নিবৃতে আছি আমি অর্নব মুখার্জি। হুগলি জেলায় থাকেন। কলকাতা প্রদেশ। এতটুকুই আমি জানি। আমার সাথে পরিচয় সামুতে।
তাও আবার আজকে। আমি সামুতে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। আমার চারটি কম্পিউটার। কিন্তু নেট চালাই টিএনটি এডিএসএল। এবং একটা কম্পিউটারে নেই আছে বাকি গুলা খালি খালি পইরা রইছে নেট নাই দেইখা।
কিভাবে এক কম্পিউটারের নেট বাকি কম্পিউটারে শেয়ার করা যায়? আমি থাকি নরসিংদীতে। অনেকে সহযোগীতার হস্ত প্রসারিত করেছেন তবে। অর্নবদার নীচে। আমার সমস্যা দেখে তিনি আমার মোবাইল নম্বর চাইলেন। দিলাম।
ঘন্টা খানেকের মধ্যেই তিনি আমাকে কল করলেন। মোবাইলে ডিরেকশন দিলেন। সব ঠিকমত বুঝতে পারছিলাম না। তাই নেটে আসলাম। তিনি আমাকে সফটওয়্যার দিলেন।
এবং ডিরেকশন দিতে থাকলেন। তাও আমি ঠিকমত কাজ করতে পারছিলাম না। তাই তিনি অনন্য উপায় হয়ে কলকাতায় বসেই টিম ভিওয়ার এর মাধ্যমে আমার পিসির নিয়ন্ত্রন নিলেন। এবং সব কিছু কনফিগার করলেন। আমি শুধু পিসির সামনে বসে বসে দেখছিলাম।
বেশ উপভোগ করছিলাম। তিনি অনেক ধ্যের্য সহকারে আমার সমস্যাগুলো ঠিক করলেন। আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করছিলাম কত র্ধেয্য সহকারে তিনি আমার কাজগুলো করে দিলেন। রীতিমত আমিই বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু তিনি বিরক্ত বোধ করছেন না। তিনি বার বার আমার মোবাইলে এবং টিএনটিতে রিং দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন।
তার জায়গায় আমি থাকলে নির্ঘাত চটে যেতাম। এরই মধ্য বিদ্যুত ভিভ্রাট তো আছেই। সবোপরি অর্নবদার কাজে আমি উনার নিকট কৃতজ্ঞ হয়ে থাকলাম। যদি কোনদিন সুযোগ আসে তবে উনার সেবা করার আশা রাখি। সেই সাথে সামুকেও ধন্যবাদ জানানোর দু:সাহস আমার নাই।
কারণ আমি বরাবরের মতোই সামু থেকে কিছু নেয়া ছাড়া দিতে পারিনা। কারণ আমার দেয়ার সামথ্য নাই। দেয়ার সামথ্য কেবল অর্নব দার মত লোকদের আছে। সর্বোপরি অর্নবদাকে আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর আমি স্বীকার করি অর্নবদার মত লোক আছে বলেই আমার মত নাদানরা এখনো বেচে আছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।