চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা উইকির তথ্য অনুযায় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃত্ত্বির জন্য অন্যতম বাধাগুলি হল, সাইক্লোন, বন্যা, বিদুৎ ঘাটতি, রাজনৈতিক অন্তর্দন্ধ, দূর্নীতি ইত্যাদি। বিশ্বব্যাংকের মতে বাংলাদেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা পুওর গভার্নেন্স এবং দূর্বল পাবলিক ইন্সটিউটগুলো।
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারত এমনকি পাকিস্তানের চাইতেও অনেক কম। আসাম কিংবা পশ্চিম বংগের চাইতে কম। মানবউন্নয়ন সূচকে আমরা পাকিস্তানেরও নীচে, এই অন্চলে শুধু নেপাল আর আফগানিস্তানের উপর।
ধনী দরিদ্রের ফারাক দিন কে দিন বাড়ছে।
এবছর গার্মেন্টের ১০ লক্ষ মেয়ে বোনাস পাইনি।
বাংলাদেশ আর্থসামাজিক অবস্থার দিন কে দিন অবনতি হচ্ছে।
আমাদের দেশে বুদ্বীজীবি, ব্যবসায়ী আর রাজনীতিবিদদের একটা চক্র গড়ে উঠেছে। তারা দেশের মানুষের জন্য নাকি কান্না করবে, দেশের সবকিছু লুন্ঠন করবে আর তাদের ছেলেমেয়েরা দেশে বিদেশে আনন্দ ফুর্তি করে বেড়াবে।
এরা মিডিয়া (টিভি, পত্রিকা) নিয়ন্ত্রন করে আর পয়দাকরে কিছু সুশীল, যাদের কাজই হল প্রভুদের এজেন্ডা পূরন করা। ধর্ম আর সংষ্কৃতিকে পুজি করে একধরনের ধুম্রজাল সৃষ্টি করে, যাতে করে প্রভুদের লোটপাটের মহাযজ্ঞটি সহজসাধ্য হয়ে উঠে।
পশ্চিমারা সারা দুনিয়াব্যপি লুন্ঠন চালানোর জন্য কিছু জংগী নিজেই সৃষ্টি করেছিল আর জংগীবাদ দমনে নিজেরাই দুনিয়ার যত্রতত্র অভিযান চালিয়েছিল আন্তর্জাতিক রীতিনীতে উপেক্ষা করে।
আমাদের দেশেও ইসলামকে এখন টার্গেট করা হয়েছে, মানুষের দৃষ্টি লুটপাট থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য।
তাই এখন গার্মেন্টের লক্ষ লক্ষ মেয়েদের লজ্জা নিবারনের জন্য কাপড়ের যোগান দেয়ার চাইতে একশ্রেনীর বুদ্ধিজীবি বেশি আগ্রহী মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তের মেয়েদের বস্রহরনে।
ক্ষীন পোশাকের নারীদের মাঝে তারা দেশের সম্ভাবনাকে খুজে বেড়ান।
ব্লগে উপরে বর্নিত বুদ্বীজীবি, ব্যবসায়ী আর রাজনীতিবিদদের সন্তান কিংবা চেলা চামুন্ডাদের বিচরন করাটা খুব অবাক হওয়ার মত কিছু না। তাইত সাইক্লোন, বন্যা, মহামারি, বিদুৎ ঘাটতি, রাজনৈতিক অন্তর্দন্ধ, দূর্নীতি , পুওর গভার্নেন্স কিংবা দূর্বল পাবলিকে সার্ভিস নিয়ে তাদের কোন উৎকন্ঠা নেই। তাদের উৎকন্ঠা ইসলাম, বোরখা নিয়ে আর আগ্রহ নগ্ন পশ্চিমা কিংবা হিন্দি সংষ্কৃতি নিয়ে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।