যািকছু মন্দ আি তার িবপেক্ষ সাবেক লিবীয় নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন। লিবিয়ার জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাফিজ ঘোগা গাদ্দাফির মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন। বেনগাজিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বকে জানাতে চাই, মুয়াম্মার গাদ্দাফি বিপ্লবীদের হাতে নিহত হয়েছেন। ’
আলজাজিরা জানিয়েছে, মিসরাতার একটি মসজিদে গাদ্দাফির লাশ রাখা হয়েছে।
দেশটির অন্তর্বর্তী শাসকরা জানান, গাদ্দাফির জন্মশহর সিরতেতে লড়াইয়ের সময় তিনি আহত হন।
এরপর মারা যান গাদ্দাফি।
সিরতের পাশে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে- এমন খবরের পরপরই তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা আবদেল মাজিদ ম্লেগতা রয়টার্সকে বলেন, ‘তিনি (গাদ্দাফি) মাথায় আঘাত পান। তার গ্রুপকে লক্ষ্য করে মুহূর্মুহূ গুলি করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
’
এর আগে গাদ্দাফির লাশ গোপন স্থানে রাখা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আবদেল কাফি নামে এনটিসি’র এক কর্মকর্তা। নিরাপত্তার কারণে এ ব্যবস্থা বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘গাদ্দাফির লাশ আমাদের ইউনিটে একটি গাড়িতে আছে। নিরাপত্তার কারণে লাশটি গোপন স্থানে নিয়ে যাচ্ছি আমরা। ’
এর আগে এনটিসি’র এক সিনিয়র কমান্ডার বলেন, তারা লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে আটক করেছেন।
কর্নেল গাদ্দাফির জন্মশহর সিরতের নিয়ন্ত্রণ এনটিসি’র হাতে আসার পরপর তাকে আটক করার খবর আসে।
১৯৬৯ সালে ক্ষমতায় আসা গাদ্দাফি ফেব্রুয়ারিতে শুরু আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও চাচ্ছিল গাদ্দাফিকে গ্রেফতার করা হোক।
এর আগের খবরে বলা হয়, গাদ্দাফির জন্মশহর সিরতের দখল নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অনুগত সেনারা। শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে লড়াই করে গাদ্দাফি বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল এনটিসি বাহিনী।
তবে শহরটি পুরো দখলের পথে তাদের জন্য বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গাদ্দাফিপন্থি স্নাইপাররা। কিন্তু গতকাল সকালে এনটিসি সেনারা প্রায় ৯০ মিনিট লড়াইয়ের পর সর্বশেষ অবস্থান থেকে গাদ্দাফিপন্থিদের হটিয়ে শহরের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। গাদ্দাফি সমর্থকদের দখলে থাকা সবচেয়ে বড় শহর ছিল সিরতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।