আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাভার থেকে নিখোঁজ হলেন হাজী নূর মোহাম্মদ(ওরফে বোতল হাজী)

সাভার থেকে রাজধানী ঢাকার ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী নূর মোহাম্মদ নিখোঁজ হয়েছেন। বুধবার গভীর রাতে সাদা পোশাকের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তার খোঁজ মিলছে না। র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাত দেড়টার দিকে সাভার পৌর এলাকার ১/৩ কাতলাপুরে বাড়িতে ১০/১২ জন লোক ঢোকে। তাদের সবার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।

এছাড়া বাড়ির বাইরে ৫টি গাড়ি এসে থামে। এর মধ্যে দু’টি গাড়িতে র‌্যাব লেখা ছিল। পরিবারের দাবি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাভারের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গেছে। গত জানুয়ারিতে ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন হাজী নূর।

তবে সমপ্রতি তিনি জামিনে ছিলেন। সর্বশেষ মামলাটি তদন্ত করছিল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মামলায় জামিন পাওয়ার পর থেকেই হাজী নূর মোহাম্মদ ঢাকা ছেড়ে সাভার পৌর এলাকার ১/৩ কাতলাপুরে বাড়িতে নিয়মিতভাবে বাস করে আসছিলেন। হাজী নূরের জামাতা জাহাঙ্গীর জানান, বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে একদল লোক মূল গেটের তালা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে। তালা ভাঙার শব্দে বাড়ির লোকজন বেরিয়ে এলে সবাইকে ভেতরে ঢুকিয়ে বাইরের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।

হাজী নূরের ভাইয়ের মেয়ে শামসুনাহার অভিযোগ করেন, তারা কোন কিছু না বলে কলাপসিবল গেইটের তালা কেটে দোতালায় ওঠে। পরে নূর চাচাকে ধরে নিয়ে যায়। সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। র‌্যাব ৪-এর সাভার ক্যাম্প অধিনায়ক মেজর আরিফুর রহমান জানান, হাজী নূর মোহাম্মদ নামের কাউকে র‌্যাব আটক করেনি। হাজি নূরের ছেলে মামুনের বিধবা স্ত্রী মাকসুদা বেগম বলেন, তিনি তার দু’সন্তান নিয়ে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন।

রাত ১টার দিকে বাড়িতে তার কক্ষসহ ভাড়াটেদের ৫টি কক্ষের দরজা বাইরে থেকে কে বা কারা তালা লাগিয়ে দেয়। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের দরজা খুলে দেয়। পরে দেখি শ্বশুরের ঘরে তিনি (হাজী নূর) নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান জিয়াউল আহসান বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সাভার এলাকার দায়িত্বরত র‌্যাব সদস্যরা নূর মোহাম্মদকে আটক করেনি। র‌্যাব ২-এর অধিনায়ক কামাল হোসেন বলেন, আমরা মিডিয়ায় ঘটনা জেনেছি।

তাকে আমরা ধরে আনিনি। যোগাযোগ করা হলে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ জানায়, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।