ব্যাংকের এটিএম বুথেই মিলছে জাল টাকা! দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকার সিন্ডিকেটগুলো বিভিন্ন ব্যাংককে জাল টাকা ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো রহস্যজনক কারণে এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে এটিএম বুথ থেকে জাল টাকা পেয়েছেন এমন গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অভিযোগ দিলেও উল্টো াঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ৯ অক্টোবর বেলা সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি মার্কেটের এটিএম বুথ থেকে সাত হাজার টাকা তোলেন সাংবাদিক জাকারিয়া সৌখিন। পরে স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কারওয়ান বাজার শাখায় জমা দিতে গেলে একটি ৫০০ টাকার নোট (ক ক ১৩৮৮৩০৮) জাল টাকা ধরা পড়ে।
পরে ওই জাল টাকা নিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করতে গেলে এক কর্মকর্তা তাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেন। পরে এ ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর মো. আশরাফুল আলম নামের এক ব্যক্তি (ঈৎবফরঃ ঈধৎফ ঘড়. ৫৩০৮৬৫৩৬২১৪৪২৮৬) বিজয়নগর এটিএম বুথ থেকে বেলা ১১টার দিকে ২০ হাজার টাকা তোলেন।
তবে ওই দিনই ওই টাকার প্রয়োজন না হওয়ায় তিনি টাকাগুলো নিরাপত্তার জন্য বিজয়নগর শাখায় জমা দিতে যান। তবে টাকা গ্রহীতা ওই টাকাগুলোর মধ্যে একটি জাল ৫০০ টাকার নোট পান।
পরে ব্যাংকের ম্যানেজার (ক্যাশ) নজরুল ইসলাম কোনো রকম যাচাই-বাছাই না করে আশরাফুলকে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। নইলে জাল টাকার ব্যবসায়ী বলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকি দেন।
সম্প্রতি বাংলামোটরের ডাচ-বাংলা ব্যাংকে পাঁচ হাজার টাকা তুলতে গিয়ে জাল টাকা পেয়েছেন মো. মামুন নামের এক ব্যবসায়ী। পরে শান্তিনগরের ডাচ-বাংলা ব্যাংক শাখায় অভিযোগ করলে ব্যাংক কর্মকর্তারা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেন। নইলে জাল টাকা ব্যবসায়ী বলে পুলিশকে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন তারা।
এ বিষয়ে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান জানান, এ ধরনের কয়েকটি অভিযোগ তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন। তবে এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে র্যাব। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও উচিত এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা।
ডিবির সহকারী কমিশনার মশিউর রহমান জানান, আরও কয়েকটি জাল টাকার চক্রকে ধরতে তারা ফাঁদ পেতেছেন। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, গণমাধ্যমে নতুন নোটের ছবির মাধ্যমে আসল নকলের চিহ্ন দেখিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন ব্যাংকের বিষয়ে যে অভিযোগ আসছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এমডি কে এস তাবারেজের সেলফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ওই ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহজাদা বসুনিয়া মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'বুথে টাকা লোড করার আগে পরীক্ষা করা হয়। এরপর বুথের টাকা জাল বা নকল হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।