আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিমচন্দ্রের কেলেঙ্কারি: এই নিমচন্দ্রকে নিয়োগ দেয়ার জন্য কেন এই সরকারকে ইমপিচ করা হবে না?

নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিকের জন্ম দেওয়া বিভিন্ন কেলেঙ্কারির তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত দলকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। কে এই নিমচন্দ্র? নিমচন্দ্রদের দেহ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আত্মা ভারতে। তাই তিনি নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ পেলেও গাড়িতে ওড়াতেন ভারতীয় পতাকা। নারীলিপ্সু নিমচন্দ্র মনীষা কৈরালাকে একান্তে পাওয়ার জন্য তার বাড়ির গেটে একাধিকবার ধর্ণা দিয়েছেন।

উত্তেজনার চোটে তার বাড়ির গেট ধরে ধাক্কাধাক্কি করেছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিতে ঘুষ নিয়েছেন। Click This Link এত সব জঘন্য অপরাধের পরও নিমচন্দ্রকে প্রত্যাহার করা হয়নি। এমনকি নেপালের পররাষ্ট্র দপ্তর অনানুষ্ঠানিকভাবে নিমচন্দ্রকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানোর পাঁচ মাস পরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অপরাধ 'যথাযথ' কিনা- তা তদন্ত করতে সরকার তদন্তকারী দল পাঠিয়েছে কাঠমান্ডুতে।

অনেকে মনে করেন, এই নিমচন্দ্ররা কীভাবে প্রশাসনের এত উচ্চ পদে কীভাবে নিয়োগ পেল, তার তদন্ত হবে ঢাকায় সরকার পরিবর্তিত হওয়ার পর। এই সরকারের আমলে এর সঠিক তদন্ত হবে না। বিএনপি সরকার এসেই এর তদন্ত করতে পারবে। তারা এর কারণ হিসেবে আক্ষেপ করে বলেন, নিমচন্দ্র তো তার গাড়িতে একটি ভারতীয় পতাকা উড়িয়েছেন। কিন্তু এই সরকারের যে তদন্ত দল গেছে, দেখা যাবে, তারা অসংখ্য ভারতীয় পতাকা নিয়ে গেছেন।

নিমচন্দ্ররা ভারতের পতাকা উড়াবেই। এটা বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষ জানে। নিমচন্দ্ররা চায় বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ না থাকুক। পূর্ববঙ্গ নামক একটি রাজ্য হয়ে যাক। এবং তারা হয়তো মনেপ্রাণে ভাবে যে, এটি আর বাংলাদেশ নেই, পূর্ববঙ্গ হয়ে গেছে।

তা না হলে এতবড় ধৃষ্ঠতা তারা কীভাবে দেখায়? আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও এটি বাংলাদেশ। ভারত এখনো হয়নি। তবে মূল অপরাধ করেছে, বর্তমান সরকার নিমচন্দ্রদের প্রশাসনের উচ্চ পদে বসিয়ে। এক নিমচন্দ্রের অপরাধ ধামাচাপা দেয়ার মতো ছিল না বলে চাপা থাকেনি। এই নিমচন্দ্ররা বাংলাদেশের আর কী কী ক্ষতি করেছে বা করছে- তা জাতি জানতে চায়।

এবং তাদের সে জিজ্ঞাসার উত্তর পাওয়া যাবে ভারতবান্ধব সরকার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর। সেদিনের অপেক্ষায় রইলাম। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।