আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শরীর নামের ইন্জিন

রাজনীতি করিনা কথায় বলে, শরীরের নাম মহাশয়, যা বলি তা-ই সয়। মানবশরীর যে আসলেই এক বিচিত্র ক্ষেত্র, এ সম্পর্কে কারও কোনো সন্দেহ নেই। কত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আর কাণ্ডকারখানার তোড়জোড় যে মানবদেহের সর্বত্র সচল আছে, বলে তা শেষও করা যাবে না। মানবদেহে আছে ২০৬টি হাড়, ৬৫০টি মাংসপেশি, ১০০টি গ্রন্থি, ১৩শ' কোটি স্নায়ুকোষ। রক্ত চলাচলের জন্য মানবদেহে যত শিরা-উপশিরা আছে, তার সব জোড়া দিলে দৈর্ঘ্য হবে এক লাখ কিলোমিটার! তবে দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মস্তিষ্ক বা মগজ।

এর ওজন পুরো দেহের শতভাগের তিন ভাগ। মগজকে সচল রাখতে প্রচুর রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। প্রতি মিনিটে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন হয় ৩৫০ মিলিলিটার! সাধারণত মস্তিষ্কের মাধ্যমেই পুরো শরীরের সব ধরনের কাজকর্ম পরিচালিত হয়। মানুষের চোখ বা অক্ষিগোলকের ছয় ভাগের পাঁচ ভাগ থাকে ভেতরে। বাকি অংশ থাকে উন্মুক্ত।

চোখের আকার অনুযায়ী আমাদের সবকিছু উল্টো দেখার কথা। কিন্তু মগজের সৌজন্যে আমরা দৃশ্যগুলো সোজাই দেখতে পাই। মানবদেহে সবচেয়ে গতিশীল, অর্থাৎ দৌড়াদৌড়ি করে রক্তকণিকাগুলো। মানবদেহে রক্তের পরিমাণের গড়_ পুরুষের দেহে ৫.৫ আর নারী দেহে ৪.৫ লিটার। রক্তে সাধারণত দুই ধরনের কণিকা থাকে।

লোহিত ও শ্বেতকণিকা। রক্তে লোহিত ও শ্বেত কণিকার অনুপাত ৫০০ : ১। লোহিত কণিকাগুলো বেঁচে থাকে চার মাস পর্যন্ত। মাত্র এক ফোঁটা রক্তে ১০০ মিলিয়ন লোহিত কণিকা থাকতে পারে। রক্ত কণিকাগুলো ব্যস্তভাবে সারা দেহে প্রয়োজন অনুসারে ছোটাছুটি করতে থাকে।

মানবদেহে রক্ত সঞ্চালন ৫ মিনিট বন্ধ থাকলেই মানুষের মৃত্যু ঘটবে। বুকের বাম পাশে ধুকপুক করে যে হৃৎপিণ্ড, সেটাও রক্ত নিয়ে অনেক কারবার করে। গড়পড়তা সারাজীবনে মানুষের হৃদযন্ত্র প্রায় ২০০ কোটিবার স্পন্দিত হয়। এ সময় মোট ৫০ কোটি লিটার রক্ত পাম্প করে তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে দেয়। মানবদেহে দুটি কিডনি আছে।

এরাও রক্ত পরিশোধনের কাজ করে। কিডনি দুটি প্রতি মিনিটে ১.৩ লিটার রক্ত ছাঁকে, সে সঙ্গে বর্জ্য পানি বের করে দেয়। কিডনিতে অসংখ্য ছোট আকারের সরু নল রয়েছে। এগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা জোড়া দিলে দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪০ মাইল। মানবদেহে দৈনিক পাঁচ লিটার পানির প্রয়োজন হয়।

দেহ থেকে গড়পড়তা প্রতিদিন ২.৩ লিটার পানি বের হয়ে যায়। তাই সাম্যতা রাখতে বেশি করে পানি পান করা উচিত। মানবদেহের আরেকটি বিস্ময়কর অঙ্গ হলো পাকস্থলী। এখানে প্রতি মিনিটে তৈরি হয় পাঁচ হাজার কোষ। এটি খাদ্য পরিপাকে শরীরের শক্তি সরবরাহে সাহায্য করে।

দেহের এত কলকব্জা ভালোভাবে কাজ করলেই শরীর ভালো থাকে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।