মানুষ হবার প্রচেষ্টায়
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। জাতীয় সংসদে জয়নুল আবদীন ফারুকের ইমপিচমেন্টেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বসবাসকারী রহমতের অভিযোগ তার স্ত্রীকে দেশ থেকে টেলিফোন করে বাজে প্রস্তাব দিয়েছেন জয়নুল আবদীন ফারুক। বিষয়টি বাংলালিকসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তার ও তার স্ত্রীর বড় ধরনের সম্মানহানি ঘটেছে।
রহমত জানান, তার স্ত্রী মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছেন।
স্বামীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের কথা ভেবে জয়নুল আবেদীন ফারুককে মুখের ওপর কোনো ধমক দিতে না পেরে তার স্ত্রী টেলিফোনে কথাগুলো শুনেছিলেন বলেই দাবি রহমতের। “জয়নুল আবদীন ফারুক একজন লম্পট চরিত্রের মানুষ বলেই তার অপেক্ষাকৃত সহজ-সরল স্ত্রীকে আজে বাজে প্রস্তাব দিতে সাহস করেছেন,” বাংলানিউজকে টেলিফোনে বলেন রহমত।
জয়নুল আবদীন ফারুকের টেলিফোন কলগুলো বাংলালিকস ছাড়াও তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা রয়েছে সেগুলোসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে শিগগিরই মামলাটি করতে চাইছেন রহমত। তিনি বলেন, এই ব্যক্তির কারণে তার ও তার স্ত্রীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের সন্তান রয়েছে তার ওপরও পড়ছে এর প্রভাব।
রহমত জানান তার স্ত্রী মানুসিকভাবে এতটাই ভেঙ্গে পড়েছেন যে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিতে হয়েছে।
মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানালেন মাত্র এক বছরের কিছু সময় আগে জয়নুল আবদীন ফারুকের সঙ্গে তার ও তার স্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়। ফারুক যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে শিকাগো গেলে রহমত তার বাসায় দেওয়া একটি ইফতার পার্টিতে তাকে দাওয়াত করেন। সেখানেই তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ফারুকের। এরপর অক্টোবরে আরও এক দফা যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে শিকাগোতে ফারুকের বাড়িতে চার দিন থাকেন।
ফারুক যুক্তরাষ্ট্র এসে ক্যাসিনোতে হাজার হাজার ডলার হারিয়ে বিপাকে পড়লে রহমত উল্লাহই তাকে উদ্ধার করেন। তার হোটেল বিল, খাবার খরচও বহন করেন বলে জানান তিনি। রহমত বলেন, “টাকা পয়সা নেই এমন কথা বলাতেই নিজের বাড়িতে থাকতে দেই। কিন্তু ৬৪ বছর বয়সের এক বৃদ্ধর, যার নিজেরও আমার স্ত্রীর বয়সী দুটি মেয়ে আছে সে এমন আচরণ করতে পারবে তা আমি ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি। ”
রহমত বলেন, ফারুক আমার স্ত্রীকে বাজে প্রস্তাব দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তার কাছে অস্ত্র আছে বলেও শাসিয়েছেন।
দেশে গিয়ে বিএনপি অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে এমন ঘটনার প্রতিবাদ করবেন বলেও জানালেন রহমত। এছাড়া আইন-ও-শালিস কেন্দ্রের সহায়তা চাইবেন বলেও জানান তিনি। রহমত বলেন, আমি আশা করবো দল এমন একজন লম্পটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আর দল যদি নাও নেয় আমি একাই এর শেষ দেখে ছাড়বো।
স্ত্রীর প্রতি আমার আস্থা রয়েছে।
আমি তাকে মোটেই অবিশ্বাস করছি না। জয়নুল আবেদীন ফারুকই তাকে আজে বাজে কথা বলেছেন। আমাদের ক্ষতি যা হবার হয়েছে, কিন্তু এমন ব্যক্তিকে আমি ছেড়ে দেবো না, বলেন রহমত উল্লাহ।
খবরের বিস্তারিত এখানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।