খুবই প্রানবন্ত কথা বললেন তিনি । শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। বাংলা সাহিত্যের
প্রবাদ প্রতীম পুরুষ । এসেছিলেন এবিসি ( আমেরিকা বাংলাদেশ কানাডা)
সম্মেলনে। একটা সেমিনার ছিল।
বিষয় - তৃতীয় বাংলার সাহিত্য- সংস্কৃতির সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে কী ?
১৮ জুলাই ২০১০ রোববার এই সেমিনারে দর্শক- শ্রোতা ছিলেন হল ভর্তি।
আমিও ছিলাম তার সাথে প্যানালিষ্ট । মূল প্রবন্ধ পড়লেন - বিশিষ্ট লেখক ফেরদৌস সাজেদীন।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বললেন , আপনারা যারা পরবাসে থেকে বাংলা সাহিত্য চর্চা করেন , তাদের কাছে বাংলা ভাষা - বাংলা সংস্কৃতি ঋণী।
কারণ আপনারা বিদেশ বিভূঁইয়ে এই শব্দাবলীর চাষ করছেন।
বললেন - বাংলা ভাষা নিয়ে আমরা পশ্চিমবংগ বাসীরা সন্দিহান।
তবে ভরসা এই , যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে - যতোদিন বাংলাদেশের
মানুষ থাকবে , ততোদিন বাংলাভাষা বাংলা সংস্কৃতি থাকবে।
বললেন - ভারতবর্ষ যদি আমাকে তাড়িয়ে দেয়, জানি বাংলাদেশ আমাকে বুকে তুলে নেবে ।
তিনি খুব গর্ব নিয়ে বললেন - আমি বাংলাদেশে গেলে যে আত্মীয়তা পাই, তা বলার মতো নয় । ভাষায় বুঝানোর মতো নয়।
তাঁর লেখা মানবজমিন নিয়ে বাংলাদেশে ধারাবাহিক হচ্ছে ।
এ প্রসংগে বললেন , আশাকরছি এটি একটি খুব ভালো সিরিয়াল হবে।
অভিবাসী লেখকদের উদ্দেশে বললেন , আপনাদের রিসোর্স অনেক।
তা কাজে লাগিয়ে লেখালেখি অব্যাহত রাখতে হবে।
শীর্ষেন্দু দা'র সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৯২ সালে লন্ডনে।
সেখানে বাংলাসাহিত্য সম্মেলন এ প্রধান অতিথি ছিলেন
কবি সুফিয়া কামাল। শীর্ষেন্দু ছিলেন বিশেষ অতিথি। সেই সম্মেলনে
আমারও কথা বলার সুযোগ হয়েছিল ।
দীর্ঘ প্রায় আঠারো বছর পর তাঁর সাথে আবারও আড্ডা হলো।
মনে হলো, তিনি যেমন ছিলেন - ঠিক তেমনই আছেন ।
সেই প্রাণখোলা হাসি । সেই উচ্ছল আড্ডাবাজ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।