বিশ্বের দামি এই ফুটবলারটির গ্যারেজে ‘চাকাধুলি’ পড়েছে বিশ্বের নামকরা প্রায় সব গাড়িরই। তিনি নিজেও গাড়ির বিখ্যাত ব্র্যান্ড অডির দূত। চলেন ঘুরে আসি তার সংগ্রহশালা থেকে।
Bugatti Veyron (বুগাত্তি ভেরন)
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির গাড়ি এটি। ঘণ্টায় ৪০৭ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি ওঠে।
এই গাড়ি হারিয়ে দিতে পারে ফর্মুলা ওয়ানের গাড়িগুলোকেও। দামও সে রকম। ১২ লাখ ডলার। একটা বিজ্ঞাপন করার সময় প্রথম এই গাড়িতে চড়েন রোনালদো। এরপর ঠিক করেন, এই গাড়ি তাঁর চাই-ই চাই।
Rolls-Royce Phantom Drophead Coupe (রোলস রয়েস ফ্যান্টম)
এই গাড়িও খুব বেশি লোকের দখলে নেই। পৃথিবীর ভাগ্যবান কিছু মানুষের তর্জনীতেই কেবল চক্কর খেতে দেখা যায় এর চাবির রিং। ৪ লাখ ৪৩ হাজার ডলার দাম, ভাবা যায়! পিকনিক করতে গেলে রোনালদোর সঙ্গী হয় এই গাড়ি। বনভোজনের জন্য বেশ কিছু সুবিধা আছে এই গাড়িতে।
Porsche Cayenne Diesel (পোরশে ক্যাইন টারবো)
একটা নয়, এ ধরনের গাড়ি নাকি কয়েকটাই আছে রোনালদোর গ্যারেজে! ৩.০ লিটার ভি৬ ইঞ্জিনের এই গাড়িটা ঘণ্টায় ২১৮ কিলোমিটার গতি পর্যন্ত ছুটতে পারে।
তেল খরচ তুলনামূলক কম। সাড়ে দশ লিটারে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলে। দাম ৪৯ হাজার ইউরো।
BMW M6 (বিএমডব্লু এম৬)
অনেকের কাছেই এটি স্বপ্নের গাড়ি। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে প্রয়োজন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
রোনালদোর তো আর টাকার টানাটানি চলছে না। স্বপ্ন তাই তিনি পূরণ করতেই পারেন। ১ লাখ ডলারের এই গাড়িটি তাঁকে প্রথম চালাতে দেখা যায় ২০০৬ বিশ্বকাপের পর পর।
Porsche 911 (পোরশে ৯১১)
কালো চকচকে পোরশে ৯১১ কারেয়া টুএস ক্যাব্রিওলেট গাড়িটি ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর খুবই প্রিয়। এই গাড়ি পৃথিবীর মাত্র ৩৫৬টি সৌভাগ্যবান মানুষ ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন।
রোনালদো এঁদের একজন। রোনালদো ২ লাখ ইউরো খরচ করে গাড়িটি কেনেন। পরে ২০০৯ সালে বেচে দেন ৭০ হাজার ইউরোতে।
Bentley Continental GT (বেন্টলি জিটি)
বেন্টলির বানানো গাড়িগুলোর অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী গাড়ি এটি। ৬০০ বিএইচপি ডব্লু১২ টুইন টারবো ইঞ্জিনের গাড়িটায় ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি ওঠে।
ফোর হুইল ড্রাইভ এই গাড়িটা চালানোর সময় একবার দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছিলেন রোনালদো। ২০০৯ সালেও এই গাড়িটি বেচে দেন ১ লাখ ১৪ হাজার পাউন্ডে।
Ferrari F430(ফেরারি এফ ৪৩০)
দুই আসনের এই স্পোর্টস কার এখন খুব বেশি একটা চালাতে দেখা যায় না তাঁকে। তবে এই গাড়ির সঙ্গে রোনালদোর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আর তাই মাঝেমধ্যে বের করেন গাড়িটি।
এ কারণে এখনো বিক্রি করে দেননি তাঁর এই ১ লাখ ৮৮ হাজার ডলার দামের ফেরারি এফ ৪৩০। এ গাড়িটাও একবার মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়েছিল।
Audi R8 (অডি আর ৮)
এই গাড়িটি বলা হচ্ছে সুপারকার অফ দ্য সিজন। তাই এতে কোনো বিস্ময় নেই, রোনালদো ‘তোরা যে যাই বলিস ভাই, আমার এই গাড়িটিও চাই’ এই গান গাইবেন। ঘণ্টায় ৩১৬ কিলোমিটার গতিতে ছোটার ক্ষমতা আছে এই গাড়ির।
দামটাও তেমন। ১ লাখ ৯ হাজার ডলার। অডির আরও কয়েক মডেলের গাড়ি আছে তাঁর সম্ভারে—অডি আরএস৬, অডি এ৮, অডি কিউ৭।
Ferrari 599 GTB (ফেরারি ৫৯৯ জিটিবি)
ফেরারি সিরিজের গাড়িগুলো রোনালদোর খুবই প্রিয়। ফেরারি ৫৯৯ জিটিবি ফিওরানো গাড়িটি তিনি চালিয়েছেন ম্যানচেস্টারে থাকার সময়।
লাল রঙের গাড়িটি নিয়ে ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরের কাছের একটি টানেলে দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছিলেন। পরে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটির বদলে একই রকম দেখতে আরও একটি লাল ফেরারি রোনালদো কিনেছিলেন বলে খবর পাওয়া যায়। ১ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ডের গাড়িটি ঘণ্টায় ৩৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তুলতে পারে।
Mercedes-Benz C Class(মার্সিডিজ-বেঞ্জ সি-ক্লাস)
না, রোনালদোর ভারী পকেটের তুলনায় খুব একটা দামি গাড়ি নয় এটি। দাম ‘মাত্র’ ৪০ হাজার ডলার।
তবে মাঝেমধ্যে রুচি পাল্টাতে রোনালদো এ ধরনের গাড়িও চালান। পর্তুগালে ছুটি কাটাতে এলে সাধারণত এই গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা যায় তাঁকে।
গাড়ির নাম ও দামের তালিকা :
গাড়ির নাম দাম (USD)
BMW M6 102.000 USD
Bentley Continental GTC 195.000 USD
Mercedes-Benz C-Class Sports Coupé 55.000 USD
Porsche Cayenne 70.000 USD
Ferrari 599 GTB Fiorano 310.000 USD
Audi Q7 50.000 USD
Ferrari F430 300.000 USD
Porsche 911 Carrera 2S Cabriolet 101.000 USD
Bentley GT Speed 220.000 USD
Audi R8 150.000 USD
Audi RS6 80.000 USD
Maserati Gran Cabrio 140.000 USD
Ferrari 599 GTO 385.000 USD
Porsche Cayenne Turbo 96.000 USD
Mercedes-Benz C220 CDI 40.000 USD
Bugatti Veyron 1.700.000 USD
Aston Martin DB9 200.000 USD
Phantom Rolls-Royce 400.000 USD
--------------------------- -------------------
18 cars 4.594.000 USD
বাপ রে !!
সাহায্যে : প্রথম আলো ও নেট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।