Student : B.Sc in EEE আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট : কায়রোর ইসরাইলী দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ‘ইসহাক লিওয়ানুন’ এ সম্পর্কে জায়নবাদী ইসরাইলের ২ নং চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন : ‘কঠিন ও সংকটপূর্ণ ঐ রাত আমি অতিক্রম করেছিলাম। কখনই আমি ঐ ভয়ংকর রাতের কথা ভুলব না। যখন জানতে পারলাম যে, বিক্ষুব্ধ জনতা ইসরাইলী দূতাবাসের এক পাশের দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলেছে, তখন বুঝতে বাকি রইলো না যে, কিছুক্ষণের মধ্যেই মিশরীয় যুবকরা ইসরাইলী দূতাবাসকে পরিপূর্ণ দখল করে নেবে। কায়রো’র দূতাবাসের চতুর্পাশে নিরাপত্তা বাহিনী’র সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও বিক্ষুব্ধ জনতা ইসরাইলী দূতাবাসের দেয়াল ভাঙ্গতে সক্ষম হয়েছিল।
ইসরাইলী রাষ্ট্রদূত বলেন : বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলী দূতাবাসের নিকট পৌঁছা মাত্রই তা পার হয়ে দূতাবাস ভবনে প্রবেশ করে।
গার্ডদের অফিস থেকে যখন আমি মিশরীয় যুবকদের ইসরাইলী দূতাবাসে হামলার সংবাদ পাই ঐ শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে আমার মাঝে ব্যাপক ভয় ও ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের কর্তৃক দূতাবাসে কর্মরত ৬ জন ইসরাইলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটার পর আমি তেল আবিবের উদ্দেশ্যে দূতাবাস ত্যাগ করি। কিন্তু যখন গ্রেপ্তারকৃত ঐ ছয়জন ইসরাইলী’র নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের ব্যাপারে নিশ্চতি হই তখন রওনা হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম।
জায়নবাদী ইসরাইলের ২ নং চ্যানেলের প্রতিবেদক জানিয়েছেন যে, ইসরাইলী রাষ্ট্রদূত সাক্ষাতকারের সময় বিক্ষোভকারীদেরকে নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ মিশরীয় কর্মকর্তাদেরকে তাদের ব্যর্থতার জন্য নিন্দা জানাননি।
এ প্রতিবেদক আরো জানিয়েছেন : পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে রাষ্ট্রদূত সাহায্য চেয়ে মিশরীয় কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে অতিরিক্ত ফোর্স প্রেরণে মিশরীয় কর্মকর্তাদের বিলম্বের বিষয়টি হচ্ছে একটি সমাধানহীন ধাঁধার মত, যে বিষয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন।
বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ‘নাদ্দ্বাল হামাদাহ’ আল আলাম চ্যানেল হতে প্রচারিত ‘প্রচার মাধ্যমের দৃষ্টিতে ইসরাইল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের এ সপ্তাহের পর্বে উক্ত প্রতিবেদনের পর্যালোচনা করতে গিয়ে বলেন : মিশরের বিপ্লবী যুবকদের কর্তৃক কায়রোতে ইসরাইলী দূতাবাসে হামলা শুধুমাত্র ইসরাইলী দূতাবাসের মনে ত্রাসের জন্ম দেয়নি বরং দখলদার ইসরাইলের ভিতকে প্রকম্পিত করেছে। ইসরাইলের দূতাবাসে হামলা ছিল জায়নবাদীদের জন্য বিপদ সংকেত স্বরূপ এবং তাদেরকে মিশর হতে বের করে দেয়ার জন্য নতুন অধ্যায়ের সূচনা স্বরূপ।
তিনি বলেন : মিশরের সামরিক বাহিনী’র উচ্চতর পরিষদের পক্ষ হতে ইসরাইলী দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত প্রেরণ বিলম্ব স্বয়ং জায়নবাদীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জবাবে করা হয়েছে।
পাশাপাশি মোবারক সরকারের পতনের পর ইসরাইলের স্বেচ্ছাচারিতাপূর্ণ পদক্ষেপের বিপরীতে এবং তেল আবিবের কর্মকর্তাদের প্রতি সতর্কবাণী প্রেরণের উদ্দেশ্যে সৈন্য প্রেরণে লক্ষ্যে ঐ বিলম্ব করেছে মিশরীয় কর্মকর্তারা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।