আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ প্রসঙ্গে

টেকসই উন্নয়নের বহু ধরনের সংজ্ঞা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে এমন একটা উন্নয়ন যা বর্তমান জনসংখ্যার সার্বিক প্রয়োজন শুধু মেটাবে না, এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন মেটাতেও সমর্থ হবে। টেকসই উন্নয়নের সাথে পরিবেশের প্রশ্নটি জড়িত। দারিদ্র্য, ভূমিহীনতা, অপুষ্টি, মৌলিক প্রয়োজন ও সেবার অভাব প্রভৃতি সমস্যার ফলে প্রতিবেশ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন উদ্যোগের ফলে কিছু কিছু সেক্টর লাভবান হলেও এর বিরূপ প্রতিক্রিযা পরিবেশ ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করে।

উদাহরণস্বরূপ, ষাটের দশকে কাপ্তাই হূদে পানি বিদু্যৎ উৎপাদনের জন্য বাঁধ দেয়া হয়। এর ফলে বেশ কিছু পরিমাণ বিদু্যৎ উৎপাদন সম্ভবপর হয়; কিন্তু পরিণামে পরিবেশগত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক যে ক্ষতি স্বীকার করতে হয় তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সাম্প্রতিককালে কাপ্তাই হূদের পানির স্তর দারুণভাবে হ্রাস পেয়েছে। ইতোপূর্বে কাপ্তাই হূদের নিকটবতর্ী এলাকার জেলেরা কাপ্তাই হূদ থেকে বিভিন্ন প্রকারের মাছ ধরতে পারত; কিন্তু এখন কাপ্তাই হূদে বিচিত্র ধরনের মাছ আর পাওয়া যায় না। বাঁধজনিত পানির ফলে আশ-পাশের পাহাড়ী লোকজন আজ ভূমিহীনে পরিণত হয়েছে।

ধানী জমিগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাবের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রভাবও কম নয়। একই নদীতে বর্তমানে তিনটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পূর্বে দু'টো সেতু ছিল; বতৃমানে আরও একটি যোগ করা হয়েছে। অথচ পরিকল্পিতভাবে একটি উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ও শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত সেতু নির্মাণ করা হলে তিনটি সেতুর দরকার হতো না।

সেতু নির্মাণের ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়, মাটির স্তূপ জমে যায় এবং নদীর পাশ ভেঙ্গে যায়। নদীর তীরে বসবাসকারী জনগণ গৃহহারা হয়। জেলেরা বেকার হয়ে যায়। আমরা পরিবেশজনিত ক্ষতি হয়ত পরিমাপ করতে পারব, কিন্তু এর ফলে সামাজিক যে লোকসান হতে পারে, তা পরিমাপ করা সুকঠিন। ফলশ্রুতিতে এ ধরনের উন্নয়ন টেকসই উন্নয়ন হয় না।

তাই টেকসই উন্নয়ন সুনিশ্চিত করার জন্য পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় আনতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সাতটি শর্তের উলেস্নখ করেছেন। এর মধ্যে প্রধান তিনটি শর্ত হল (১) এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যা স্বনির্ভর ও স্থায়ী ভিত্তিতে উদ্বৃত ও কারিগরি জ্ঞান সৃষ্টি করতে সক্ষম। (২) এমন একটি সামাজিক ব্যবস্থা বিনির্মাণ করা যার দ্বারা বৈষম্যমূলক উন্নয়নের ফলে সৃষ্ট দুশ্চিন্তার (ঞবহংরড়হ) সমাধান হবে। (৩) এমন একটি উৎপাদন ব্যবস্থা বিনির্মাণ করা যা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভিত্তি সংরক্ষণ করে।

এক কথায়, অর্থনীতি, সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতি প্রভৃতির সাথে টেকসই উন্নয়নের বিষয়টি জড়িত। অর্থনীতির প্রধান লক্ষ্য হিসেবে প্রবৃদ্ধি, শেয়ারহোল্ডারদের মুনাফা, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য। পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্য হিসাবে প্রতিবেশ ব্যবস্থা আবহাওয়া, জীববৈচিত্র্য এবং কারিগরি ক্ষমতা অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য এবং সামাজিক লক্ষ্য হিসেবে ক্ষমতায়ন এবং বন্টন ব্যবস্থা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তকরণ সাংস্কৃতিক স্বরূপ এবং প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য। বলা বাহুল্য, অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত সকল লক্ষ্যের ক্ষেত্রে আন্ত প্রজন্ম প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি অতীব দরিদ্র দেশ।

এ দেশের সম্পদের ভিত্তি (ৎবংড়ঁৎপব নবংব) নিম্ন, ভূমি-জন অনুপাত নিম্ন, সামাজিক শোষণ ও বঞ্চনার হার সর্বাধিক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জনগণের জীবিকা সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল। কর্মসংস্থানের জন্য, রাজস্ব আয় ও বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের জন্য একমাত্র উৎস হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। ৫০ শতাংশেরও বেশী লোকের জীবিকার প্রধান উৎস হচ্ছে কৃষি। কিন্তু কৃষি সেক্টর সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের হুমকির সম্মুখীন।

কৃষির টেকসই উন্নয়নের জন্য কাঙ্ক্ষিত পরিবেশগত পরিকল্পনা অপরিহার্য। সাম্প্রতিককালে আমরা সমুদ্রের গভীরতা হ্রাস পাওয়ার কিংবা সমুদ্র স্তর উচুঁ হওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। কোন কোন বিজ্ঞানী ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন যে, চলতি শতাব্দীতে বাংলাদেশের বিশাল ভূখন্ড সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে। অতীতে ৩০ থেকে ৪০ বৎসর পর ব্যাপক হারে বন্যা হত। এখন প্রতি ৩ থেকে ৪ বৎসর পর বাংলাদেশ ভয়ানক বন্যার শিকার হচ্ছে।

সিডর, আইলা প্রভৃতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সমুদ্র উপকূলবতর্ী জনবসতি দুমকীর সম্মুক্ষীণ। জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে, বনাঞ্চল কমে যাচ্ছে, আর অন্যদিকে জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলশ্রুতিতে মানুষের মৌলিক প্রয়োজনের সংস্থান করার জন্য প্রকৃতির উপর প্রচন্ড চাপ পড়ছে। কিন্তু প্রকৃতির ক্ষমতা বা সামর্থ্যেরও একটা সীমা আছে। আমরা এ সকল সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধানের জন্য কোন টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করিনি।

যদিও কোন একটি নীতি (ঢ়ড়ষরপু) টেকসই কিনা তা' বুঝা যায় প্রকল্প বাস্তবায়নের ১০ থেকে ১৫ বৎসর পর, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য টেকসই উন্নয়নের উদ্যোগ একান্ত জরুরি। যদি টেকসই উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা না হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের আগামী প্রজন্ম মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন হবে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের মওজুদ নেই, অথচ আমরা শুনে আসছি যে সরকার প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করতে ইচ্ছুক। আমাদের দেশের অনেক অঞ্চল প্রাকৃতিক গ্যাসের সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। এখনও পর্যন্ত আমরা বিতর্কমুক্ত জাতীয় কয়লা বা গ্যাস নীতি প্রণয়ন করতে পারিনি।

আমাদের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছি। এটার কারণ এই নয় যে আমরা কৃষি উৎপাদনের শেষ সীমায় পেঁৗছে গিয়েছি কিংবা আমাদের কৃষকদের দক্ষতা নেই। এটার প্রধান কারণ উপযুক্ত প্রযুক্তি নীতির অভাব। আমাদের লোকজন এখনও পর্যন্ত টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছে না। আমাদের সরকার এবং উন্নয়নের অংশীদারগণের উচিত টেকসই উন্নয়নের জন্য ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়া।

যে সফল বিষয়ে এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত সেগুলোর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হল১) জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি এবং স্থানান্তর (গরমৎধঃরড়হ)। (২) দারিদ্র্য এবং অপুষ্টি, (৩) ঘন ঘন প্রাকৃতিক দু্যর্যাগ, (৪) কৃষি উৎপাদনের বিপর্যয়, (৫) পানির প্রাপ্যতা ও সুষম বন্টন, (৬) ভূমির ওপর চাপ হ্রাস, (৭) বনাঞ্চল ক্ষয় রোধ, (৮) মৎস্য চাষের উন্নয়ন ও বাধা নিরসন, (৯) জীববৈচিত্র্য হ্রাস, (১০) শিল্পায়নের দূষণ, (১১) জ্বালানি, পরিবহন ও অপরিকল্পিত নগরায়নজনিত দূষণ প্রভৃতি। এখনও পর্যন্ত টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের কোন মাষ্টার পস্ন্যান নেই। পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়নের সাথে সংশিস্নষ্ট বিষয়গুলো স্কুলের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ সকল বিষয়ের ওপর কোর্স চালু করবে এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।

সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। জলবায়ু সমস্যা সমাধানের জন্য জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সরকারের একটি জলবায়ু পরিবর্তন সেল থাকা উচিত যা' জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। আমরা জানি যে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। আমরা এটা প্রতিরোধ করতে পারছি না।

জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য আমাদের সামর্থ্য বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবহন, শক্তি কৃষি এবং শিল্পের জন্য বিকল্প জ্বালানি ও প্রযুক্তি উৎপাদন, ব্যবহার ও সম্প্রসারণের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বাস্তুহারা লোকদের পুনর্বাসন ও সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে একটি জাতীয় তথ্য ডেস্ক প্রতিষ্ঠা করা উচিত। জলবায়ু পরিবর্তন সক্রান্ত কর্মকাণ্ডে যাতে বৈদেশিক সাহায্য ব্যবহার করা যায় সেজন্য দাতা গোষ্ঠীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় স্থায়ী অবকাঠামো বিনির্মাণ করতে হবে। আধুনিক সতর্ককারী ব্যবস্থা চালু করে আবহাওয়াজনিত বিপর্যয় থেকে উপকূলীয় মানুষকে নিরাপত্তা দানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গ্রীণ হাউস গ্যাস নির্গমন করে এরূপ যানবাহন বন্ধ করার জন্য এসকল যানবাহনের ওপর কর আরোপ করতে হবে। নিউক্লিয়ার পস্ন্যান্ট থেকে বিদু্যৎ (বহবৎমু) উৎপাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা প্রতিনিয়ত লোডশেডিং-এর যাতনায় ভুগছি।

সৌরশক্তি, বায়ু কল এবং শক্তির অন্যান্য পুনঃনবায়নযোগ্য (ৎবহবধিনষব) উৎস সৃষ্টি করতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলের সাথে গ্রীণ হাউস গ্যাস নির্গমন সম্পর্কে বোঝাপড়া (নধৎমধরহ) করতে হবে। কারণ পুঁজিবাদী দেশগুলোর ভোগবাদী মনোবৃত্তির কারণেই আমরা জলবায়ুজনিত সমস্যার শিকার হচ্ছি। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা সারা বিশ্বের সমস্যা, যেহেতু আমরা প্রায়শ: 'বিশ্ব গ্রাম' এর কথা বলি। আমাদের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও চিন্তাবিদদের এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে।

সরকার পরিবেশগত সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষভাবে তৎপর হতে হবে। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকার কোন তৎপরতা দেখাচ্ছে না, অথচ আমাদের পরিবেশগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ বাঁধ মরাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমাদের সকলকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। টেকসই উন্নয়নের ফলে শিকড়বিহীন প্রবৃদ্ধি এড়ানো সম্ভব হবে। নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয় বিসর্জন দিয়ে কোন সমাজের উন্নয়নকে সাধারণত:'শিকড়বিহীন প্রবদ্ধি' বলা হয়।

আমাদের সমাজে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ব্যাপক অনুপ্রবেশ ঘটছে তথাকথিত আকাশ সংস্কৃতির বদৌলতে। একমাত্র টেকসই সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কৌশলই (ঝঃৎধঃবমু) পারে আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করতে। বলাবাহুল্য, সাংস্কৃতিক স্বকীয়তার মাধ্যমেই কেবল টেকসই সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণ সম্ভব। আমরা গ্যাস রপ্তানি করব, তবে নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর। আমরা বিদু্যৎ উৎপাদন করব, তবে সেটা জীব-বৈচিত্র্যকে ক্ষতি করে, হ্রদকে বিলুপ্ত করে কিংবা পাহাড়ী লোককে অসহায় করে নয়।

আমরা পাহাড়ীদের বনাঞ্চল পুড়িয়ে (ঝষধংয ধহফ নঁৎহ) ঝুম চাষ করাকে উৎসাহিত করব না। অন্যদিকে কাঠ কোম্পানীকে কাঠ বা লাকড়ি কাটার জন্য নগদ প্রেরণাও দেব না। আমরা এমনভাবে পরিবেশ উন্নয়নকে নিয়ন্ত্রিত করব যাতে সেটা টেকসই হয়। সারাবিশ্ব টেকসই উন্নয়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা জানি যে, সহস াব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের অধীনে বিশ্বের নেতৃবৃন্দ পরিবেশের টেকসই উন্নয়ন সুনিশ্চিত করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তারা তাদের জিডিপি'র ০.৭শতাংশ সরকারি উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে মারাত্মক পরিবেশ সমস্যার সম্মুখীন উন্নয়নকামী দেশগুলোকে দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সুতরাং আমরা আশা করতে পারি যে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, দারিদ্র্য, নিরক্ষতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও অব্যাহত রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং সরকারি ও বেসকারি সংস্থা, এনজিও, সুশীল সমাজ এবং সাধারণ সম্পত্তির ব্যষ্টিক ব্যবস্থাপক হিসেবে এ যাবৎ কর্মরত তৃণমূল পর্যায়ের লোকজনের সহায়তায় আমরা টেকসই উপায়ে আমাদের সীমিত সম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনা করতে সক্ষম হব। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.