এজন্য ঈদুল ফিতরের পর বিদ্যুৎ উৎপাদন ছয় বছর আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
শনিবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় গিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ালেও বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনে তা আবার কমে যায়।
“১৬শ’ মেগাওয়াট থেকে ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিলাম। সাত বছর পরে (২০০৯ সালে) এসে পেলাম ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। ”
বর্তমান মেয়াদে ক্ষমতায় গিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
“আট থেকে নয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি আমরা অর্জন করেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করেছি। গতকালকেও ৬ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। ”
“সমস্যার সমাধান করলেও সমস্যা। সেটা নিয়েও কথা।
কুইক রেন্টাল কেন করা হল? অমুক কেন করা হল?”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি যদি এখন সিদ্ধান্ত নিই, যারা সমালোচনা করে এবং মানুষকে বোঝানোর জন্য... ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট রেখে বাকি ৫৪/৫৫টা যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি- সেটা বন্ধ করে রাখি দু’চার দিন। তখন অবস্থাটা কী হবে?”
“রোজার পরে এরকম একটা প্র্যাকটিস করতে হবে। মানুষকে বোঝানোর জন্য- কী ছিল, আর এখন কী আছে? না হলে এই সমালোচনা চলতেই থাকবে। ”
ঈদের পর এই ধরনের ‘প্র্যাকটিস’ ঘোষণা দিয়েই করা হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ নিয়ে সমালোচনার জবাবে গত বছরও সংসদে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি নিজেই প্রতিদিন সকালে এক ঘণ্টা এবং বিকেলে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দিতে বলেছেন, যাতে মানুষ ভুলে না যায়, তারা কী কষ্টে ছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।