সত্য সব সময়ই সত্য
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেয়েও তাদের এদেশীয় দোসর জামায়াতে ইসলামী বেশি হিংস্র ছিল। সে সময় জামায়াতের সৃষ্ট আলবদর ও আলশামস বাহিনী বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোকদের ওপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়।
অবশেষে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক এ পদক্ষেপ নিতে তাদের ৪০ বছর সময় লেগেছে। প্রশ্ন হলো, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় জামায়াতের ভূমিকা কী ছিল?
পাকিস্তানের লাহোর থেকে প্রকাশিত ইংরেজি জাতীয় দৈনিক টাইমস বুধবার তাদের সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করেছে।
'ক্লোজিং ওল্ড উন্ডস' (পুরনো ক্ষতের অবসান) শিরোনামে প্রকাশিত ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, অবশেষে বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ৩০ লাখ মানুষ হত্যার তদন্ত ও যুদ্ধাপরাধের মূলহোতাদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার সাংবিধানিক উপায়ে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। এ ট্রাইব্যুনাল প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অপরাধে অভিযোগ গঠন করেছেন। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ আনা হয়েছে সাঈদীর বিরুদ্ধে।
সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমনটা ধারণা করা হচ্ছিল, সাঈদী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং জামায়াতের সমর্থকরা এর প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
ডেইলি টাইমসের ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, এ মামলার রায় হতে কয়েক মাস লাগতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এর মাধ্যমে ১৯৭১ সালে দেশটির জাতীয়তাবাদী যুদ্ধে যারা ভুক্তভোগী তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
১৯৭১ সালে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভিযানে সহায়তা ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তারা আলবদর ও আলশামস নামে আধাসামরিক বাহিনী গঠন করেছিল। এ বাহিনী বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোকদের গণহত্যায় ভূমিকা রেখেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী যতটা না হিংস্র ছিল, এ উগ্র গোষ্ঠীটি গণহত্যায় তাদের চেয়ে বেশি আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেছে।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।