আজ দেখলাম "গয়নার বাক্স"। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের 'গয়নার বাক্স ' এর অবলম্বনে অপর্না সেন পরিচালিত "গয়নার বাক্স"।
গল্পের শুরু ১৯৪৯ সালের পটভূমিতে, আর শেষ ১৯৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। বিধবা পিসি রাসমণি, তার ভাইয়ের ছেলের বৌ সোমলতা এবং সোমলতার মেয়ে চৈতালি -এই তিন নারী চরিত্র আর সর্বোপরি গয়নার বাক্সকে কেন্দ্র করে গল্প এগিয়ে চলে -পরিনতি পায়। ১২ না পরতেই বিধবা হয় রাসমণি।
সেই থেকেই বাপের বাড়িতেই থেকে যায়। এরপর হঠাৎ একদিন তার মৃত্যু হয় সবার অজান্তে। ভূত হয়ে সে তার প্রাণাধিক প্রিয় গয়নার বাক্সটা সবার অলক্ষে সযত্নে রাখার দায়িত্ত্ব দেয় সোমলতাকে। বাক্স খুঁজে না পেয়ে সন্দেহের তীর যায় লতার দিকে।
পিসিমার ভূত সোমলতাকে সব রকমের প্রতিকূল অবস্থা থেকে সামলে রাখে।
তাই ঘটতে থাকে নানা মজার ঘটনা। দিন কাটতে থাকে... অনেক দিন পর চৈত্র মাসে চন্দন আর সোমলতার কন্যা সন্তান জন্মায় মিত্র পরিবারে। এই নতুন প্রজন্মের হাতে গয়নার বাক্স নতুন রূপে ধরা দেয়। ... বলা যায় আমাদের সমাজের বিভিন্ন প্রজন্মের নারীদের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি ধরা পড়েছে এই ছবিতে।
এ তো গেল গল্প।
এবার একটু চোখ ফেরানো যাক অভিনয়ের দিকে। অভিনয়ের দিক থেকে কেমন হয়েছে এই ছবি? এক কথায় ব্যাপক। রাসমনির চরিত্রে মৌসুমী চ্যাটার্জী অনবদ্য। বহুদিন পর তাঁর অভিনয় প্রমাণ করল তিনি এখনো প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। লাজুক সোমলতার ভূমিকায় কঙ্কনা সেনশর্মা শুধু ভালই নয় -খুব ভালো।
কম বয়েসের পিসিমা আর চৈতালি -এই দ্বৈত ভূমিকায় দেখা গেল শ্রাবন্তী বিশ্বাস কে। তাঁর অভিনয় বেশ সাবলীল। আর যাদের কথা না বললেই নয় তাঁরা হলেন সোমলতার স্বামী চন্দনের চরিত্রে শাশ্বত চ্যাটার্জি এবং শ্বশুর-এর ভূমিকায় পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের অভিনয় সিনেমায় আলাদা মাত্রা এনেছে। ডিজিটাল টেকনোলজির ভুত পিসিমার ডায়লগ আর কর্মকান্ড দেখে হাসতে বাধ্য হবেন।
সোমলতা কোত্থেকে টাকা এনে স্বামিকে ব্যাবসা করার জন্যে দিয়েছে এই কথা জানার জন্যে যখন তার স্বশুর তাকে জেরা করে তখন র্যাপ সং টা খুব চমৎকার ছিলো । সিনেমা শেষ হয় যেই কবিতা+গান দিয়ে ওটাও অনেক সুন্দর ছিলো
এবার সমালোচনাঃ
* বিকৃত কিছু ১৮+ চিন্তাধারার অ্যাড করা।
* ব্যাক গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে আর অনক্রিনে রোমান্স সিন। ।
* '৭১ এর সময় মেয়েরা চাইলেই যে সিগারেট খেতে পারতো সেটা জানা ছিল না।
।
* আর স্কুটি???সেই সময়ে চৈতালি স্কুটি নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছিলো।
কিছু অসঙ্গতি বাদ দিলে সিনেমাটি ভালো লাগার কথা।
দেখে নিন গয়নার বাক্স---ডিরেক্ট ডাউনলোড
টরেন্ট ডাউনলোড
রিভিউ আইডিয়াটা ধার করা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।