অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!
ইউটিউবে শ্রেয়ার গান আর কীবোর্ডে উদ্যোক্তা হাটের গল্প। গতকাল ৩ অক্টোবর বিকেলে বেসিসে ছিল উদ্যোক্তা হাটের প্রেস কনফারেন্স। ভাল হয়েছে। শেষ মূহুর্তে বিডিভেঞ্চারের শওকত ভাইও এসে যোগ দেন।
উদ্যোক্তা হাট একটি নতুন জিনিষ, তবে আইডিয়া অনেক পুরাতন। সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি বাংলাদেশে উদ্যোক্তা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি অবদান আমাদের গ্রামীণ হাটবাজারের। এই হাটগুলো প্রতিবছর দেশে প্রায় ৫০ হাজার উদ্যোক্তা তৈরি করে। যুগ যুগ ধরে তারা সেটি করে আসছে।
মে মাসে চট্টগ্রামে হয়ে যাওয়া উদ্যোক্তা উৎসবের পর সেটা থেকে ছোট আয়োজনের জন্য আমি একটা নামের কথা ভাবছিলাম যেটা কীনা কেবল মেলা নয়।
এবং আমার মনে হয়েছে হাট হলেই সবচেয়ে ভাল হয়। এতে ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান যেমন দেখানো যাবে তেমনি হাটের ব্যাপারটাও ধরা যাবে।
উদ্যোক্তা হাট আসলে চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব গ্রুপের নতুন উদ্যোগ। পরীক্ষামূলকও। ছোট আকারে একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে কয়েকজন উদ্যোক্তা একত্রিত হয়ে তাদের পণ্য বা সেবার পসরা সাজিয়ে বসতে পারবে।
সেগুলো তারা বিক্রিও করবে। তবে, বিক্রিটাই একমাত্র উদ্দেশ্য নয় যেমনটি নয় আমাদের গ্রামীণ হাটে। ক্রেতা বিক্রেতা সেখানে শুধু সদাই করতে যান না। যান খবরের জন্য, কুশলাদি জানা ও জানানোর জন্য, নিজেদের নেটওয়ার্ক বড় করার জন্য। তেমনি উদ্যোক্তা হাটের উদ্যোক্তা এবং দর্শকরাও সেখানে কেবল বেচা-বিক্রির জন্যই যাবেন না।
বরং যাবেন খোঁজ খবর নিতে, উৎসাহ দিতে। কেও হয়তো নতুন অনুপ্রেরণা পাবেন, কেও দেবেন। নেটওয়ার্কিং হবে ভেঞ্চার কোম্পানি বা আইপি টেলিফোনির সঙ্গে। ই-কমার্সের উদ্যোক্তারা হয়তো খুঁজে পাবে তাদের কাঙ্খিত কুরিয়ার কোম্পানি।
শওকত ভাই বইমেলার কথা তুললেন প্রেস কনফারেন্সে।
তিনি বিশ্বাস করেন একদিন বইমেলার মত উদ্যোক্তা হাটও বিকশিত হবে। ই-কমার্স, ইন্টারনেটের সঙ্গে এই হাটে মিলন হবে মুড়ি-মুড়কির আর সালোয়ার কামিজের, জুয়েলারির সঙ্গে আসবাবের সর্বোপরি অনুপ্রেরণার সঙ্গে উৎসাহের, ভালবাসার সঙ্গে দায়িত্বের এবং চাকরি না খুঁজে চাকরি দেওয়ার!
উদ্যোক্তা হাটের জয় হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।