সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল বাংলাদেশে আওয়ামি শাসন যে দুঃশাসনের নামান্তর সেটা আমরা বার বার ঠেকে শিখি। ৭২ থেকে ৭৫ , ৯৬ থেকে ২০০১ আর অধুনা ২০০৭ থেকে বর্তমান, প্রতিটি সময়ে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দখলদারিত্ব আর সেবাদাসত্ব মুলক কর্মকান্ডই প্রমান করে তারা বাংলাদেশ শাসনের যোগ্য নয়। তবে আওয়ামিদের পকেটে মিডিয়ার একটা বিরাট অংশ উচ্ছিস্টভোগি আছে বলেই যা ঘটছে তার ছিটেফোটা প্রকাশ পায়।
যাই হোক, আওয়ামি নামা লিখতে গেলে মহাভারত লেখা হয়ে যাবে। তাই সেই প্রসঙ্গ বাদ।
ইতিমধ্যেই যখন আওয়ামি প্রতারণা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে, তাই বঞ্চিত মানুষগুলি আজ বি এন পির দিকে ঝুকছে। কি করার? আমাদের এতই দুর্ভাগ্য যে আওয়ামি বি এন পির বাইরে কোন দিকে যাবার যোগাড় নেই। ঘুরে ফিরে এই দুই দলই।
আওয়ামি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনমানুষের এই ক্ষোভকে পুজি করে এখন বি এন পি রোড শো করছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষও জড়ো হচ্ছে।
সেখানে খালেদা জিয়া যা বলছেন, সেগুলি নতূন কোন কথা নয়। মানুষ সেগুলি ইতিমধ্যে জানে বলেইতার দিকে ধাবিত।
কিন্তু জানা কথাগুলির পুনরাবৃত্তি করলেই কিন্ত সমস্যার সমাধান হবে না। তাই কিছু কথা খালেদা জিয়াকে স্পস্ট করতেই হবে।
ভারতকে করিডোর প্রদানঃ
একথা প্রমানিত হয়েছে যে, ভারত নামের প্রভুর অর্থ এবং বুদ্ধির জোগান পেয়েই আঃ লিগ ক্ষমতায় এসেছে।
কারণ একের পর এক যেভাবে ভারতের স্বার্থদ্ধারে যেভাবে আঃ লিগ পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা এক মাত্র ভারতের অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রিরই শোভা পায়।
এর বিপরীতে খালেদা জিয়াকে প্রকাশ্যে ঘোষনা করতে হবে যে, তিনি ক্ষমতায় গেলে ভারতের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি তিনি বাতিল করবেন। নতুবা তার এই বিরোধিতা শুধু বিরোধীতার খাতিরেই করা হয়েছে বলে গ্ণ্য হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারঃ
নামে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবুনাল হলেও, দেশের বেকার এবং ফেল্টু টাইপের কিছু আওয়ামি বটতলার উকিল দিয়ে যেভাবে যেন তেন করে তদন্ত এবং বিচার কাজ চলছে, তাতে নিজেদের স্বাধীনতার সোল এজেন্ট প্রমানের হাস্যকর প্রচেস্টা ছাড়া আর কিছু মনে হচ্ছে না।
খালেদা জিয়াকে স্পস্ট করে বলতে হবে যে তিনি ক্ষমতায় গেলে রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের কোন রকম আস্কারা দেয়া তো দুরের কথা, বরং সর্বজন গ্রাহ্য শক্তিশালি এবং মেধাবি আইনজীবিদের দিয়ে এই বিচার শুরু এবং শেষ করবেন।
এটা যে শুধু সাধারণ মানুষের দাবি তাই নয়, বরং রাজনৈতিক দিক দিয়েও এটা গুরুত্বপুর্ণ। এই বিচার কাজ শেষ হলে, আওয়ামি লিগের রাজনীতি করার ইস্যুর একটা প্রধান মাধ্যম শেষ হয়ে যাবে।
পানি চুক্তিঃ
ভারত তথাকথিত পানি চুক্তি করে বছরের পর বছর বিভিন্ন নাটক করে চলেছে। এর অবসান ঘটাতে হবে। খালেদাকে স্পস্ট করে বলতে হবে যে তিনি ক্ষমতায় গেলে সরাসরি এই ইস্যুটি জাতিসংঘে তুলবেন।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অজুহাতে ভারত অনেক টালবাহান করেছে। আর টালবাহার সুযোগ নেই। এমনিতে আমাদের পানি এবং পানি সম্পদ আশংকজনকভাবে কমে গিয়েছে। তাই সময় থাকতেই এই বিশঅয়ে সুরাহা হওয়া দরকার।
দেশদ্রোহিদের বিচার এবং ফায়ারিং স্কোয়াডঃ
বর্তমান প্রধানমন্ত্রির উপদেস্টারা বিশেষ করে এইচ টি ইমাম, গওহর রিজভি এবং মশিয়ুর রহমান যেভাবে প্রকাশ্যে ভাররের সেবাদাসের ভুমিকায় অবতীর্ন, সেটা এক মাত্র স্বাধীনতা যুদ্ধকালিন সময়ে গোলাম আযম নিযামিদের কথায় স্মরণ করিয়ে দেয়।
এধরনের বিপদজনক দেশদ্রোহিদের বিচারের কাঠগড়ায় দার করিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ঘোষনা শুনতে চাই খালেদা জিয়ার কণ্ঠে। সাথে যুগে যুগে আওয়ামি সন্ত্রাসের কারণে নিহত হজ্র হাজার মানুষের প্রাণ ও সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্যও আওয়ামি নেতাদের বিচার করার ঘোষনা আসতে হবে। বিডিয়ার বিদ্রোহের সময়ে সামনে পেছনে ইন্ধনদাতাদের পরিণতিও দেশদ্রোহিদের সমান হওয়াটাই উপযুক্ত বলে মনে করছি।
যদি খালেদা জিয়া বিবেকের কাছে পরিস্কার হন, তাহলে দেশবাসির এই সামান্য কিছু চাওয়া পাওয়াকে তিনি অবশ্যই সম্মান দেখাবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।