যশোরে সবজি চাষে ব্যাপক পরিচিত চুড়ামনকাটি ও হৈবতপুর ইউনিয়ন। এখানকার বেগুনচাষীরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি মারায় পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টের আশঙ্কা স্থানীয়দের।
কৃষিবিভাগের উদাসীনতা ও পাখির হাত থেকে বেগুনক্ষেত রক্ষায় কোন ব্যবস্থা চাষীদের সচেতন না করায় তারা বাধ্য হয়ে একাজ করছে। স্থানীয় চাষীদের অভিযোগ, পাখির হাত থেকে বেগুনক্ষেত রক্ষায় সরকারি কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা পাখি মারছে প্রতিনিয়ত।
চাষীরা পাখির উৎপাত থেকে বেগুনক্ষেত রক্ষা করতে পাতেছেন কারেন্ট জাল।
যে জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। হৈবতপুর ইউনিয়নের শাহাবাজপুর মাঠে গিয়ে দেখা গেছে একটি ক্ষেতে ফিঙেরাজা পাখি মরে জালে ঝুলছে। এমন দৃৃশ্য এলাকার বিভিন্ন বেগুনক্ষেতে চোখে পড়ে। এ অঞ্চলের লোকজন জানান, অনেক কৃষক ভোরে জালে আটকা মরা পাখি ছাড়িয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলে। চুড়ামনকাটি গ্রামের একজন বেগুনচাষী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেগুনক্ষেতের প্রধান শত্রু হল পাখি।
তাই এই জাল দিয়ে তারা ক্ষেত ঘিরে রেখেছেন।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জাল ছাড়া পাখির হাত থেকে বেগুনক্ষেত রক্ষার কোন পরামর্শ না দিতে পারায় তারা এসব করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে তিনি জানান। তার মতে, পাখিরা ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে থাকে। অথচ কিছু কৃষক পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষাকারী এই বন্ধু পাখিকে নির্বিচারে হত্যা করছে।
এলাকার মাঠঘুরে দেখা গেছে, শালিক, দোয়েল, ফিঙেরাজা, বুলবুলি, কোকিলসহ নানা প্রজাতির পাখি ধরা পড়েছে এই জালে।
এ ব্যাপারে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবনানন্দ রায় জানান, পাখি মারা অপরাধ। আমরা কারেন্ট জাল দিয়ে বেগুনক্ষেত ঘিরে পাখি না মারার পরামর্শ দিয়ে আসছি। কিন্তু, কৃষকরা তাদের বেগুন রক্ষায় এসব কাজ করছেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রবীণ সাংবাদিক মসিউল আযম জানান, নিষিদ্ধ জিনিস সর্বদাই নিষিদ্ধ। ক্ষেতের ফসল রক্ষার অজুহাতে পাখি নিধন করা অবশ্যই অপরাধ ।
এজন্য বিকল্প হিসাবে এমন দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে যাতে সাপ ও মরে লাঠি ও না ভাঙে । এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেই এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। #
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।