জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমানের রাডার কেনার ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন বলে আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদ আদালতে সাক্ষ্য দেন। ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আদালত আগামী ১৪ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
মঞ্জুর আহমেদ বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক। সাক্ষী মঞ্জুর আহমেদ আদালতকে জানান, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন।
জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির নির্মিত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক একটি রাডার ও দুটি লো-লেভেল রাডার কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
কিন্তু এরশাদসহ এ মামলার অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের ওই প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কোম্পানির কাছ থেকে রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।
এর আগে এ মামলায় ১০ জন সাক্ষ্য দেন। আজ এইচ এম এরশাদ আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন।
মামলার অন্য দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি এ কে এম মুসা পলাতক।
১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এ মামলা করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।