আমি পাবলিক সন্ত্রাসীদের গুলিতে নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন হত্যার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগের ডাকা ৭২ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। তবে তার জানাজা ও দাফনের জন্য বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মসূচি শিথিল রাখা হয়েছে। নিহতের জানাজার জন্য আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ভোর ছয়টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জেলায় হরতাল পালিত হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রাতে নরসিংদী সার্কিট হাউস এবং রেল স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
তারা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রাখে।
আজ সকাল থেকে শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়া এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। সকাল থেকে রেল চলাচল শুরু হলেও লোকমান হোসেনের সমর্থক ও ছাত্রলীগের কর্মীরা শহরের চিনিশপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এগারো সিন্ধুর ট্রেনটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে কমপক্ষে ২০ ২৫ জন আহত হয়েছে। কয়েক শ শ্রমিক ও হরতাল সমর্থকেরা ট্রেন লাইনের ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে ট্রেনটি থামায়।
এরপর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। নরসিংদী পৌর শহরে রিকশাসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে। বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা সিলেট মহাসড়কে টায়ার ও গাছের গুঁড়ি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে।
পুরো শহরের প্রতিটি মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক প্রথম আলোকে বলেন, সকালে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি বিক্ষোভ মিছিল ছাড়া কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। লোকমান হোসেনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গতকাল রাত আটটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে ঢুকে মুখোশ পরা কয়েকজন সন্ত্রাসী লোকমান হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাঁর গায়ে চারটি গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানেই রাত সোয়া ১১ টায় চিকিৎকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ রাত সাড়ে ১২ টায় জেলায় ৭২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।