জোয়াখোড়ি,উদ্ভট,বানোয়াট সংবাদ ছেপে পথ-ঘাট গরম করার অপপ্রয়াসে মত্ত কয়েকটি পত্রিকার সাথে এসেছে এবার আমার দেশ নামক একটি বাইবেল। সরকারের রোষাণলে পড়েও নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে এ ঐষি বাণী-বাহক। এ দেশের মূর্খ-আবাল জনগণ এর মর্যাদা বুঝতে পারলনা এখনও,হকাররা অনেক কমিশন পেয়েও বেঁচতে চায়না এ পত্রিকাটি, অভিযোগ;এ পত্রিকা নাকি কেউ টাকা দিয়ে কেনে পড়তে চায়না-শুধু শুধু বোঝা বয়ে বেড়ানো। ।
কাজের কথায় আসি।
‘ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের প্রতারণা : কলম বিক্রেতা নাসেরার ১৪ লাখ টাকা আত্মসাত্’’ শিরোনামে বানোয়াট সংবাদ ছেপে কী ফায়দা লুটতে চাইছে তা আমাদের জানা দরকার।
অজামাজিক০০৭০০৭ ( মুফিদ ) এর স্টিকি পোষ্ট (১৫ মার্চ, ২০১১ -মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্ত্রী এখন ফেরিওয়ালা!!!জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রাপ্যটা আমরা এভাবে দিলাম!? প্রকাশের পর আমরা যারা প্রকৃতপক্ষেই দাদিকে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম তাদের উদ্যোগে ২৬ মার্চ কয়েকজন ব্লগার একত্র হই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি,এস,সি-তে। সিদ্ধান্ত নিই সকলে মিলে সাধ্যমত দাদিকে সাহায্য করব।
চলতে থাকে আমাদের কার্যক্রম আর এরই সাথে জামাত-শিবিরের একটি চক্র চেষ্ঠা চালাতে থাকে এই প্রশংসনীয় উদ্যোগকে নিজেদের দেশব্যপি মঙল-কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার;কাজে নয়;কাগজে-কলমে-ব্লগে-পত্রিকায়। আর প্যাচ-মোচড় না বুঝে এদের প্রচারনায় সহায়তা করেন আমাদের অনেক ব্লগার যারা এই সাহায্য কার্যক্রমে এগিয়ে না এসে ব্লগ-চর্চা করে আমাদের গোষ্ঠি উদ্ধার করেছেন, , , ,
এ সময় আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন নয়া দিগন্ত,আমার দেশ ইত্যাদি দল-শিবির ঘরানার পত্রিকার রিপোর্টারগণ (যারা যোগাযোগ করেছেন তাদের নাম এবং মুঠোফোন নম্বর আমাদের কাছে রয়েছে)।
তারা আমাদের কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পত্রিকায় রিপোর্ট-ফলোআপ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ইতোমদ্ধ্যেই জামাত-শিবিরের উদ্দেশ্যমূলক প্রচারনার কারনে আমরা তাদের এই প্রস্তাব এড়িয়ে যাই কেননা এ সময় নয়া দিগন্ত,আমার দেশ-পত্রিকা রিপোর্ট করলে আমরা নিশ্চিতভাবেই শিবিরে পরিণত হয়ে যেতাম তাতে সন্দেহ নেই।
দুঃখের কথা আমাদের সর্ষেক্ষেতে ভূত ঢুকে পড়ায় দাদিকে সাহায্য করার কার্যক্রম একটি পর্যায়ে স্তিমিত হয়ে যায়। এ দায়ভার আমরা নিচ্ছি আর দুঃখ প্রকাশ করছি যে দাদি আর আমরা এতগুলো মানুষ তাপস নামের ঐ ভূতটিকে চিনতে ভুল করেছিলাম,বিশ্বাস করেছিলাম খুব বেশি। এত কষ্ট করে সংগ্রহ করা এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা’র মাত্র আটাশ হাজার টাকা দাদির জন্যে খরচ করা হয়েছে আর বাকিটা জমা রইল ভূতের পেটের ভেতরেই।
এবার আসা যাক আমার দেশের রিপোর্ট এর কথায়। ঐ ছাগু-শিবির রিপোর্টার (শুনেছি এই রিপোর্টার খোমেনি ইহসান সাহেবের বাবা একজন রাজাকার ছিল আর এ দেশের আলো-বাতাসে বড় হয়ে,দেশের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও সেই রক্তের টান ভুলতে পারেননি এই খোমেনি। ছাত্রলীগের দেওয়া প্রাণনাশের হুমকিতে এখন একটু ভয়ে ভয়ে থাকে কিন্তু লেখতে বসলে আবার শিবিরি-জেহাদি ভাব চাঙা হয়ে ওঠে)। এবার কোঁপ মারলেন ঝোঁপ বুঝে। কলমদাদিকে সেবা করে শিবির বাহিনীর বদান্যতা অর্জনের সুযোগ নষ্ট হয়েছিল এই আমাদের কারণে-এই কষ্ট কি ভুলে যাওয়ার মতো???
দেখুন অসঙ্গতির ছড়াছড়িতে এই অসত্য রিপোর্টঃ
## ‘ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের প্রতারণা’ শিরোনাম করে তিনি কাদের বুঝাতে চাইছেন?
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ এর জাতীয় স্বার্থে ব্যবহারের জন্যে জনমত গড়ে তুলতে সচেষ্ট একটি সুপরিচিত গ্রুপের নাম ব্যবহার করে এমন শিরোনাম করা হয়েছে।
অথচ এই অপবাদ আমরা পেলেও পেতে পারি কিন্তু জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে সচেষ্ট একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপকে এভাবে কলঙ্কিত করার সাহস তাদের কে যোগায়? ৭১-এ তারা যাদের সাহস যুগিয়েছে এখন হয়তো তারা এর প্রতিদান দিচ্ছে। ।
নাকি উনি ব্লগ ও অন্যান্য অনলাইন মিডিয়াকে আপনাদের পত্রিকার চাইতে অনেক নিম্নমানের কিছু বোঝাতে সব ব্লগারদের এক ঘৃণিত কাতারে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন? আর তা না হলে এভাবে সামগ্রিকভাবে ‘ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের প্রতারণা’ কথাটি কেন ব্যবহৃত হবে?
প্রকৃতপক্ষে এটি ‘ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট’ এর বিপক্ষে তার শিবিরি জিহাদের অংশ-মাত্র। এই দেখুন-
দুঃখের ব্যাপার হলো ইদানিং একটা লাফালাফি চোখে পড়ছে। ‘জাতীয় স্বার্থে ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট’ ব্যানার নাম নিয়ে কিছু কিছু লোককে দেখছি গালগপ্পো করে রাস্তাঘাট ভিজিয়ে ফেলতে।
তাদের একজন আসিফ মহিউদ্দিন নামক এক উদ্ভট ছেলেকে গোয়েন্দা পুলিশ ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করার ঘটনায় ভেজা রাস্তায় যেন বাণের পানি উপচে পড়ছে। কল্পনার নৌকা পাল তুলে ছেড়ে দিলেই যেন বাসনার বন্দরে তর তর করে পৌছে যাবে। দেখছি ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের মধ্যে নোবেল প্রাইজ-টাইজ দখল করার চিন্তা-ভাবনাও শুরু হয়ে গেছে। আর বছরের প্রথমার্ধে কথা বলা সেই তরুণদের কেউ কেউ পুরনো খায়েশ নতুন করে দেখতে শুরু করেছে ধর্মভিত্তিক দলের সমর্থকরা সরকারের শত্রু আবার তাদেরও শত্রু। সরকার যেমন তাদের মাঠে নামার অনুমতি দেয় না, তেমনি তারাও দেয় না।
তাতে কি বুঝা গেল? রাজনৈতিকভাবে ‘জাতীয় স্বার্থে ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট’ সরকারেরই মজুত বাহিনী!
## ‘কলম বিক্রেতা নাসেরার ১৪ লাখ টাকা আত্মসাত্’
এই ১৪ লাখ টাকার সত্যতা তিনি কোথা থেকে আমদানি করলেন? টাকা তুলেছি,দাদির জন্যে খরচ করেছি,তাপসের কাছে জমা রেখেছি,ভুল-শুদ্ধ যা’ই করি না কেন আমরাই করেছি আর আমাদের এই ভুল-শুদ্ধ সব কিছু এই ১ লাখ ৫ হাজার টাকার হিসাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আমার দেশ পত্রিকার সহবাস পেলে টাকাও প্রসব করা যায় জানলে আমরা অনেক আগেই আমার দেশকে এই মহামূল্যবান রিপোর্ট করার সুযোগ দিয়ে বহু আগেই বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরে নাম লিখাতাম।
অভিজ্ঞদের কাছে জানতা চাই,সত্যিই কি ৫/৬ জন মানুষ একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের তিন-চারটি হল থেকে দু-তিন দিন খেঁটে ১৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করতে পারে?
## ‘দাদিকে বাঁচাতে ৪০ লাখ টাকা চেয়ে পোস্টার সাঁটানো”
আমার দেশ পত্রিকায় কি স্বপ্নে পাওয়া মাল-মসলা নিয়ে রিপোর্ট করতে দেয়??? এটি হলে আমিও আমার দেশে জয়েন করতে চাই। পিলিজ কেউ একটা লাইন-ঘাট কইরা দেন। অনেকগুলো মাসিক,সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছি,সর্বশেষ একটি নাম কামানো দৈনিকে’ও কাজ করেছি।
শেষমেষ ব্যক্তিগত কাজের চাপে তা ছাড়তে হয়েছে। ইস পত্রিকাটি যদি আমার দেশ হতো-তাহলে আর চাকুরি ছাড়তে হতো না। রাতে স্বপ্ন দেখতাম,সকালে পত্রিকার পাতায় প্রসব করতাম, , ,
আমার প্রতিষ্ঠানে পোস্টার ছাপানো হয়েছে। আমি নিজে পোস্টারের জন্যে পজিটিভ বের করেছি,দাঁড়িয়ে থেকে স্বল্প সময়ে ছেপে এনেছি। দাদির জন্যে ছাপানো এই পোস্টারে আমার চোখে যা দেখেছি তা এই;
## ‘পর্ণো সাইটে কল-গার্ল মৌ হিসেবে দাদির ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছে এরা’প্রমাণ কোথায়? এ খবর কী বি,টি,সি,এল দিয়েছে?
কলম দাদিকে নিয়ে পত্রিকায় রিপোর্ট করতে চেয়ে ব্লগারদের কাছে পাত্তা না পেয়ে, শিবির ভাইদের কাছে কন্টাক্টে টাকা নিয়ে তাদের হয়ে রিপোর্ট করতে না পেয়ে রাগে-ক্রোধে এই কাজ যে আমার দেশ (স্বপ্নে পাওয়া তথ্যমালা=স্বপ্নবাণী পত্রিকা) পত্রিকা’র রিপোর্টার নিজেই করেননি তার প্রমাণ কী?
## ২ আগস্ট রাতে তাপস নীল অরন্যঃ
২ আগস্ট নয় তাপসের মতে ৩ জুলাই রাতে দাদির বাসায় তাপস ও নীল গিয়েছিলো।
ঐ রাতে অরণ্য ও অসামাজিক এক সাথে ছিলেন । আর অরণ্য দাদির ব্যাপারে অনেক কিছু করলেও সরাসরি কখনই দাদির বাসায় যায়নি। দাদির বাসায় যাওয়ার মধ্য আমি,তাপস, অসামাজিক, সিফাত , নীল ,ত্রপা, জান্নাত ও সিটি কলেজের কিছু ছাত্র যেত। সিফাত দাদিকে টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে সামুতে যে পোস্ট দিয়েছিলো
তাতেই উল্লেখ আছে দাদির বাসায় শুধুমাত্র তাপস ও নীল-ই গিয়েছিলো। গোলাম আযম খোমেনি সাহেব এত ভাসা-ভাসা তথ্য নিয়ে সাংবাদিকতা কিভাবে চালান!! অবশ্য আমার দেশ তার নিজস্ব ধারায় চলে।
।
## রাজউক কলেজ হতে ২০,০০০ টাকাঃ
অসামাজিক রাজউক কলেজ হতে ২৫,০০০ টাকা দাদিকে তুলে দিয়েছিলো
এবার আসুন সত্য জানিঃ
১৫ মার্চ,২০১১ দাদিকে নিয়ে মুফিদ-ব্লগার অসামাজিকের পোস্টটি স্টিকি করা হয়।
অরণ্য একটি ফেসবুক গ্রুপ করে। এতে আমরা দাদির জন্যে কি করব তা নিয়ে আলোচনা করতে থাকি এবং সরাসরি এগিয়ে এসে কিছু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর কয়েকদিন পর কয়েকদিন পর দাদিকে ক্যাম্পাসে খোঁজে পায় ব্লগার পেনসিল।
দাদিকে তারা তাদের পরিকল্পনার কথা জানায়।
২৬ মার্চ,২০১১ তারিখে কলমদাদির জন্যে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টি.এস.সি.'র সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন;
সভায় যারা মূল উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন;
১) অরণ্য
(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক ছাত্র। তিনি facebookএ group করে স্ব-উদ্দোগে কলমদাদির জন্যে প্রচারনা করেন। গান করেন। নিজেদের ছোট একটি ব্যান্ড দল রয়েছে।
)
২) মুফিদ
(AIUB ছাত্র। দাদিকে নিয়ে লেখাটি তিনিই somewhereinblog-এ পোস্ট করেন। )
৩) লাকি আখন্দ
(তিনি একজন বরেণ্য গায়ক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান স্বীকৃত)
৪) তাপস
(স্বাক্ষর খাতায় পুরো নাম নেই। ইংল্যান্ড প্রবাসি।
একটি বিদেশি এন.জি.ও.'র মানবাধিকার বিষয়ক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে ঢাকা আছেন)
৫) এস,এম,এ, কবীর হাসান
(সাংবাদিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালইয় আবাসিক ছাত্র। ফজলুল হক মুসলিম হল ডিবেটিং ক্লাব,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন)
(উদ্যোক্তাদের কেউই কোন রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত নন এবং উক্ত সভায় বা অন্য কখনও তাদের থেকে কোন রাজনৈতিক দলের আদরশ বাস্তবায়নের কথা আমরা শুনিনি)
অন্যান্য যারা উপস্থিত ছিলেন।
৬) সগীর হোসাইন খান
৭) রাজু আহমেদ
৮) আব্দুল কাদের রিপন
৯) সপ্তক
১০) মো.মুক্তাদির হোসেন
১১) গোলাম রাব্বানী
১২) মো.মেহরাব আবীর
১৩) সাদরিল শাহজাহান
১৪) অঞ্জন সাজ্জাদ
১৫) দেভজানি দে বৃন্দা
(তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের আবাসিক ছাত্র-ছাত্রী। তারা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন আবাসিক হলে বর্তমানে ছাত্রলীগ এবং তাদের সমমনা দল ও হাতেগোনা কয়েকজন নিষ্ক্রিয় ছাত্রদল কর্মী ব্যতিত অন্য কোন দলের সমর্থক নেই।
১৬) শারমিন এশা
(সম্ভবত দেভজানি দে বৃন্দা'র বান্ধবী। )
১৭) ছাব্বির হাসান ফাহিম
(জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র)
১৮) জান্নাতুল ফেরদৌস
(ছাব্বির হাসান ফাহিম এর বোন। ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী)
১৯) আহাদ ইমরান ইমু
(জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র)
(আমাদের জানা মতে তারা তারা কেউই কোন রাজনৈতিকদলের নয়। ইমু এবং ফাহিমকে আমি ভালোভাবেই জেনেছি)
২০) গাজী আবুল হাসনাত
২১) মাফি
২২) সাজ্জাদ হোসেন শিবলী
২৩) মো.মাহবুবুল করিম
২৪) এস.এম.রাজীব ব্জুবায়ের আলম
২৫) মো.মোকাররম হোসাইন
(তারা সবাই ঢাকায় বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গত কয়েকদিন হল সবাই একসাথে পরিকল্পনা করছি যে দাদির জন্যে কীভাবে কী করা যায়।
এর মাঝে কেউই কোন রাজনৈতিক মত প্রকাশ করেননি। প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করেছেন।
(আমাদের কাছে এই ২৫টি স্বাক্ষরই রয়েছে। আরোও একটি জুটি এসেছিল যারা আমাদের উদ্দোগে একাত্বতা প্রকাশ করেই চলে গেছেন। এর বাইরে অন্য কারোও উপস্থিতির কথা আমরা জানিনা)
এর ২৫ জনের মধ্যে লাকি আখন্দ সহ আরো দুজন ঐ মুহুর্তেই দাদিকে সহযোগিতার জন্য ১৩,৫০০ টাকা দেন ( লাকি আখন্দ নিজে ১২০০০ টাকা দেন )
এছাড়া পরবর্তিতে ঐ ২৫ জনের মধ্যে ৫/৬ জন সক্রিয় ভাবে দাদির চিকিৎসা ও ফান্ড সংগ্রহের কাজ করে ...
তারপর আমরা ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে মোট ২৮৫০ ( মেইন বিল্ডিং থেকে ১৬৫০ ও এক্সটেনশন হতে ১২০০ টাকা ) সংগ্রহ করে সরাসরি দাদির হাতে পৌছে দিই ।
আমাদের জানা মতে ঢাবির অন্য হলগুলোর মধ্যে একুশে হল , জহুরুল হক হল ও এফ রহমান হলে টাকা তোলা হয় যার দায়িত্বে ছিলো সিফাত। দাদির জন্য পোস্টার ছাপানো হয়,২৬ শে মার্চ থেকে পরবর্তি দু মাস দাদির খাওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা র প্রায় সকল অর্থব্যয় আমরা বহন করি । এর মধ্যে দাদি কয়েক বার অসুস্থ হয়ে যখন হাসপাতালে ভর্তি হন তখন তার ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে উনার সাথে রাতে থাকা পর্যন্ত আমরা ছিলাম ( আমি , অজামাজিক ,অরণ্য ,সিফাত , তাপস সহ আরো অনেকে ) ...
এরপর অসামাজিক , সিফাত , তাপস , পুস্প আপু,জান্নাত সহ সিটি ও রাজউক কলেজের কিছু ছাত্র দাদির জন্য টাকা তোলার ব্যাপারে কাজ করতে থাকে । এ সময় ঢাবি ক্যাম্পাসে পরপর দুদিন দাদির জন্য কাগজের খোলা বাক্সে হাতে টাকা তোলা হয় । প্রথম দিন ছিল পহেলা বৈশাখ,তেমন কেউ না থাকার কারনে ৩/৪ জন ( তাপস , নীল , ফিলোসফির এক বড় আপু ও তার কিছু ফ্রেন্ড ) মিলে ১ ঘন্টা টাকা তোলেন টি এস সি এলাকায় ।
পর দিনও শুধু তাপস,সিফাত ও আমি টি এস সি তে টাকা সংগ্রহ করি। এভাবে দু চার জন মিলে হবে না বলে তাপস এভাবে আর করতে চান না। অরণ্য,অসামাজিক,তাপস,দাদি প্রত্যেকের সাথেই ফোন-এ নিয়মিত যোগাযোগ হতো। তাপসের তখনকার ডেডিকেশন দেখে সবাই তার ভক্ত বনে যাই। অরণ্য’র ভাষায় “উনি ঐ সময় দাদির জন্য যা করেছেন আমি বোধহয় আমার নিজের দাদির জন্যও করিনি ... ইভেন দাদি ঐ সময় বলত বেড়াল হল আমার অভিভাবক ( দাদি সহ আমরা সবাই উনাকে এই নামেই ডাকতাম )... উনি বেড়ালের কথা ছাড়া কোথাও যেতেন না ইভেন খেতেনও না ... “
এর মাঝে দাদিকে নিয়ে আর-টিভিতে একটি বিশেষ প্রতিবেদনও হয়।
ঐ প্রতিবেদনেও দাদি অসামাজিক ও তাপশের কাধে হাত দিয়ে বলেন এরাই এখন আমার অভিভাবক । সে সময় দাদির ভোটার আইডি কার্ড না থাকার জন্য আমরা প্রাইভেট ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারছিলাম না ( প্রাইভেট ব্যাংক,কারন কেউ যদি দেশের বাইরে থেকেও দাদিকে সাহায্য করতে পারেন ) সে জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা দাদির একাউন্টটি তে সবাইকে সাহায্য করতে বলা হয়।
এ সময় দাদির জন্য সব মিলিয়ে ১ লাখ ৫ হাজার মত টাকা উঠেছে । এর মধ্যে দাদির চিকিৎসা,বাসা ভাড়া ও ঔষধ বাবদ খরচ শেষে তাপসের কাছে ৭৭ হাজার টাকা আছে । দাদি সহ সবার সম্মতি ক্রমে ৭৭ হাজার টাকা তাপস এর কাছে রাখা হয়।
এই সময় দাদি তার জমানো ১০ হাজার টাকাও তাপসের কাছে রাখতে দেন।
এরমধ্যে আমারব্লগ সহ অরো কয়েকটি ব্লগে আমাদের শিবির আখ্যায়িত করে পোস্ট দেওয়া হয় । অসামাজিক এর কিছু আ লীগ বিরোধী পোস্ট থাকার কারনে মুলত এই অভিযোগটি তোলা হয়। যা হোক,পরবর্তিতে অরণ্য ও অসামাজিক কে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় ...
এখন ... তাপসের কাছে থাকা ৭৭ + ১০ = ৮৭ হাজার টাকা দাদিকে আমরা টি এস সি তে সবার উপস্থিতিতে দেওয়ার কথা বলি আর তখন থেকেই তাপসের গরিমসি শুরু হয়-আজ এই সমস্যা তো কাল ঐ সমস্যা। উনি মাঝে মাঝে দাদির বাসায় গিয়ে দাদিকে অল্প কিছু টাকা দিয়ে আসতেন ( দাদির মুখে শোনা ) ... এভাবে দেরি করতে করতে আমরা সবাই অধৈর্য্য হয়ে পড়ি।
একসময় উনি বলেন উনি দাদিকে ৭৭ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন ... কিন্তু দাদি বলেন উনি ও নীল তার বাসায় এসে তাকে টাকার যে প্যাকেট দিয়েছেন তাতে দুটি ৫০০ টাকার নোট আর সব ১০ টাকার নোট, সব মিলিয়ে ২০০০ টাকা ছিল।
এবার আসি তাপস প্রসঙ্গেঃ
প্রথম পরিচয় ১৫ মার্চ রাতের গ্রুপ চ্যাটে। উনি কাউকে নিজের নাম বলতেন না। নিজেকে হূলো বেড়াল নামে পরিচয় দেন । বাসা কোথায় বা কি করেন কিছুই জানাতে চান না।
শুধু বলেছিলেন উনি ইংল্যান্ডে থাকতেন ও উনার স্ত্রী কানাডা থেকেন ডাক্তার। উনি উনার ওয়াইফ কে বলে ব্যক্তিগতভাবে দাদির জন্য প্রতি মাসে কিছু টাকার ব্যাবস্থার কথাও বলেন। উনার কথা ও আবেগ ... এমনকি ২৬ মার্চ উনি দাদি কে গাড়িতে করে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে দাদির সাথে যে অমায়িক ব্যবহার করেন স্বয়ং দাদি উনার আচরনে মুগ্ধ হয়ে যান । ২৬ শে মার্চ ... হুলোবেড়াল যখন আসেন তখন লাকি আকন্দ উনাকে তাপস বলে দাকলে আমরা প্রথম উনার নাম জানি। তাপস সম্পর্কে উনার নাম আর মোবাইল নম্বর ছাড়া আর কিছুই জানতাম না।
ফেসবুকে দাদিকে নিয়ে তার এক্টিভিটি ছিল চোখে পড়ার মত ... ঐ সময় ফেসবুকে দাদিকে নিয়ে একটি ফ্যানপেজ খোলা হয় যার এডমিন ছিল অরণ্য ও অসামাজিক। পরবর্তিতে তাপসের এক্টিভিটি দেখে উনাকেও এডমিন করা হয়। ২৬ শে মার্চ সভায় আসা কেউ-ই উনার বাসা চিনতেন না,জান্নাত নামে একজন কে উনি উনার বোন ( কাজিন) বলে পরিচয় দিলেও পরবর্তিতে উনিও বলেন উনি তাপসের বাসা চেনেন না ... !!! লাকি আখন্দের সাথেও উনার পরিচয় সাকুরার টেবিলে।
লাল টি শার্টে মাঝে বসে আছেন তাপস।
এবার আসি ... তাপসে র কাছে টাকা রাখা পরবর্তি ঘটনায় ..
দাদির সাথে ফোনে কথা হয় নিয়মিত।
দাদিও টাকার জন্য বারবার ফোন করে । আমরাও তাপস কে ফোন দেই-কিরে ভাই টাকা গুলা দেন না কেন ???
তাপসের প্রথম বিয়ে ডিভর্স হয় এবং ওই পক্ষের একটি মেয়ে আছে ( যত সম্ভব ৩/৪ বছর বয়সের ) তো ঐ মেয়েকে উনার কাছে রাখার জন্য মামলা করেছেন ... তার শুনানি চলে ... শুনানি শেষ হলেই উনি টি এস সি তে শিক্ষক সাংবাদিক সহ ব্লগার দের উপস্থিতিতে দাদিকে টাকা দেবেন বলে জানান। দাদিও উনার কথা মেনে নেন এবং তাপসের মেয়ের জন্য কান্নাকাটি করেন ( দাদি ঐ সময় গুলোতে আসলেই মনে প্রাণে তাপস কে বিশ্বাস করতেন ) দাদি ফোন করে প্রায়ই বলতেন আমরা যেন তাপসের মেয়ের জন্য দোয়া করি ... যা হোক ... তাপস মামলা তে হেরে যায় ... এবং যথারীতি আমাদের তারিখ দেয় দাদি সহ আমরা অপেক্ষা করে থাকি কিন্তু উনি আসেন না । ফোন করলে উনি বলেন মেয়েকে না পেয়ে উনি খুব ডিপ্রেশড উনাকে যেন সময় দেই। আমরা উনাকে বলি ভাই আপনি কি টাকাটা আপনার মেয়ের মামলায় খরচ করে ফেলেছেন ? উনি বলেন – না... ঐ টাকা ওরকমই আছে ... এভাবে কথা বলতেই থাকে ... তারিখও দিতে থাকে কিন্তু উনি আর আসেন না ।
শুধুই অজুহাত দেখান আজ মা অসুস্থ কাল ভাবির বাচ্ছা হবে হসপিটালে । এরমধ্যে দাদি আবার অসুস্থ হয়ে পরলে অরণ্য ও অসামাজিক ব্যক্তিগত ভাবে দাদিকে হসপিটালে ভর্তি করিয়ে উনার চিকিৎসা করাই ।
আমরা তাপস কে খোঁজতে থাকি। উনি আমাদেরকে যাদের যাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তাদের প্রত্যেককে উনার বাসার ঠিকানা জানতে চাই। প্রত্যেকেই বলেন উনার বাসার এড্রেস জানেন না ... উনার সাথে আমাদের ফোনে খুব রাগারাগি হয়-কেন উনি এমন করছেন? যেখানে দাদি আবার অসুস্থ হয়ে পরেছেন কিভাবে উনার চিকিৎসা ব্যয় বহন করবো !!! উনি আমাদের সবাইকে উনার ফেসবুক একাউন্ট থেকে ব্যান করে দেন ।
ফোন করলে রিসিভ করেন না । এর মধ্যে হঠাৎ করে তাপস দাদিকে বলেন উনি যেন ক্যাম্পাসে থাকেন উনাকে টাকা দেবেন । দাদি সাথে সাথে অরণ্য ও অসামাজিককে জানান ওরা তখন দুজনেই অফিসে ... দাদিকে তাপস আসলে ওদের ফোন দিতে বলে কিন্তু দাদি বসেই থাকেন তাপস আর আসেন না। এর মধ্যে নীল জানায় তাপস ওকে নিয়ে দাদির বাসায় যায় এবং দাদিকে টাকা দিয়ে আসে ( তাপসের মতে ৭৭ হাজার ) যদিও দাদি বলেন ঐ প্যাকেটে বড়জোর ২০০০ টাকা ছিলো । উনি কেন আমাদেরকে রেখে দাদিকে একা একা টাকা দিতে গেলেন,একটি কাগজে দাদির লিখিতও এনেছেন তার প্রমাণস্বরূপ।
নীল এর মাধ্যমে তাপসে ফোন দিয়ে শাহবাগ আসতে বলা উনি আসতে চেয়েও আসেন না এবং ওখান থেকে এসে নীল “সাদামনের মানুষ” গ্রুপে আপডেট দেয় যে দাদিকে ৭৭হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে । পরবর্তিতে আমরা যখন নীল কে জিজ্ঞেস করি নীল তুমি কি দেখেছ যে ঐ প্যাকেটে ৭৭ হাগার টাকা ছিলো ? নীল বলে না আমি দেখি নি। তুমি না দেখে কেন আপডেট দিলে ??? ও বলে তাপস ভাই দিতে বলেছে তাই। দাদিকে ফোন করলে দাদি বলে প্যাকেটে ২০০০ টাকার মত ছিলো। তারপর অনেকে অনেক চেষ্টা করেছি তাপস কে খুজে বের করার-পারিনি ।
এমনকি একদিন অসামাজিক শেরাটনের উল্টাপাশে তাপসকে দেখতে পায়। ফোন দিলে ঐ মুহুর্তে ১০ মিঃ এর মধ্যে প্রায় ৭/৮ জন সবাই যেভাবে পারে ওখানে চলে আসে কিন্তু তাপস ততক্ষনে হাওয়া ...
এরপর অদ্ভুত ব্যাপার ঘটতে থাকে । দাদি ক্যাম্পাসে আসেন এবং উনাকে কারা নাকি বলেন উনার জন্য ১৪ লাখ টাকা তোলা হয়েছে,তারা নাকি কোন কোন পত্রিকায় কাজ করেন এবং সব কিছুর ভেতরের খবর জানেন। আমরা যে পোস্টারিং করেছি তা নাকি দাদি জানেনই না ... !!! আমরা দাদিকে বলি,ক্যাম্পাসে তাপস কে কেউ চেনে না, সবাই আমাদের দোষী মনে করছে । সবাই মিলে আপনাকে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম ।
যতটুকু চেয়েছিলাম ততটুকু পারিনি কিন্তু আমাদের আন্তরিকতার কোন অভাব ছিলো না। আমরা উনার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে যেভাবে পারি উনার জন্য সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেই । এরপর অসামাজিক দাদির জন্য রাজউক কলেজ হতে ২৫০০০ টাকা তুলে দেয় এবং অরণ্য দাদির জন্য সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় কর্তৃক একটি স্বল্পমেয়াদী ফান্ডও যোগার করে দেয়।
এখন শুনছি ১৪ লাখ টাকা মেরে দিয়েছি কলম বিক্রেতা নাসেরার!!!
ব্যক্তি নাসেরা তার অনুমানপ্রসূত কথা বলে আমাদের সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করছেন,ভাবছেন এতে হয়তো তিনি আরও অনেক সহায়তা পেতে পারেন কিন্তু গত কয়েকমাসে এই সমালোচনাকারিদের কাউকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসতে দেখিনি (আমাদের এই দরদী সাংবাদিক তাপসকে না খোঁজে 'ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট" দের খোঁজছেন আর উনি বা উনার বিশাল প্রতিষ্ঠান কি পারতোনা দাদিকে কিছু আর্থিক সাহায্য করতে?)দাদির জন্যে যতটুকু করতে চেয়েছিলাম ততটুকু পারিনি কিন্তু আমাদের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই। নিজেদের সামর্থ অনুযায়ি তাকে সহায়তা করব-তিনি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী।
আবারও সবাইকে অনুরোধ করছি আসুন আমরা কলমদাদিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। তিনি খুবই অসহায। ।
শিবিরের ষড়যন্ত্র,সিনিয়র ব্লগারদের কেউ সাথে না থাকা (তেমন কাউকেই পাইনি)-সর্বোপরি নিজেদের অনভিজ্ঞতার কারণে আমরা দাদিকে সাহায্য করতে গিয়ে আজ দোষী সাব্যস্ত হয়েছি। ঐ রিপোর্টার খোমেনি (আমরা একই বিস্ববিদ্যালয়ের ছাত্র) আর আমার দেশ-দু’টো নামই মনে রাখলাম।
।
[যারা আমার দেশ-রিপোর্টটি বিভিন্নভাবে শেয়ার করেছেন তাদের অনুরোধ করছি ব্লগারদের জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলক পোস্টের জবাবস্বরূপ এ পোস্টটিও শেয়ার করবেন]
আমার দেশ রিপোর্টের প্রতিবাদে;
অরণ্যের পোস্ট কলমদাদি ... তাকে সাহায্য করার ব্যর্থ চেষ্টা ও একদল মানবতাবাদিদের নোংরা রাজনিতি ...
মুফিদের পোস্ট কলমদাদিকে সামনে নিয়ে মিডিয়া কিংবা যেকোনো আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছি.... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।