আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি
টেন্ডার নিয়ে দেশে একটা তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে যেভাবে ছাত্রদেরকে ফেলে দেয়া হলো এটা কোন মতেই কারো কাম্য হতে পারে না। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিকট থেকে এই জাতি অনেক কিছুই আশা করে। আমার মনে হয় কোন অবিভাবকই এই কামনা করে না যে তার সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে টেন্ডারবাজ বা চাঁদাবাজ হোক। এই টেন্ডারবাজ বা চাঁদাবাজ যাতে হতে না হয় সেই জন্য অবিভাবকেরা বাড়ি থেকে প্রতিমাসে অনেক টাকা পাঠিয়ে থাকেন।
অথচ সরকারীভাবে এই পথ বন্ধ না করার কারনে আজকে এই মেধাবী ছাত্ররা টেন্ডারের নামে এরকম খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ছেন।
এই টেন্ডার নিয়ে উত্তরবঙ্গে ঘটে গেল আর এক লোমহর্ষক ঘটনা। মিডিয়ার কল্যাণে সেই চিত্র পুরো জাতি দেখতে পেল, নিজে অপমানিত হলো আর সেই সন্ত্রাসীরা অপমানিত করলো পুরো দেশকে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে দেখলো সুখময় বাংলাদেশের দুঃখময় কাহিনী!
একজন টেন্ডার জমা দিতে আসলে আর এক টেন্ডারবাজ রাম দা নিয়ে তার পিছু ছুটছে মেরে ফেলার জন্য আর উনি জান বাজি রেখে ছুটছেন সামনের দিকে। দেখে মনে হচ্ছিল সিনেমার কোন দৃশ্য, কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই ভুল ভেঙে দিয়ে প্রমান করলো যে এটা কোন সিনেমার দৃশ্য নয় বরং নির্মম বাস্তবতা।
এত কিছু হওয়ার পরও সরকার সেই অপকর্মের কোন বিচার করলো না! বিচার না হওয়া মানেই হলো সন্ত্রাসীকে উস্কে দেওয়া, হয়েছেও তাই।
জনগন ভোট দিয়ে- তার মানে আমরা ভোট দিয়ে আমাদের প্রতিনিধিকে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছি আমাদের সুখ-দুঃখের কথা বলার জন্য। কিন্তু আমরা কি দেখলাম, দেখলাম বিরোধী দল সংসদে না গিয়ে বাহিরেই শুধু কথা বলে বেড়াচ্ছেন! বলছেন সংসদে যাবার পরিবেশ নাই, বলি কেন পরিবেশ নাই? পরিবেশ তো আপনাদেরকে আমরা- জনগনরাই করে দিয়েছি, সেখানে আবার পরিবেশ সংকট আসলো কি করে! আপনাদেরকে কথা বলতে দেয় না, তাহলে আপনারা সেখানে মাইক ছাড়াই চিল্লাতে থাকেন, না হয় ওয়াক আউট করেন, দেখবেন তারপর এমনিতেই একসময় মাইক দিতে বাধ্য হবে।
শুধু বিরোধী দলকে বলছি কেন। সরকারী দলেরও তো একই অবস্থা।
আমরা জনগনেরা ভোট দিয়ে সরকার গঠন করার মত অবস্থা সৃষ্টি করে দিয়েছি যেই দলকে সেই দলের সদস্যরাও সংসদে উপস্থিত হতে চান না। সংসদের বেচারা সভাপতি কোরাম সংকটের কারনে নির্দিষ্ট সময়ে সংসদের কাজ শুরু করতে পারেন না! মাঝে মাঝে সভাপতি মহোদয় রাগ হন ঠিকই কিন্তু রাগ করে লাভ কি, যাদের উপর রাগ করছেন তারা তো সেই রাগ করাটা বুঝতেই চাচ্ছেন না।
যদিওবা আমরা ঘটনাচক্রে সরকার ও বিরোধী দলকে একই সময়ে সংসদে দেখি কিন্তু,সেখানে আর এক কান্ড দেখা যায়। আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয় এটা সংসদ নাকি ঝগড়ার বাজার। যেখানে দাড়িয়ে সংসদ সদস্যরা আমাদের কথা বলবেন সেখানে আমাদের কথা বাদ দিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া সত্যিই দুঃখজনক।
এরপরও আমাদের কথা যতটুকুই বলেন তার চেয়ে নিজেদের নেতা -নেত্রীদের স্তুতি গাইতেই বেশি সময় ব্যয় করেন। আমাদেরকে আমাদের সংসদ সদস্যরা সবসময়েই মনে হয় বোকা ভেবেই এই কাজ করে থাকেন, নয়তো নিজের বেলায় শতভাগ আর জনগনের বেলায় ভাগ ভাগ এটা হবে কেন! অথচ আমরাই তাঁদেরকে ভোট দিয়ে আমাদের মাথার উপর বসালাম আর আমরা পাবলিকরা জনগনই থেকে গেলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।