ইকার এর নিঃসঙ্গ বচন বারান্দার রেলিং ওপর একটা কাক বসে আছে । শুধু বসে আছে বললে ভুল হবে । তারস্বরে চেচিয়ে যাচ্ছে । পারভেজ সাহেব ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন । আজ ছুটির দিন ।
সকাল সকাল চায়ের কাপ হাতে পত্রিকা নিয়ে বসেছিলেন বারান্দায় । কিন্তু এই কাকের জ্বালায় তো আর থাকা যাচ্ছে না । উঠে পড়লেন বারান্দা থেকে । শোবার ঘরে ঢুকে পত্রিকা ভাজ করে বিছানার উপরে রাখলেন । জরুরী একটা ব্যাপার তার মনে পড়েছে ।
সেলফোনটা নিয়ে খানিকক্ষণ টিপে খুঁজেপেতে তার ড্রাইভারকে ফোন করলেন । প্রায় সাতবারের চেষ্টাতে লাইন পাওয়া গেল । ওপাশ থেকে ঘুম জড়ানো কণ্ঠস্বরে আওয়াজ আসল ,
' হ্যালো স্লামালিকুম ! '
' ওয়ালাইকুম , ঘুমুচ্ছিলে নাকি মঞ্জু ? '
' কে বলেন ? '
' আমি পারভেজ । '
ওপাশ থেকে তড়িঘড়ি করে জবাব এলো, ' সরি স্যার , অনেক রাতে ঘুমাইছিলাম , তাই দেরী হয়ে গেল উঠতে । '
' ওকে নো প্রবলেম , তুমি আসো তাড়াতাড়ি ।
বের হতে হবে । '
' স্যার আমি ১০ মিনিটের মধ্যে আসতেছি । '
ফোন রেখে দিলেন পারভেজ সাহেব । আজ অনেক কাজ । তৈরী হওয়া দরকার ।
বের হওয়ার আগে গোসল করবেন , নাকি ফিরে এসে গোসল করবেন এটা নিয়ে ভাবলেন কিছুক্ষন । তারপর লুঙ্গি গামছা নিয়ে বাথরুমে ঢুকলেন । " তুমি কোন কাননের ফুল ____ " গুনগুন করতে গোসল করতে লাগলেন । মাঝখানে শাওয়ারের ছিদ্র গুলোর দিকে তাকিয়ে তার একটি ব্যাপার মনে হল । আচ্ছা , ওই ছিদ্র গুলো গোল না হয়ে চারকোনা হলেও কি পানি একই ভাবে পড়ত ? খানিক হকচকিয়ে গেলেন ।
অংকে তিনি কখনোই বিশেষ সুবিধার ছিলেন না । জ্যামিতিতে আরো খারাপ । গোল মানে বৃত্ত এইটুকু জানেন আর চারকোনা মানে স্কোয়ার । বৃত্ত বেশি জায়গা দখল করে , নাকি স্কোয়ার ? এইসব আজগুবি চিন্তায় যখন পানিতে ভেজা মাথা গরম হতে শুরু করেছে - তখনই বাথরুমের দরজায় নক । স্ত্রী ডাকছেন ।
পারভেজ সাহেব গা মুছে লুঙ্গি পড়ে বের হলেন । ড্রাইভার এসেছে । পারভেজ সাহেব স্ত্রীকে কাপড় বের করতে বললেন । তাঁর স্ত্রী অবাক হলেন । বিরক্তির স্বরে বললেন , " আজকে কোথায় যাচ্ছ ? ইমার এক বান্ধবীর জন্মদিন ।
আমি কিন্তু বিকালে থাকব না । তাড়াতাড়ি ফিরবে । '
' আচ্ছা সমস্যা নেই , তুমি যখন খুশি যেও । আমার দেরী হবে । খেয়ে ফিরব ।
'
পারভেজ সাহেবের স্ত্রী রাবেয়া আর কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না । রান্নাঘরের দিকে চলে গেলেন ।
পারভেজ সাহেব বেছে বেছে সবচাইতে সাধারন দেখে কালো রঙ এর পাঞ্জাবিটি পড়লেন । তাঁর সব পাঞ্জাবিই অসাধারন । কারুকাজ খচিত ।
সাধারন সুতি পাওয়া খুব কঠিন । কিন্তু এমন দিনে কালো ছাড়া জমেনা । শোকের প্রতীক কালো । কিন্তু এই বিষয়ে পারভেজ সাহেবের ঘোরতর আপত্তি । কালো রঙ শোকের প্রতীক কেন হবে ? শোকের প্রতীক হওয়া উচিত রুপালি না হয় ধূসর ।
শোকে মানুষজন কাঁদে । অধিক শোকে পাথর হয়ে যায় । দুটার রং হল রুপালি আর ধূসর । এইসব প্রতীক গুলি কে বানায় ? বাংলা একাডেমি নাকি ? বাংলা একাডেমিতে তাঁর একজন বন্ধু আছে । ওর সাথে একদিন আলাপ করে দেখা দরকার ।
ডুপ্লেক্স বাড়ির নিচতলায় নেমে তিনি ড্রাইভার মঞ্জুকে দেখতে পেলেন । জড়সড় হয়ে বসেছিল । তাকে দেখেই লাফিয়ে উঠে একটা সালাম দিল । তিনি সালামের উত্তর দিলেন মাথা নাড়িয়ে । সবসময় সালামের জবাবে "ওয়ালাইকুম" বলতে হয়না ।
এতে নাকি ভার কমে যায় । তিনি ইশারায় মঞ্জুকে গাড়ি বের করতে বললেন । নতুন কেনা মেটালিক কালো রং এর টয়োটা ইয়ারিশ এ চড়ে তাঁর বেশ ফুর্তি ফুর্তি লাগতে শুরু করল । মঞ্জু মিনমিনে গলায় জিজ্ঞাসা করল , ' স্যার যাব কোথায় ? '
পারভেজ সাহেব হৃষ্টচিত্তে বললেন , ' সাভারের দিকে । রানা প্লাজা চেন ? ওখানে চল ।
'
মঞ্জু ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল । বলল , ' স্যার , ওখানে কেন ? কোনও কাজ আছে স্যার ওই দিকে ? '
' ওখানে কেন মানে ? দেশের খবর তো কিছুই রাখনা । রানা প্লাজা ধ্বসে পড়েছে জাননা ? ওখানে যাচ্ছি "ত্রান" কার্যে সহায়তা করতে । '
মঞ্জু শুকনো মুখে বলল , ' স্যার গ্যাস বেশি নাই , গ্যাস নিতে হবে । সামনের পাম্পে থামাব ? '
পারভেজ সাহেব জবাব দিলেন না ।
এই লোকটি তাকে এত ভয় পায় কেন কে জানে ! তিনি কি বাঘ না ভাল্লুক ? মালিক হয়েছেন দেখেই কি তাকে ভয় পেতে হবে নাকি ? তাছাড়া পারভেজ সাহেবের ধারণা তিনি অন্যান্য "মালিক" দের মত মোটেই মানবতা বিরোধী নয় । তাঁর প্রত্যেকটি কাজের লোককে তিনি প্রতি ঈদে একসেট করে কাপড় কিনে দেন । এরকমটা কি সবাই করে নাকি ? তবে তাঁর স্ত্রী আবার একটু শাসন করতে পছন্দ করেন । মিতা নামের নতুন পিচ্চিটিকে রাবেয়া নিয়ম করে মারধোর করেন । এই সেদিনও খুন্তি দিয়ে পিটিয়ে পিঠে ঘা করে দিলেন ।
তবে শাসনের দরকার আছে । পারভেজ সাহেব শাসনের পক্ষপাতী । কথায় আছে , "আদর করা তারই সাজে শাসন করে যে " । ইয়ারিশের ব্ল্যাক পলিশ করা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে উদাস হয়ে গেলেন পারভেজ সাহেব । সেই উদাস ভাব থেকে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লেন টের পেলেন না ।
ঘুম ভাঙল মঞ্জুর ডাকে । আমেজে তিনি আরামদায়ক সিটে প্রায় শুয়েই পড়েছিলেন । উঠে বসলেন । জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেন । এরপরে তিনি যা দেখলেন সেটা তিনি জীবনেও ভুলবেন না ।
হাজার হাজার মানুষ । প্রায় রোমের কলসিয়ামের মত দেখতে একটা জায়গাকে ঘিরে গিজগিজ করছে । হাশরের ময়দানে উপস্থিত হয়ে পড়লেন নাকি সন্দেহ হল । এটাই তাহলে সাভার !
মঞ্জু গাড়ী পার্ক করার জায়গা পাচ্ছিল না । অনেক কষ্টে খুঁজে পেতে এক দোকানের সামনে পার্ক করা হল ।
পারভেজ সাহেব গাড়ী থেকে নামলেন । নামার সাথেই আগুন গরম রোদের হলকা ধক করে এসে লাগল । ভীড় ঠেলে এগুবেন কিনা চিন্তা করছেন , তখন দেখলেন একজন লুঙ্গি কাছা মারা এক লোক মঞ্জুকে দেখে এদিকে এগিয়ে আসছে । লোকটা মঞ্জুকে জিজ্ঞাসা করল , ' আরে মঞ্জু ভাই না ? গতরাইতে পৌছাইতে পারছিলেন ঠিকমত ? '
মঞ্জু শুকনো মুখে জবাব দিল , ' হ্যা পৌছাইছিলাম ঠিকঠাকই । আজ স্যারকে নিয়ে আসছি ।
'
লুঙ্গি কাছা মারা লোকটিকে স্যারের ব্যাপারে উৎসাহী দেখা গেল না বিশেষ । তবে স্যারের কথা শুনে সে ওখান থেকে একটু সরে গিয়ে একটা সিগারেট ধরাল ।
পারভেজ সাহেব ব্যাপার কিছুই বুঝলেন না । মঞ্জুকে জিজ্ঞাসা করলেন , ' তোমার পরিচিত নাকি ? '
ভয় পাওয়া গলায় মঞ্জু বলল , ' পরিচিত না স্যার । গতকাল আপনাকে বাসায় নামায় দিয়া এইখানে আসছিলাম কাজ করতে ।
তখন একসাথে কাজ করছিলাম । '
' তুমি গতকাল এইখানে এসেছিলে ? '
' জি স্যার , ওই জন্যই সকালে ঘুম ভাঙতে দেরি হইল । '
' আমাকে জানাওনি কেন ? '
' না মানে স্যার , আমি ভাবলাম আপনি এইখানে আইসা কি করবেন ___ তাই আর - '
' গর্দভ ! আমি কি করব মানে ? আমি করব নাতো কি তোমার মত লোকজনকে এইখানে দরকার ? দেখো খালি আমি কি করি । '
মঞ্জু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকল । পারভেজ সাহেবের হঠাত করেই কোনও কারন ছাড়া রাগ উঠতে লাগল ।
বুঝতে পারছিলেন না কেন । কিন্তু রেগে যেতে লাগলেন । রেগে গেলে আবার তাঁর খুব ঘাম হয় । একে তো কাঠফাটা রোদ তাঁর উপর রাগ - তাঁর গা বেয়ে ঘামের স্রোত বইতে লাগল । রাগ কমানোর একটাই উপায় ।
ধূমপান । দুনিয়ায় সিগারেট নামক বস্তুটিই একমাত্র তাঁর রাগ কমাতে পারে । রাস্তার একধারে দাঁড়িয়ে একটা বেনসন ধরালেন । লম্বা একটা টান দিয়ে ভাবছেন কি করা যায় । সাথে বিশ হাজারের মত টাকা এনেছেন ।
কিন্তু কাকে দিবেন বুঝতে পারছেন না । এখানে টাকা সংগ্রহ করছে এরকম কাউকে তো দেখছেন না । সবাই হাতুড়ি - বাটাল নিয়ে ব্যাস্ত । এদিক ওদিক তাকাতে গিয়ে হঠাত এক জায়গায় চোখ আটকে গেল পারভেজ সাহেবের । মঞ্জু ।
হাতে লম্বামতন কাচি টাইপ কি একটা যন্ত্র নিয়ে এক জায়গায় চেপে ধরে টানাটানি করছে । ওর সাথে আরও কয়েকটা লোক । দেখে মনে হচ্ছে ওটা কোনও ধরনের কাটিং টুলস । বিরক্তিতে ভ্রূ কুচকালেন তিনি । ড্রাইভারটার পাখা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে ।
তাঁকে না জানিয়েই সে এখন সাভারে চলে আসে , কাটিং টুলস নিয়ে লাফালাফি করে । পাখা এখনই কেটে না দিলে পরে পস্তাতে হবে ।
সিগারেট শেষ করে পারভেজ সাহেব মঞ্জুকে ডাক দিলেন । মঞ্জু প্রায় দৌড়ে আসল । পারভেজ সাহেব চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন , ' তোমার তো এখানে ভালই চেনাজানা , তা সাহায্যের টাকা কোথাইয় দিতে হয় জানো ? '
' স্যার এইখানে কোনও টাকা নিতেছেনা ।
কেউ কেউ বোতলে কইরা অক্সিজেন আনে , কেউ আনে বিস্কুট - জুস । ভিতরে আটকা পড়া মানুষ টাকা দিয়া কি করব ? '
' টাকা দিয়ে কি করবে মানে ? ওদের তো এখন টাকাই দরকার । শোনও মঞ্জু , এইসব গার্মেন্টস ওয়ার্কার হল সব ছোটলোকের একশেষ । এদের টাকা দিবে , এরা ঠান্ডা । যাহোক , এখনকার মত তাহলে কি করা যায় ? '
' স্যার আপনি ওই পাশের দোকানটা থেইকা জুস আর বিস্কিট কিনা দিতে পারেন ।
এইগুলি কাজে লাগে । আমারে আগে বললে আমি আপনাকে অক্সিজেনের কথা জানাইতাম । এখন তো আর কিছু করার নাই । '
' তোমাকে আগে বললে মানে ? কথা সাবধানে বলবে । তোমাকে আমার আগে থেকে জানিয়ে কাজে নামতে হবে ? স্টুপিড ! '
মঞ্জু কিছু বলল না ।
মাথা নিচু করে থাকল ।
জুস-বিস্কুট কেনা হল । সেগুলি দিতে যাওয়ার সময় পারভেজ সাহেব মঞ্জুকে জিজ্ঞাসা করলেন , ' জিনিসগুলো যে আমিই দিচ্ছি এটা কি রেজিস্ট্রি করা হবে নাকি ?' মঞ্জু সদুত্তর দিতে পারলো না । পারভেজ সাহেব ক্ষেপে গেলেন । তিনি যে যে সাহায্য করছেন এটা যদি কেউ নাই জানে তাহলে সাহায্য করে লাভটা কি !
প্লাজা ক্রস করার সময় দেখলেন টিভি ক্যামেরার অনেক ভিড় ।
সেখানে কয়েকজন উদ্ধারকর্মী একজন আহত কে বের করেছে । তাঁকে ঘিরেই জটলা । ঠেলে সেখানে গেলেন তিনি কোনওমতে । ততক্ষনে পকেটের ক্যামেরাটা হাতে চলে এসেছে । শাটারে প্রেস করবেন এরকম সময় এক উদ্ধারকর্মীর হাত চলে আসল আহত মানুষটির মুখের ওপর ।
মেজাজটাই বিগড়ে গেল পারভেজ সাহেবের । উদ্ধারকর্মীকে চেচিয়ে বললেন , ' দেখছ না ছবি তুলছি ? হাতটা সরাও । '
তাঁকে সমর্থন দিলেন কোনও এক চ্যানেলের টিভি ক্যামেরাম্যান । বললেন , ' এই গুলি উদ্ধারের নামে যা শুরু করেছে না , ঠিকঠাক ছবিই তোলা যায় না । '
আরাম করে গোটাচারেক ছবি তুলে বেশ ভাল লাগল পারভেজ সাহেবের ।
ডিএসএলআর জিনিসটার প্রশংসা এতদিন তাঁর মেয়ের মুখে শুনে এসেছেন । আজ নিজ চোখে দেখলেন । অসাধারণ জিনিস । মাঝে মাঝে বাস্তবের চাইতে ছবিকেই আসল মনে হয় ।
ফেরার পথে একটা বিশ্রী ব্যাপার ঘটল ।
গাড়িতে উঠতে যাবেন হঠাত কোত্থেকে এক উটকো মহিলা এসে একটা মেয়ের ছবি দেখিয়ে তারস্বরে কাঁদা আরম্ভ করলেন । কোনমতেই সেই কান্না থামে না । পারভেজ সাহেব বিরক্ত হয়ে ১ হাজার টাকার একটি নোট ছুড়ে দিলেন মহিলার দিকে । তিনি যা ভেবেছিলেন তাই । টনিকের মত কাজ হল ।
মহিলার কান্না থেমে গেল । কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার মহিলা টাকা ছুয়েও দেখল না । শূন্য চোখে একবার তাঁর দিকে তাকিয়ে হঠাত করেই থু করে একদলা থুতু ফেলল । তারপর চলে গেল সেখান থেকে । পারভেজ সাহেব হা করে তাকিয়ে থাকলেন ।
সেই রাতে হঠাত করেই ঘুম ভেঙ্গে গেল পারভেজ সাহেবের । হাতড়ে মোবাইল বের করে দেখলেন রাত ২টা । প্রচন্ড প্রস্রাবের চাপ পেটে । বাথরুমে যাওয়া দরকার । তিনি আস্তে করে খাট থেকে নেমে বাথরুমের দিকে পা বাড়ালেন ।
লাইট অন করে বাথরুমে ঢুকলেন । কমোডে বসে প্রসাব করে হাতমুখ ধুতে বেসিনে এলেন । আয়না দিয়ে তাকিয়ে হঠাত করে চমকে উঠলেন তিনি । গালে লেপ্টে আছে একদলা থুতু ! হাত দিয়ে চোখ রগড়ে আবার তাকালেন আয়নায় । নাহ ।
কোনও থুতু নেই । মাঝে মাঝে যা ছেলেমানুষি ব্যাপার কল্পনাতে দেখেন না ! তবে পারভেজ সাহেব চোখ রগড়ানোর আগে হাত ধুতে ভুলে গিয়েছিলেন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।