আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়ালটনের বিক্রয়োত্তর সেবা শুধু বিজ্ঞাপনে

দেশীয় পন্য কিনে হও ধন্য, কিন্তু এই শ্লোগানকে বিশ্বাস করে ওয়ালটনের পন্য কিনে প্রতারিত হচ্ছে গ্রাহকরা। গত ২৫ আগষ্ট ওয়ালটন কোম্পানীর টি ৭০ মডেলের একটি মোবাইল কিনেছিলেন রাজউক এভিনিউ এর এক কর্মজীবি। কিন্তু কেনার পর গত ৮ অক্টোবর মোবাইলটির টাছ ক্সিন নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবে ওয়ারেন্টি কার্ড হাতে ছোটেন বাড্ডা এলাকায়। ওয়ারেন্টি কার্ডে সেসব সার্ভিস সেন্টারের ঠিকানা রয়েছে গ/৯৫/এ, প্রগতি স্মরনী তার একটি সার্ভিস সেন্টার।

কিন্তু সেখান থেকে বলা হয় এখানে মোবাইলের কোন সার্ভিসিং করা হয় না। বলা হয় প্রধান সার্ভিসিং সেন্টার খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ায় যাওয়ার জন্য। সেখানে মোবাইলের সমস্যা বলে জমা নেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার মোবাইল নেওয়ার জন্য সেখানে গেলে তাকে জানানো হয় ঘাম ঢোকার কারনে ক্সিনটি নষ্ট হয়েছে, এটার কোন ওয়ারেন্টি বা বিক্রয়োত্তর সেবা হবে না। সার্ভিস সেন্টারের ইমরান নামের একজন কর্মকর্তা জানান যদি তাকে অনুরোধ করা হয় বা বিশেষ কোন সুবিধা প্রদান করা হয় তাহলে হয়ত ক্সিনটি পরির্বতন করে দেওয়া যাবে।

তখন কাস্টমার বলেন আপনাকে বিশেষ সুবিধা বা অনুরোধ কেন করতে হবে যদি ওয়ারেন্টি না থাকে তাহলে নিব না আর যদি ওয়ারেন্টি দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে অনুরোধ করতে হবে কেন। বিশেষ সুবিধার কথা সবার সামনে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ইমরান পরবর্তীতে ক্সিনটি ৩শ টাকার বিনিময়ে পরিবর্তন করে দেওয়া হয় এবং মোবাইলটি ফ্লাস দিয়ে গুরুত্বপূর্ন সব ষ্টোরেট ফেলা দেওয়া হয়। সাধারনত মোবাইল ফ্লাস করার আগে কাষ্টমারের অনুমতি লাগে কিন্তু ইমরান এসব অনুমতি নেয়নি। এব্যাপারে মোবাইল সার্ভিসিং ইনচার্জ সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান। এদিকে ওয়ালটন কোম্পানীর পাবলিক রিলেশন অফিসার হুমায়ন কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আপনার অভিযোগ গুলো লিখিত আকারে জমা দেন দেখি কি করা যায়।

কিন্তু এব্যাপারে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে তিনি এসব বিষয় জানাতে অপারগতা দেখান। অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি প্রচারণায় যতটা ব্যস্ত, গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে ততটা অমনোযোগী। এদিকে হটলাইনের মাধ্যমে তারা সেবা প্রদান করার কথা থাকলেও লাঞ্চ ব্রেক, সকালের নাস্তার বিরতি, বা ব্যস্ততার অজুহাতে সেখানেও সেবা নেওয়ার সুযোগ খুব কম গ্রাহকরাই পাচ্ছেন। এদিকে গতকাল খিলগাঁওয়েরর সার্ভিস সেন্টারে সকাল ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, ওয়ালটনের প্রতিটি পন্যর বিক্রোয়ত্তর সেবা পেতে প্রতিটি কাষ্টমারকে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। ঠিক সময়ে বা সঠিক সেবা পাচ্ছে না কেউই।

টেলিফোনে যেসব কাষ্টমার তাদের পন্যর সেবার ব্যাপারে অভিযোগ করছেন দীর্ঘ দিনেও তারা সে সেবাটি পাচ্ছেন না। যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তা এলাকা থেকে ফ্রিজের বিক্রোয়ত্তর সেবা নিতে গত ১৫দিন আগে অভিযোগ দিলেও গতকাল পর্যন্ত তিনি তা পাননি। এদিকে যারা মটরসাইকেলের সেবা গ্রহন করতে আসছেন তারা বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছেন। এছাড়া জেনারেটর, টেলিভিশন, ফ্রিজ সব ক্ষেত্রে একই অবস্থা। ধানমন্ডি এলাকা থেকে সার্ভিস সেন্টারে আসা তুহিন জানান, তিনি এখানে তার মোবাইলের সমস্যা নিয়ে গত ১সপ্তাহ যাবৎ ঘুরছেন কিন্তু ওয়ারেন্টি কার্ডে লেখা বিনামূল্য অনুমোদিত সেবার কথা উল্লেখ থাকলেও তিনি তা পাননি।

দেশী পন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন এভাবেই বিক্রোয়ত্তর সেবার নামে প্রতারনা শিকার হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ভুক্তভোগী ক্রেতার কাছে বিক্রয়োত্তর সেবা যেন সোনার হরিণ! প্রায় প্রতিদিন টিভি, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার কথা থাকলে বাস্তব চিত্র একেবারেই উল্টো। আর সেবা পাওয়ার আশায় বেশি অর্থ খরচ করলেও বাস্তবে প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। ভাইয়েরা ওয়ালটনের পাবলিক রিলেশন অফিসার ০১৬৭৮০২৮০২৭ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.