mamun.press@gmail.com তৃতীয় দফায় চাকরি হারাচ্ছেন বিবিসি’র আরো দুই হাজার সংবাদকর্মী। তহবিল সংকট মোকাবেলায় বিশ শতাংশ বাজেট কর্তনের উদ্যোগ নেয়ায় আগামী পাঁচ বছরে এসব কর্মীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যমান কোনো চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া না হলেও একই কারণে একীভূত করা হচ্ছে টেলিভিশন ও রেডিও কর্মীদের। এছাড়াও যারা থেকে যাচ্ছেন বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের কাজের পরিমাণ।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় আঘাতটি এসেছে রেডিও ফাইভ লাইভের ওপর।
রেডিও ফাইভ লাইভের পাশাপাশি সপ্তাহ শেষে বিবিসি ওয়ানের ব্রেকফাস্ট নিউজ হোস্টের দায়িত্বটিও চাপানো হয়েছে এর অন্যতম হোস্ট টনি লিভসের ওপর।
একই সাথে ম্যানচেস্টারে নতুন প্রোডাকশন ইউনিটে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ব্রেকফাস্ট নিউজ ও রেডিও ফাইভের কার্যক্রম। এমনকি পশ্চিম লন্ডনের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বিবিসি কার্যালয়টিও।
এছাড়াও লন্ডনের টিভি সেন্টার ও পাশ্ববর্তী হোয়াইট সিটি ভবনটিও বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বিবিসি। ফুটবল ক্লাব চেলসি ও কিউপিআর কিনে নিচ্ছে ভবন দুটি।
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বার্মিংহামে বিবিসি’র ফ্যাকচুয়াল বেসটিও।
এদিকে ১৫ শতাংশ ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বিবিসি’র স্পোর্টস প্রোগ্রামের জন্য। বিবিসি ওয়ানের ব্যায় বাজেট তিন শতাংশ কমানো হলেও বাড়ানো হচ্ছে কমেডি এবং নাটক তৈরি খাতে।
বৃহস্পতিবার বিবিসির চেয়ারম্যান লর্ড প্যাটেন ও মহাপরিচালক মার্ক থমসন জরুরি স্ট্যাফ মিটিংয়ে এসব কথা জানান। তবে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া।
এবারের তালিকায় বিবিসি’র উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এর আগেও তহবিল সংকটে পড়ে বিবিসি দুইবার কর্মী ছাঁটাই করে। এর মধ্যে ২০০৫ সালে তিন হাজার ৭০০ এবং ২০০৭ সালে দুই হাজার ৮০০ জন। তবে ছাঁটাই হওযা কর্মীদের মধ্যে কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নেই। দুই দফা ছাঁটাইয়ের পর বিবিসি’র মোট কর্মী সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার।
-বার্তা২৪ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।