ারি মাসের এক শীতল সন্ধ্যা। সমাজতন্ত্রের সোনালী যুগের শেষ অধ্যায়ের এক হতভাগ্য শিশু আমি। যেদিন আমার জন্ম সে দিনটা ছিলো আইউব খান বিরোধী গণ অব্যুত্থানের দিন।
শহীর মতিউরের মৃত্যুবার্ষিকী। সেটা এমন একটা সময় ছিলো যখন সারা দেশ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ব্যস্ত। পতন মাত্র সামান্য দূরে ছিলো এরশাদ সরকারের।
সেই ডামাডোলের বাজারে আমার পদার্পণ । এমন একটি পরিবারে আমার জন্ম যে পরিবার ছিলো পাঠাব্যাস।
আমি সেই পারিবারিক ধারাই মাত্র ১২ বছর বয়সেই পরিচিত হই লেলিনের সাথে, মাউ এর সাথে। লেলিনের লিখা আমি সে ভাবে বুঝতাম না। কিন্তু যখন বোধ হলো তখন বুঝলাম প্রতিটি কথাই অগুনের মতোই সত্য। এর পর এলো স্ট্যালিন, হিটলার, আরাফাত, নাসের। আমার পাঠের মুল বিষ্ইয় ছিলো ইতিহাস।
কিন্তু মজার ব্যপার হলো আমার সমসাময়ীক বন্ধুদের পাঠের বিষইয় ছিলো তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা, রহস্য পত্রিকা। বিশ্বাস করুন বা না ই করুণ আমি তিন গোয়েন্দার কথা জেনেছিলাম ১৭ বছর বয়সে। সে যাই হোক কোন একটি মাধ্যমে আমি সপ্তম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় আকর্ষিত হলাম বাম রাজনীতিতে। বামের পথে হেটে পার করলাম আমি আমার কৈশর। অনেকে আমায় প্রশ্ন করে আমি কেন বাম মতাদর্শ সমর্থন করি।
আমার উত্তর হলো আমি আমি বাম স্বর্ণযুগের শেষ স্বন্তান। আমার হাতেই ঝান্ডা তুলে দেয়া হয়েছে।
আমি মানুষ হিসেবে খুবি উত্তেজিত ও আবেকপ্রবণ। কিন্তু তাই বলে আমি আমার ব্যক্তিস্বার্থের কাছে দেশ কে বিক্ত্রি করে দেই নি। পাকিস্তানি দুতাবাসে ইট মেরে ৩ ঘন্তার হাজত বাস ও করেছি।
শিবির ঠ্যঙ্গিয়ে ফল স্বরুপ হাসপাতাল বাস ও হয়েছে অনেক দিন। এক সময় ঘড় ছেরেছি। ৬ মাস পালিয়েছিলাম সিলেটের কিছু পার্বত্য অঞ্চলে। স্বপ্ন গেরিলা বিপ্লব। কিন্তু সময় আমাকে শিখালো কি ভাবে বিপ্লব করতে হয়।
ফিরে এলাম ঘরে। ব্যর্থ হয়ে। আমি আবার সুযোগ খুজছি সেই দিনের যেদিন আমার আঘাতে কেপেনুঠবে দেশ। আমার নেতার বজ্রকন্ঠে উদ্বেলিত হবে আমার মাতৃভুমি।
কিন্তু সে স্বপ্ন গুড়েবালি।
এখন সবাই দৌড়য় স্বার্থের পিছনে। তাই এই কয়েকদিন আগে আমার সাধারণ সদস্য পাদ টিও কেটে দিয়ে এলাম রাজনীতির পাতা থেকে। ভাবছিলাম আর ফিরে যাবো না। কিন্তু রাতে ঘুমুতে পারি না। আমার জাতি আমার সংগ্রাম আমায় ডাকছে।
পরিবর্তনের ডাক। যে ডাক আমায় বলে হতুড়ি তুলে নাও। শেক্কল ভাংগার সময় এসেছে। জানি না কোনদিন আমার পথে আমি যেতে পারব কি না। সে প্রশ্নের জবাব মহাকালের কাছেই রয়ে যাক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।