আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাগতে পারলাম না

জাগো নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চাই। চেষ্টা করবো একদম নৈর্ব্যক্তিক বর্ণনা এবং মূল্যায়নের। আমারব্লগে পারভেজ রাসেল যেরকম গালিগালাজ করেছেন... জাগোর তরুণীদের দেখে জাগ্রত না হয়ে আগে নিজে জেগে উঠেন ভাইয়েরা তাতে করে কোন প্রকার মতামত যোগ না করাই নিরাপদ মনে করছি। 'ফাইন্ড পিয়া এন্ড সুমি' নামে জাগো-র একটি উদ্যোগ ছিলো। ডেইলি স্টারে দু'টি পথশিশুকে গণধোলাইয়ের দৃশ্য দেখে তারা মেয়েদু'টিকে খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেয়।

এ উপলক্ষ্যে ফেসবুকে ইভেন্ট ছেড়ে তারা কয়েকটি দল গঠন করে ঢাকা শহরে অনুসন্ধান শুরু করে। ডেইলি স্টারের সেই ছবিটি নিয়ে পথে পথে ঘুরে মানুষকে প্রশ্ন করতে থাকে তারা (ওই ইভেন্টের ওয়ালে যা লেখা ছিল তা স্মৃতি থেকে নিয়ে বলছি, ইভেন্টটি এখন নেই, কিছু ভুল হতেও পারে)। এই ইভেন্টটি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-র একটি মেয়ে, তাদের প্রচার সম্পাদক বা এরকম কিছু। তাঁকে আমি প্রশ্ন করলাম, পুলিশের সহায়তা নিয়েছেন কিনা? তিনি আমাকে জানালেন, তারা সামনে লালবাগ থানায় যাবেন।

আমি একজন সাংবাদিক, তাই আমার দিক থেকে কিছু করবার চেষ্টায় আমি তাঁকে বললাম, আসেন এদের নিয়ে একটা সংবাদ সমাবেশ করি, কিছু কনসার্নড মানুষজনকে ডাকুন, সরকারের মন্ত্রী..... এ পর্যায়ে তিনি আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, আল্লা ভাইয়া, আমরা পলিটিশিয়ানদের একদম ট্রাস্ট করিনা, আমরা পলিটিকসের সাথে একদম ইনভল্ভড হতে চাইনা..... আমার খারাপ লাগলো। আমি আর প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা বাড়াইনি। কিছুদিন পরে আমি তাঁকে ফোন করে জানলাম, লালবাগ থানায় গিয়েছিলেন, সেখানকার একজন কর্মকর্তা তাদের জানিয়েছেন মেয়েদু'টি পেশাদার চোর, তারা প্রায়ই ধরা পড়ে এবং তাদের ওই থানায় নিয়ে আসা হয়। এ কথা শুনে জাগো-র উদ্যোক্তারা স্তম্ভিত এবং তাদের খোঁজ বন্ধ। আমি বললাম শিশুরা তো নিজ উদ্যোগে অপরাধী হয়না, তাদের বানানো হয়।

ওদের নিয়ে কিছু করি আসেন। কিন্তু মেয়েটি আমাকে উত্তরে যা বললেন তার মর্মার্থ হল কোন ক্রিমিনাল গডফাদারদের (অর্থাৎ শিশু অপরাধ যারা পরিচালনা করে তারা) সাথে লড়ার আগ্রহ তাদের নেই। এর পর এই ইস্যু নিয়ে কাজ করার আগ্রহ বেশ কিছুদিন আমার ছিল এবং কিছুদিন ঘুরে পথশিশুদের অপরাধ সম্পৃক্ততা এবং মাদকাসক্তি নিয়ে একটা সংবাদও করেছিলাম Small in age, big in-deed । পত্রিকায় একটা সংবাদের তেমন কোন মূল্য নেই। এরপর আর কিছু করিও নাই।

আমার মনে হয় আপনগাঁওয়ের ব্রাদার রোনাল্ড পথশিশুদের জন্য জাগো-র থেকে অনেক বেশি করছেন। অন্তত এতটুকু বলতেই পারি যে তাঁর কাজের গভীরতা এবং বাস্তবমুখিতা অনেক বেশি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।