পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ ১- আমি শাহবাগে নাই তাই হয়তো বাহির থেকে কথা বলা ঠিক হবে না তবুও তরুনদের এই আন্দোল সফল করার কয়েকটি পরামর্শ্ব দিতে চাই।
--
২- আমেরিকায় প্রায়ই হয় দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলন। গ্রিসে, স্পেইনে, ইউক্রেইনে, জার্মানীতেও হয় দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলন। আরবের ইতিহাসই পাল্টে গেল তরুনদের আন্দোলনে।
কিছুদিন আগেই পাকিস্তানে তারও কিছুদিন আগে ভারতে হয়েছে দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলন। শুধু বাকি আছি আমরা। এবার আমাদের দায়িত্ব। দূর্নীতিকে না বলুন।
-বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪০ বছর পরও রাজাকারদের বিচার হয় নি কেন: দূর্নীতি।
এখানে কে দূর্নীতি করেছে সেটা মোক্ষম নয়। আমরা তরুনারা দূর্নীতির স্বিকার এটাই মুল কথা।
রাজনীতি, শিক্ষা, সাংস্কৃতি, চাকরি, ব্যবসা সবখানেই দূর্নীতি। ভেজাল খেয়ে খেয়ে আমাদের হৃতপিন্ড জলে গেলেও দেখার মানুষ নেই। খুন, ধর্ষণ, এসিড, চুরি, ছিনতাই যেন ডাল ভাত।
গড়িব দেশে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, গাজা, হিরুইয়েনর ব্যবসা রমরমা। ইভটিজিং, বড়দের অসম্মান যেন আজকালের ছাত্রদের স্ট্যাইল। আন্দোলন কেবল দলীয় স্বার্থে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই সরকার কিংবা বিরোধিদের কারোই। দেশের স্বার্থ বলি দিয়ে বিদেশে দেশের বদনাম যেন রাজনৈতিক অধিকার।
তিনজন রাজাকারের ফাঁসির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন আর কত দিন। আজকের তরুনদের কি কোন যোগ্যতাই নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে তাকেই দেশ নেতা হতে হবে যিনি মডার্ন টেকনোলজি সমন্ধে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। যারা ফেসবুক বুঝেনা, ব্লগ বুঝে না, যারা অনলাইনে বিশ্বের খবর না রেখে কেবল প্রিন্ট মিডিয়ার উপর নির্ভর্শিল তাদের মুখে ডিজিটাল ডিজিটাল যেন ভূতের মুখে রাম রাম। যদি সত্যিই দেশকে ডিজিটাল বানাতে চান তাহলে এক্ষুনি তরুনদের হাতে দেশের ভাড় ছেড়ে দিন।
******************************************
২) ব্লগে, ফেসবুকে, অনলাইন মিডিয়া সর্বত্রই দেখছি সবাই শাহবাগকে তাহরির স্কয়ারের সাথে তুলনা করছেন তাই আমি তরুনদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি কথা বলবো। কারণ, তাহরীর স্কয়ারের অভিজ্ঞতা আমার চেয়ে বেশী কোন বাঙালির নাই।
- শুধু গান বাজনা আর কবিতার মাধ্যমে আন্দোলন সফল হবে না। পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও ত্যগের মানসিকতা থাকতে হবে।
- কয়েকজন নিষ্ঠাবান তরুনকে সমস্ত ছিটিয়ে থাকা মানুষদের বুঝিয়ে এক তরংগে নিয়ে আসতে হবে।
- কিছুই না হওয়ার আগেই আন্দোলন চুরির হওয়ার ভয় পাওয়ার কিছুই নাই, কাজেই বিভিন্ন প্লেকার্ডে ভয়ের কিছুই নাই। প্রথমে লোক সমগমই বেশি দরকার।
- শুধু শাহবাগ নয়, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি আনাচে কানাচে, মাঠে ঘাটে, বাজারে, স্কুলে মাদ্রাসায়, মসজিদে, লন্চে, বাসে, ট্রেনে সর্বত্র দূর্নীতি বিরোধিতা নিয়ে মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে এখন একটি উসিলা সামনে আসছে যা থেকে মানুষকে জাগিয়ে তুলা সম্ভব।
-> তাহরীর স্কয়ারের আন্দোলন সফলের পিছনে সবচেয়ে বড় ভুমিকা পালন করেছে দেশি ও বিদেশি মিডিয়া।
বিশেষ করে 'আল জাজিরা'। - এখানে কয়েকটি বিষয় কাজ করে। এক) মিডিয়ার কারনে তরুনরা উজ্জিবিত হয়। দুই) মিডিয়ার কারনে নেতৃস্থানিয় লোকদের দিলে চোট লাগে। তিন) মিডিয়ার কারনে খবর সর্বত্র খবর ছড়িয়ে যায় এবং সর্বত্রই মানুষ সচেতন হয়।
কাজেই মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষন করতে হবে।
=> মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষনের কয়েকটি উপায়:
ক) অনেক লোকসমাগম।
খ) বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভ প্লেকার্ড দরকার।
গ) নতুন নতুন আইডিয়া দরকার।
ঘ) সুন্দর সুন্দর শ্লোগান দিতে হবে।
ঙ) ভেরাইটিস পোশাক মিডিয়াকে যথেষ্ট আকর্ষন করে।
মনে রাখতে হবে নতুন কিছু দিতে পারলেই কেবল মিডিয়া নিউজ কাভার করবে।
- সবাই বিভিন্ন মিডিয়ায় ফোন দিয়ে শাহবাগের খবরাখবর জিজ্ঞেস করেন এতে মিডিয়ার নিকট শাহবাগ আরো গুরুত্ব পাবে।
মুলত: টোটাল স্থানটাকে একটা মেলার মতো বানিয়ে ফেলতে হবে যাতে মানুষ মেলা দেখতে আসে সাথে দুর্নিতির বিরুদ্ধে কথাও বলে। এবং এতেই মিডিয়া আকৃষ্ট হবে।
ঠিক যেমনটা হয়েছিল তাহরীর স্কোয়ারে।
- বিশেষ বিশেষ দ্রষ্টব্য:
আন্তর্জাতিক মিডিয়া কখনোই একজন ব্যক্তির ফাঁসির দাবিকে বড় করে দেখবে না। তাদের নিকট রাজাকারদের ফাঁসিও এত গুরুত্বরাখবে না যতটা আমাদের নিকট রাখে। কিন্তু যদি দুর্নীতি বিরোধিতার কথা বলা হয় তবে সারা বিশ্ব আমাদের সাপোর্ট দিবে।
বিশেষ কৌশল:
১) অনেকে রাজনৈতিক নেতারা নাকি শাহবাগে বক্তব্য দিচ্ছে।
এতে আন্দোলনের মোড় অন্যদিকে চলে যেতে পারে বলে অনেকে সন্দেহ করছেন। সে ক্ষেত্রে দূর্নীতির কথা বললে অনেক নেতাই দ্রুত প্রস্থান করবে। আর যারা তারপরও ময়দানে থাকবে তাদের ভালমানুষ বলেই সাব্যস্ত করা যেতে পারে।
২) যেহেতু ট্রাইবুনালে রায় হয়ে গিয়েছে সেহেতু সরকার হয়ত আর কোন এ্যডভান্স পদক্ষেপ নিবে না। কিন্তু যদি দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলন শুরু করা যায় তবে নিজেদের সেইফ রাখার জন্য রাজাকারদের রায় পুনর্বিবেচনা করার চেষ্টা করবে।
যাতে অন্তত আন্দলের প্রথমাংশ সফল হবে।
------------------
নোট: দূর্নীতি বিরোধি আন্দোলন কখনোই হাসিনা বিরুধী আন্দোলন নয়। এটা সমস্ত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। হোক সে মসজিদের ইমাম কিংবা মন্দিরের ঠাকুর। হোক সে শিক্ষক কিংবা ব্যবসায়ী।
হোক সে পীর কিংবা ফকির। হোক সে রাজনীতিবিদ কিংবা সাধারন মানুষ। হোক সে সরকারি চাকরিজীবি কিংবা বেসরকারি। হোক সে প্লেনের পাইলট কিংবা বাসের কন্ট্রাক্টর। সবশেষে হোক সে নারী কিংবা পুরুষ।
যেখানেই দুর্নীতি সেখানে প্রতিবাদ করুন।
*******************
আমরা এখানে আলোচনা করছি, আপনিও আসতে পারেন।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।