নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!! আমি ঘোরতর ধার্মিক গোছের মুসলিম নই। কিছু পালন করি, কিছু করি না এ অবস্থা। বোধ করি পৃথিবী গ্রহের বেশীরভাগ মানুষেরই এখন এ অবস্থা। মুসলিম, হিন্দু, খ্রীস্টান, বৌদ্ধ, শিখ বা অন্য সবার। অতি কা'মেল 'নাস্তিক' ও সে মাত্রার 'ধার্মিক' দুটোরই বিশ্বব্যাপী আকাল! আর জানামতে বেশীরভাগ মানুষই 'অন্যান্য' ধারার মানুষদের অনুভূতির কথা মাথায় রেখে কথা বলেন।
ব্যতিক্রম কতিপয় পাঁড় 'ধার্মিক' বা সে মাত্রার 'মানবিক নাস্তিক। ' তারা অন্যদের কস্ট দিয়ে লাগামহীন কথাবার্তা বলে আর বলা শেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে থাকে 'মানবিকতা' কায়েমের মহান দায়িত্ব পালন করেছে এ ধারণা পোষন করে। সামহয়্যারইন ব্লগও সমাজের আরেকটি অংশ। এবং ব্যাপারটা এখানেও ঘটছে।
বাংলাদেশের আমজনতার ইসলাম জ্ঞান পাড়ার মৌলভীর ওয়াজ নসিহত থেকে অর্জিত।
আর বেশীরভাগ মৌলভী মানুষ হিসেবে অত্যন্ত সীমিত জানাশোনার। এরা প্রধানত গরীব। মাদ্রাসা থেকে দাখিল, ফাজিল বা কামিল পাশ। একটা বড় অংশ আবার ক্বওমী ধারার। আরবি ভাষায়ও বেশীরভাগ মৌলভী তেমন পারংগম নন।
তার প্রমান প্রায় ৯০% মসজিদে ছাপানো খোৎবার বই দেখে ওনারা শুক্রবার পার করেন! অর্থাৎ পড়া, লেখা, বলা ও শোনার মত ভাষা দক্ষতা (আরবি) ওনাদের নেই। আর ভালো বক্তব্য তৈরীর মত রেফারেন্স জ্ঞানও লক্ষ লক্ষ 'খতীব'দের নেই। ফলে ১২ চাঁদের ৫১ জুম্মাবারই ওনারা নবীরাসুলদের কিসসা, নফল রোজার হাকীকত, কুরবানীর ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে চর্বিতচর্বন কথন অব্যহত রাখেন। খেসারত হিসেবে মুসলিমদের ইসলাম জ্ঞানও তথৈবচ!
আরবি একটি ভাষা, ধর্ম নয়। এ ভাষাভাষি খ্রীস্টান, ইহুদী বা অন্যন্য মতের মানুষও ঢের আছে।
আর 'মুসলিম আরব' মানেই রসগোল্লা নয়, যেমনটি আমরা বাংলাদেশীরা 'বিশ্বাস করে থাকি' আর বিশ্বাসের ভিত্তিতে তিক্ত ক্ষেত্রে পাইকারী হারে ইসলামকে গালমন্দ করে থাকি। একই ভাবে ফার্সি, উর্দু, তুর্কি ও ভাষামাত্র। ধর্ম নয়।
এক ভাষার আরব জাহানে বহু দেশ রয়েছে। আমিরাত, লিবিয়া, ইরাক, ইয়েমেন বা সৌদি আরব।
এসব দেশের পৃথক কালো/সাদা নানান আইন রয়েছে। এগুলো শরীয়া, রোমান, আঞ্চলিক নানান উৎস থেকে গৃহীত ও সময়ে সময়ে পরিবর্তিত। শতভাগ 'ইসলামী শরীয়া' মোতাবেক এ অঞ্চলের কোনো একটি দেশও পরিচালিত হচ্ছেনা। সৌদি আরবও তেমনি কিছু শরীয়া কিছু গোমরাহীর মিশ্রনে চলছে।
সৌদি আরব, পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা ইরানের কোন 'অন্যায্য' কান্ডের কারণে 'ইসলামের' মুন্ডুপাত করা আহাম্মকি ছাড়া কিছু না।
একই ভাবে আমেরিকা, ইসরাইল, ভারত ও চীনের বেইনসাফীকে খ্রীস্টধর্ম, ইহুদীধর্ম, হিন্দুধর্ম বা বৌদ্ধধর্মের 'কসাই'রূপ বলে চিহ্নিত করা ভুল।
হত্যাকান্ডকে প্রায় সবধর্ম অত্যন্ত কঠোর অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে। আর এ জন্য নানান শাস্তির বিধান করেছে, যার কোনটিই 'কল্লাকাটা'র চেয়ে 'মৃদুতর' কিছু নয়। বরং কিছু কিছু ধর্ম/উপজাতীতে তা আরও নৃশংস ক্ষেত্রবিশেষে বৈষম্যমূলক। বাংলাদেশে এটা ফাঁস দিয়ে মারা।
ফাঁস দিয়ে মারা তুলনামূলক আরামদায়ক নাকি কস্টদায়ক এটা ভুক্তভোগীই নিশ্চিৎ করে বুঝতে পারেন, তবে বলতে পারেন না!
সাধারন বিজ্ঞানের আলোকে বলতে পারি ঘাড় কর্তনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সাথে মাথার সংযোগ মূহুর্তেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে প্রায় মূহুর্তের মধ্যেই মৃত্যু হয়ে যায়। বলা যেতে পারে স্বল্পতম যন্ত্রনার মৃত্যু।
সেক্যুলার অনেক দেশেই মৃত্যুদন্ড আছে। আর কিছু কিছু দেশে জেল।
যত বছরই হোক জেল কি করে হত্যাকান্ডের ন্যায্য বিচার হতে পারে তা আমার বোধগম্য না। সেটা সমর্থকরাই বলতে পারেন।
যাহোক, আসুন সবাই ভেবেচিন্তে মত পেশ করি। ভালো থাকুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।