শুক্রবার কিরকুকের ওয়াহেদ হুজেইরান এলাকায় ভয়াবহ এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রগুলো।
রোজাদাররা ইফতার শেষে ওই চায়ের দোকানে এসে জমায়েত হয়েছিল। এ সময় বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে দোকানটি ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে বিধ্বস্ত হয়।
বোমা হামলার প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ বলেন, “আমি দোকান (চায়ের দোকান) থেকে বের হয়ে অপর পাশে আমার দোকানে যাই, এর পরপরই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
আমি অল্পের জন্য বেঁচে যাই। বিস্ফোরণের ধাক্কায় আমার দোকানের সামনের কাঁচের অংশটি উড়ে যায়। ভাঙা কাঁচের টুকরায় আমি আহত হই। ”
“বিস্ফোরণ স্থলে ফিরে গিয়ে দেখি লাশ আর লাশ, এর মধ্যে কয়েকটি লাশ এমন ভাবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যে সেগুলো আর চেনাই যাচ্ছে না,” বলেন তিনি।
তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি।
তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়াদের প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে সংখ্যালঘু সুন্নিদের মধ্য থেকে সদস্য সংগ্রহ করে বিদ্রোহীরা একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবারও সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশজুড়ে চালানো বিভিন্ন বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছিল।
কিন্তু রাতে বাগদাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে দুজাইল শহরে একটি শিয়া মসজিদ লক্ষ করে আরো একটি গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়। এতে আরো অন্তত ২২ জন নিহত হলে মোট নিহতের সংখ্যা অন্তত ৬৬ জনে গিয়ে দাঁড়ায়।
রাতভর আরো কয়েকটি হামলায় আরো কয়েজন নিহত হলে নিহতের মোট সংখ্যা রাত শেষে ৭৬ জনে গিয়ে ঠেকে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জাতিসংঘের হিসাবমতে শুধু জুন মাসেই ইরাক জুড়ে এ ধরনের জঙ্গি হামলায় অন্তত ৭শ’ ৬১ জন নিহত হয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।