আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিসিএস কোটা ,দূর্নীতি ও প্রশাসনিক মেধাহীনতা।

পি এসসির পরীক্ষার ক্ষেত্রে এতদিন প্রিলিমিনারী, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হত । কিন্তু ৩৪ তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পর্যায় থেকে ই কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা শুরু হয়। সাধারণ ক্যাডারের ৪৪২টি পদের মোট দুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ দিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারী ৩৪তম বিসি এস এর বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। ২,২১,৫৭৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় পাশ করে ১২০৩৩ জন। দেশে ০.৩১ % মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটা ৩০%।

মোট ৫৬ শতাংশ পদ কোটায় নিয়োগ বাকী ৪৪% মেধায়। গত বি এনপি শাসণ আমলে কোটার শূন্যস্থান মেধা থেকে নেয়া হত। শেখহাসিনা সরকার কোটা খালি রেখেই নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করেন। এবং সর্বশেষ তার সরকার প্লিলিতেও কোটা সিস্টেম চালু করলেন পি এসসির মাধ্যমে। কোটা মানে ই দূর্নীতি ও মেধাহীনতা।

৫৬ শতাংশ কোটায় স্বজনপ্রীতি আত্নীয়করণ ও দলীয়করনের উৎসব চলে। মোদ্দাকথা কোটা ব্যবস্থা প্রিলি পর্যায়ে চালু করে এ ই সরকারের সময় পিএসসির ইতিহাসে দলীয়করণের আর দূর্ণীতির ক্ষেত্রটাকে অনণ্য উচ্চতায় নিয়েগেলেন। ৩০তম বিসিএস থেকে ভাইভা নম্বর ১০০ থেকে ২০০ করা হয়। ২৭,২৮,২৯ এ তা ছিল ১০০ নম্বর। দূর্ণীতি করার জন্যই এ পরিবর্তন কোন সন্দেহ নাই।

তাই করা হয়েছে। প্রিলী পরীক্ষার আগে ই পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করে নিয়োগ প্রক্লিয়া চালু করা হয়েছে আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ করাদের নিয়োগের পথ প্রশস্ত করার জন্য। আর এখন প্রিলি থেকে ই কোটা। ২৮তম বিসি এস এর কথা মনে আছে লিখিততে প্রায় ৮হাজার কোয়ালী ফাই করলে ৭হাজার কত তম অবস্থান নিয়ে পুলিশ ক্যাডার পেয়েছে কোটায়। অথচ মেধায় ৩০১ তম ব্যক্তিটিও কোন জেনারেল ক্যাডার পদ পাননি কোটা না থাকায়।

আর এখন ৮০ নম্বর পেয়েও প্রিলিতে চান্স পাবেন না কোটাহীন পরীক্ষার্থী। আর ৫০% শতাংশ নম্বর পেয়ে টিকে যাবেন কোটা পাওয়ারা। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা প্রয়োজন। অন্যগুলোতে কমানো প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৪২ বছর পার হয়েছে।

কোন মুক্তিযোদ্ধা এখন প্রতিযোগী নন। তাদের সন্তান ও নাতিদের দৌরাত্ন চলছে। অনেক রাজাকার ও নাকি মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন। অন্যরাতো আছেনই। সেই প্রশ্নবিধ্যদের জন্য কোটা আবার সেটি প্রিলি থেকে ই।

এটি আর কিছু নয়। এ সরকারের অনিয়ম ও দূর্নীতির বহিপ্রকাশমাত্র। যারা প্রচন্ড পড়ালেখা করেন পরিশ্রম করেন ভাল পরীক্ষাও দেন তারা হতাশ হয়ে ফেরেন নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে। কোটা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই অযাচিত কোটার অবসান চায় মেধাবী পরীক্ষার্থীরা।

দেশকে শুধুমাত্র দলীযকরণ আর কালোটাকার লোভে মেধাহীন প্রশাসন ব্যবস্থা সৃষ্টির চেয়ে বড় কোন অপরাধ হতে পারে না। ৩০তম থেকে বর্তমান পর্যন্ত করা অনিয়মগুলোর প্রভাব প্রশাসনে একদিন পরবে ই। দূর্ণীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দূর্ণীতির পাহাড় গড়ার কারণে ক্ষমতাসীনদের পস্তাতে হবে। মোদ্দা কথা এ অনিয়মের সমাপ্তি হওয়া উচিৎ। প্রত্যেক ছাত্রদের এ অনিয়মের বিরুদ্ধে রূখে দাড়ানো কর্তব্য বলেই মনে হচ্ছে।

পড়ালেখা ও পরিশ্রম করে চাকুরী হবে না । চাকুরী হবে শুধু কোটায় এটি ঠিক নয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.