বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলেই পরিচয়.....
শীতে পোশাকের যত্ন শীতের সময় ব্যবহূত পোশাকগুলোর নিয়মিত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, শীতের পোশাকগুলো বছরের দুই-তিন মাসই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তারপর আবার এই পোশাকগুলোর স্থান হয় আলমারি বা স্টোরে। সঠিক উপায়ে যত্নের মাধ্যমে পোশাকগুলো দীর্ঘদিন কীভাবে পরার উপযুক্ত রাখা যায়, এ বিষয়ে জানালেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ের বস্ত্র ও পরিচ্ছেদ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা হক।
উলের কাপড় পরার আগে প্রথমেই ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
উলের কাপড় ধোয়ার জন্য কম ক্ষারযুক্ত সাবান, জেট পাউডার ও শ্যাম্পু বিশেষ উপযোগী।
পশমি কাপড়ে রং ওঠার সম্ভাবনা থাকলে তা রিঠার পানিতে ধোয়া নিরাপদ।
উলের কাপড় ধোয়ার পর পানি নিংড়ানোর জন্য কখনোই মোড়ানো ঠিক নয়। এতে কাপড়ের ক্ষতি হয়। ধোয়ার পর বড় আকৃতির তোয়ালের মধ্যে কাপড়টি জড়িয়ে দুই হাত দিয়ে চেপে পানি নিংড়াতে হবে।
উল বা পশমি কাপড় বেশিক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আনুমানিক এক ঘণ্টার বেশি সময় কাপড় পানিতে ভিজিয়ে না রাখাই ভালো।
পশমি বা উলের কাপড় ইস্ত্রি করার সময় এর ওপর সুতির কাপড় বিছিয়ে নিন।
উলের কাপড়ের প্রধান শত্রু মথ পোকা। এর উপদ্রব কমাতে উলের কাপড় ভাঁজ না করে হ্যাঙারে ঝুলিয়ে রাখুন এবং যেখানে উলের কাপড় রাখবেন, সেখানে শুকনো নিমপাতা ছড়িয়ে রাখুন।
উল বা পশমি কাপড় কখনোই কড়া রোদে শুকাতে দেবেন না।
চা, কফি, কালি বা ফলের রসের দাগ যা-ই লাগুক না কেন, সঙ্গে সঙ্গেই উলের কাপড়ের ওই অংশটুকু পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর ওই দাগের ওপর স্পঞ্জে করে ভিনেগার অথবা গ্লিসারিন নিয়ে বৃত্তাকারভাবে ঘষুন।
উল বা পশমি কাপড় ওয়াশিং মেশিনে না ধোয়াই ভালো।
উলের কাপড় ধোয়ার সময় কখনই কাপড় ব্রাশ দিয়ে ঘষবেন না।
ডিটারজেন্ট পানিতে কাপড় ভিজিয়ে কিছুক্ষণ পর দুই হাত দিয়ে কাপড় কেচে নিন। এতে কাপড়ের ভেতর জমে থাকা ময়লা দূর হয়ে যাবে। হাতমোজা ও মাফলার ধোয়ার সময়ও একই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
এখন বিভিন্ন ধরনের ব্লক, বাটিক বা হাতের কাজের খাদির চাদর অনেকেই ব্যবহার করেন। এসব চাদর ধোয়ার আগে এর লেবেলে সাঁটানো ধোয়ার নিয়মাবলি দেখে নিন।
চাদর বা শাল ভাঁজ করে তারপর গোল করে মুড়িয়ে রাখুন।
পশমি কাপড় ধোয়ার সময় পানিতে সাদা কাপড়ের বেলায় লেবুর রস এবং রঙিন কাপড়ের বেলায় ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এতে কাপড়ের ঔজ্জ্বল্য ঠিক থাকবে।
বিপাশা রায়
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ২৬, ২০১০ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।