আদালত অবমাননার জন্য কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি রিট আবেদনে মঙ্গলবার আদালত অবমাননার এ রুল জারি হয়। সিইসি ছাড়াও আরো চার জনকে এ রুলের জবাব দিতে হবে। তারা হলেন- নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সাদেক, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব আব্দুল বাতেন, হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অপূর্ব কুমার মণ্ডল ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাজহারুল হক (রিটার্নিং কর্মকর্তা)। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি এম. মোয়াজ্জাম হোসেনের বেঞ্চের দেওয়া এ রুলের জবাব এ পাঁচ জনকে দিতে হবে আগামী সাত দিনের মধ্যে।
আগামী ২৯ অক্টোবর হরিরামপুরের লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা। ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান র্প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের আবেদনে আদালত অবমাননার রুল হয়।
২০০৮ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় হরিরামপুরের আটটি মৌজার বাসিন্দারা লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন করে। কিন্তু তাদের আবেদনে ইসি সাড়া না দেওয়ায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
মোয়াজ্জেমের কৌঁসুলি বেলাল হোসেন জয় সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছর ২ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ চার সপ্তাহের মধ্যে ওই এলাকার বাসিন্দাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।
কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় আদালত অবমাননা হয়েছে দাবি করে এ বিষয়ে আদেশ চেয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে আবেদন হয়। বিডিনিউজ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।