পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ বেশ কয়েকদিন যাবত সবাই বেশ ব্যাস্ত সউদিআরবের আইন প্রয়োগের ধরন নিয়ে। একটি ঘটনার যে অনেক গুলো দিক থাকতে পারে এবং অনেকগুলো শিক্ষা থাকতে পারে সেটা সবাই ভুলেই গিয়েছে।
গতকাল থেকে আমার মাথায় অন্য একটি বিষয় বেশ ঘুর পাক খাচ্ছে। আর সেই বিষয়টি হলো যেই মিসরিয়কে বাংলাদেশিরা হত্যা করেছিল।
আমরা সবাই জানি যে, উক্ত মিসরি ব্যাক্তি সৌদিআরবের একটি কম্পানিতে গার্ডের কাজ করত। তার মানে, তার পারিবারিক অবস্থা মোটেও সচ্ছল ছিল না।
এবার, খুন হয়ে যাবার পর সে তো আর ফিরে আসবে না। তাহলে তার ফ্যামিলি অবশ্যই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। এবং তাদের ভবিষ্যতে আর্থিক সংকটে পরতে হবে।
২য়ত, অপরাধিকে ফাশিঁ দিলেও তাদের নিহত ব্যাক্তি ফিরে আসবে না, তাদের আর্থিক সমস্যার সমাধানও হবে না।
এবার আসুন শরিয়া আইনে।
হত্যাকারি নিশ্চিত হয়ে পরলে তার মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে হবে, যদি না নিহত ব্যাক্তির আপনজন তাকে ক্ষমা করে, হোক সেটা টাকার বিনিময়ে। তার মানে, নিহতের পরিবার হত্যাকারিদের থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করতে পারবে।
এবার আসুন আসামীদের বিষয়ে:
মোট ১১জন আসামি।
৮জন সরাসরি সংযুক্ত থাকায় মৃত্যু দন্ড, বাকি তিনজনের জেল। এখন মৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত ৮ জনের প্রত্যেকেই তাদের জীবন ফিরে পাবার জন্য বিনা সংকোচে ৫ লক্ষ করে টাকা দিতে রাজি হতো। তাহলে মিসরি পরিবার যদি চাইত তবে তারা মৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত ৮জনের নিকট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পেতে পারত। যাতে হয়ত ঐ গড়িব মানুষের পরিবারটি ভাবিষ্যত জিবনের অনেকগুলো বছর ভাল ভাবেই পার করে দিতে পারত। কিন্তু তারা তাতে রাজি হয় নি।
এ থেকে আমরা কি শিক্ষা পাই???
গড়িব একটি পরিবার আর্থিক বিপদের সম্মুখিন হয়েও চল্লিশ লক্ষ টাকার চেয়ে আটজন মুসলমানের জিবনকে তুচ্ছ মনে করল। তাহলে তারা কত বড় হিট পেয়েছে নিজের আপনজন হারিয়ে। এই জন্যই বলা হয় জীব হত্যা মহা পাপ, আর মানুষতো আশরাফুল মাখলুকাত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।