ক্রিকেটের মক্কা লর্ডস। ২০০৯ সালের ৫ জুন। টি-২০ ফরম্যাটের ৯০ নম্বর ম্যাচে ইংলিশদের মুখোমুখি নেদারল্যান্ড। দ্বিতীয় টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অবিশ্বাস্য কাণ্ডটাই ঘটাল ডাচরা। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের করা ১৬২ রান টপকে গেল ৪ উইকেট হাতে রেখেই! ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এরপর আর কখনোই দেখা হয়নি ঔপনিবেশিক আমলের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চেই আবার দেখা দুই দলের। প্রতিশোধের স্পৃহা হয়ত ছিল স্টুয়ার্ট ব্রডদের মনে। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে প্রবল শক্তিধর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিতই থাকল নেদারল্যান্ড। গতকাল সুপার টেনে নিজেদের শেষ ম্যাচে ডাচরা ইংলিশদের হারিয়েছে ৪৫ রানে!
টস জিতে ইংল্যান্ড ফিল্ডিং নিয়ে কোনো ভুল করেনি।
এবারের বিশ্বকাপে টসজয়ীরা সাধারণত ফিল্ডিংই নিচ্ছে। সফলতার হারটাও খারাপ নয়। ইংলিশ অধিনায়ক স্টুয়ার্ট ব্রড ডাচদের ১৩৩ (৫ উইকেটে) রানে আটকে দিয়ে ফিল্ডিং নেওয়ার যথার্থতাও প্রমাণ করেছিলেন। কিন্তু কে জানতো প্রথম রাউন্ডে আইরিশদের ১৮৯ রানের লক্ষ্য মাত্র ১৩.৫ ওভারে স্পর্শ করে বিস্ময়ের সৃষ্টি করা ডাচরা আরও একটি বিস্ময়ের জন্ম দিতে চলেছে! ১৩৩ রানের মামুলি সংগ্রহ নিয়েও ইংলিশদের ৪৫ রানে হারানো অন্তত নেদারল্যান্ডের মতো দলের জন্য তো বিস্ময়েরই। ডাচ ব্যাটসম্যান বেরেসির ৪৮ এবং মাইবার্গের ৩৯ রানই দলের জামিন হয়ে দাঁড়ায়।
স্টুয়ার্ট ব্রডের মাত্র ২৩ রানে তিন উইকেট শিকার কোনো কাজেই আসেনি শেষ বেলায়। জবাব দিতে নেমে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা অসহায়ভাবে আত্দসমর্পণ করে ডাচ বোলারদের তোপের মুখে। ১৭.৪ ওভারে মাত্র ৮৮ রান করতেই থেমে যায় ইংলিশ ইনিংসের গতি। ডাচ বোলার মুদাসসার বুখারি মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয় করেন। ফন বিক মাত্র ৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন।
তবে সময়মতো আক্রমণ করে ইংলিশ ইনিংসের রাশটা টেনেছিলেন বুখারিই। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেছেন রবি বোপরা। এছাড়া হ্যালস ১২ এবং জরডান ১৪ রান করেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছতে পারেননি!
টি-২০ বিশ্বকাপটা মোটেও ভালো হলো না ইংলিশদের জন্য। শেষ মুহূর্তে নেদারল্যান্ডের কাছে টি-২০ ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের লজ্জা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদেরকে।
ভারতের কাছে ৮০ রানে অলআউট হয়েছিল ইংলিশরা ২০১২ সালে কলম্বোতে। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৮৮ রানে অলআউট হয়েছিল ২০১১ সালে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।