আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিত্য নতুন পদ্ধতিতে প্রতারনা । আপনি ও সতর্ক থাকুন । অন্যকে সতর্ক হতে বলুন।

প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাস। প্রতারকেরা যে কত রকমে মানুষকে প্রতারিত করছে তার কয়েকটি তুলে ধরছি যাতে আপনারা ও সতর্ক হতে পারেন। ১) এক শিক্ষিত ভদ্র লোককে কিভাবে প্রতারিত হয়েছে শুনুন। ভদ্র লোক সব সময় গাড়িতে চলাচল করেন সাবধানতার সাথে যাতে কেউ বিপদে পেলতে না পারে। এক দিন প্রচন্ড গরমের মধ্যে বাসে যাতায়েত করছেন ।

এমন সময় এক লোক ডাব নিয়ে গাড়িতে উঠল বলল স্যার এ মাত্র গাছ থেকে ডাব পেড়েছি খাবেন নাকি একটা। ভদ্র লোক চিন্তা করলো -ডাব খেলে তো সমস্যা নেই । ডাবের ভিতরতো কিছু মিশানো সম্ভব না। ডাব তো আমার সামনে কেটে দিবে । এটা চিন্তা করে একটি ডাব কিনে তার পানি খেল ।

পানি খাওয়ার দশ মিনিট পরে সে অচেতন হয়ে যায়। ভদ্র লোকের ঘডি, মোবাইল, নগদ টাকা, গুরুত্বপূন কাগজ সব চিনিয়ে নিল। ২) আমার এক জ্যাঠাতো ভাই ফেনী থেকে নারায়ন গঞ্জে আত্নীয়ের বাসায় গিয়েছিল পাওনা টাকা পরেশোধের জন্য । সাইনবোর্ড থেকে ১ কি: মি দূরে তাই বাস থেকে নেমে একটি রিক্সা নিল । রিক্সা করে আত্নীয়রে বাসায় যাওয়ার সময় এক লোক চিংকার দিয়ে বলতেছে ভাই জাল টাকা বেরিয়েছে যার কাছে জাল পাচ্ছে তাকে জেলে দিচ্চে ।

আমার জ্যাঠাতো ভাই একটু ভয় পেয়ে গেল আমার কাছে তো টাকা আছে । এগুলো জাল না ভাল আমি তা সঠিক ভাবে বলতে পারি না। এমন সময় প্রতারকের একজন বললো আমার বাড়ী ফেনী। আমি খাজু মিয়ার ভাগিনা। আপনারা টাকা পয়সা আমার কাছে জমা দেন ।

মোবাইল কোট উঠে গেলে আবার নিয়ে নিয়েন। এমন সময় সম্মিলিত প্রতারন দলের অনেকে তার কাছে টাকা রাখছে । বলছে ভাই আমার টাকা গুলো আপনার নিকট রাখেন । বেশির ভাগ টাকায় এখন জাল। ধরা খেলে জেলে যেতে হবে কোন নিস্তার নেই।

এমন সময় আমার জ্যাঠাতো ভাই চিন্তা করলো সবাই যেহেতু রাখছে আমার টা ও রাখি । ওনি তার কাছে থাকা ৬,০০০/- টাকা রাখলো । প্রতারকদের একজন তাকে চা খেতে নিল । এমন সময় তার টাকা নিয়ে প্রতারক চম্পট। ৩)এক লোক ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখা থেকে টাকা তুলে তার ভাগনীকে ২০,০০০/- টাকা গুনে দিল।

এমন সময় প্রতারক দল দূরে থেকে অনুসরন করল। ভাগনি টাকা নিয়ে একটু যেতে না যেতে প্রতারক দলের একজন বলল আপু মামায় আপনাকে ডাকছে । আপনাকে নাকি টাকা বেশি দিয়ে দিয়েছে। ভাগনী প্রতারক কে জিজ্ঞেস করলো আপনি কে । প্রতারক বলল আমি আপনার মামার দোকানে চাকুরী করি ।

ভাগনী তখন প্রতারকে বলল সব টাকা নিয়ে আমার মামাকে দেন সে আবার গুনে দিক আমি রিক্সা নিয়ে দাড়িঁয়ে আছি আপনি তাড়াতাড়ি আসেন। ভাগনি ১০ মিনিট,২০মিনিট আধ ঘন্টা অপেক্ষা করলো কিন্তু প্রতারকতো আর আসছেনা। ভাগনী অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর মামার দোকানে গিয়ে বলল মামা আপনি টাকা নাকি আমাকে বেশি দিয়ে দিয়েছেন আপনার দোকানের কর্মচারী আমাকে বলল। আমি তাকে সব টাকা দেয়ে দিয়েছি আপনাকে পুনরায় গুনে দেওয়ার জন্য । তখন মামার আর বুঝতে বাকি থাকলো না।

ভাগনী প্রতারকের শিকার হয়েছে। ৪) আমার এক মামা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেনী রাজাঝি দীঘির পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতারকের কপ্পরে পড়ে । সম্মিলিত প্রতারক দলের একজন বলছে ভাই আমি বিদেশ থেকে অনেক দামি হেরোইন নিয়ে এসেছিলাম ঢাকাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য । হাঠাং করে টাকার প্রয়োজন দেখা দিল তাই হিরোইন অনেক সস্তা দামে বিক্রি করে দিব । প্রতারক দলের লোকরো হিরোইন দেখছে আর দর কষাকষি করছে ।

কেউ বলছে ৫০ হাজার কেউ বলছে ৪০ হাজার । তাদের কাছে উপস্থতি টাকা নেই কেউ বলছে ৫০ হাজার টাকায় নিব তবে টাকা সন্ধ্যায় দিবো। বিক্রেতা বলেছে অতসত বুঝি না যে নগদ টাকা দিতে পারবে তাকে দিব। নগদ টাকা হলে আরো কমে ও বিক্রি করব । ১ লক্ষ টাকার হিরোইন নগত ৩০ হাজার টাকা হলে বিক্রি করে দিব ।

তখন মামা চিন্তা করলো ১ লক্ষা টাকার হিরোইন মাত্র ৩০ হাজার টাকা । তখম মামা পকেট থেকে ৩০ টাকা বের করে বলল আমার কাছে নগদ টাকা আছে। হেরোইন আমি নিব। মামা তো মহা খুশি ১ লক্ষ টাকার হিরোইন নিয়েছে মাত্র ৩০ হাজার টাকায়। গোপনে তার এক জ্যাঠাতো ভাইয়ের নিকট গিয়ে তাকে দেখালো এবং ঘটনা বলল।

জ্যাঠাতো ভাই দেখে চিনে গেল আসলে এটা হিরোইন নয়। এটার দাম আছে মাত্র ৫০ টাকা । এটা অবশ্য লোভের কারনে হয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।