বৃহষ্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্য দেন এ মামলার অন্যতম তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মঞ্জুর আহমেদ।
সাক্ষ্য অসমাপ্ত রেখেই আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন বিচারক মো. নূরুল ইসলাম।
মামলার একাদশতম সাক্ষী মঞ্জুর তদন্তে পাওয়া বিষয়গুলোই এ তার সাক্ষ্যে উল্লেখ করেন।
তিনি আদালতকে জানান, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বিমান বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির নির্মিত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক একটি রাডার ও দুটি লো-লেভেল রাডার কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
এই দুদক কর্মকর্তা বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে ফ্রান্সের ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯শ ১৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন।
এর আগে এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক দুদক কর্মকর্তা আলী হায়দার, বিমান বাহিনীর সাবেক অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল মতিন শাহ, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর সিদ্দিক আলম, সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট (এয়ার হেডকোয়ার্টার) শামসুদ্দিন তালুকদার, সাবেক সহকারী (প্রধান কার্যালয়) ফরিদ আহমেদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক স্টেনোগ্রাফার এরশাদ আলী তালুকদার, একই মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী সচিব মো. আব্দুল ওয়াদুদ, বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন এম নূরুল ইসলাম, বিমান বাহিনীর গ্রুপ অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন কামাল আহমেদ ও অনুসন্ধান টীমের সদস্য তৎকালীন দুদকের কর্মকর্তা এবিএম নূরুন্নবী।
আদালতের সাক্ষ্য গ্রহনকালে এরশাদ উপস্থিত না থাকলেও সাবেক সহকারী বিমান বাহিনীর প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি একেএম মুসা পলাতক রয়েছেন।
একটি হাই-পাওয়ার এবং দুটি লো-লুকিং লেভেল রাডার কেনায় রাষ্ট্রের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকার ক্ষতির অভিযোগে ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এ মামলা করে।
১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর চার্জশিট দাখিলের পরের বছর ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।