চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি সৌদি আরবে মুসলিম শরিয়ত আইন মেনে আট বাংলাদেশির প্রকাশ্য নৃশংস হত্যার পর ব্লগে স্বাভাবিকভাবেই শরিয়ত ইসলাম সেক্যুলারইজম আস্তিক নাস্তিক নিয়ে বিতর্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাতে নিজের মতামত জানাতে চেয়ে এই পোষ্ট।
ধর্ম ব্যক্তিগত পালনের বিষয় হিসেবে ঠিক আছে, কিন্তু যখনই রাষ্ট্রযন্ত্র ও ধর্মের মেলবন্ধন ঘটে যায়, তখন সেটা বিষময় ভয়ংকর চেহারা নেয়। আমি ইসলাম বিষয়ে খুব অভিজ্ঞ নই। কিন্তু ইসলাম এর দাবী সে শুধু ধর্ম নয়, একটা ব্যবস্থা।
দেওয়ালে প্রচারকদের লেখা দেখি -'ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থা আল্লাহর মনোমত নয়'। তাই অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইসলামিক রাষ্ট্রর পক্ষে কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে আমার ব্যক্তিগত অবস্থান হলো রাষ্ট্র হবে সেক্যুলার, সে রাষ্ট্রীয় সব ধরণের কার্যকলাপকে ধর্মের আওতার বাইরে রাখবে, আইন ইত্যাদি তো বলাই বাহুল্য। ধর্ম পালনের অধিকার নাগরিককে দেবে,সংখ্যালঘুর অধিকার বিশেষভাবে রক্ষা করব্ তবে ধর্মকে তোয়াজ করে রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপ চালাবে না। (যদিও আমার পছন্দের সোভিয়েত রাষ্ট্র, চীন রাষ্ট্র তা স্বীকার করবে না, আমি চাই না আধুনিক পৃথিবীতে ধর্ম থাকুক, তার কোনও অস্তিত্ত্ব থাকুক।
কিন্তু যেহেতু সংখ্যাগুরু মানুষ এখনও কোনও কোনও না কোন ধর্মে আস্থাশীল, আমাদের মত নাস্তিকেরা ভীষণ সংখ্যালঘু, তাই গণতন্ত্রহেতু ধর্মপালনের অধিকারের কথা)।
সমাজতান্ত্রিক শিবিরের পিছু হঠার পর, ইসলাম নিয়ে আমেরিকা ও জেহাদীদের আশ্চর্য যুদ্ধ ও ছায়াযুদ্ধের পর, ধর্মমুক্ত পৃথিবীর ছবিটা, আধুনিক পৃথিবীতে ধর্মের অকিঞ্চিৎকর চেহারার কথাটা অনেক পিছিয়ে গেছে। ধর্ম, তাকে নয়ে বিতর্ক, উন্মাদনা আবার অনেক সামনে চলে এসেছে। এটা বিশেষভাবে বিচলিত করে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।