দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবনটাই বদলে যাবে। মাত্র সাত বছর বয়সে যে মেয়েটি অভিবাসী হয়ে পাড়ি জমিয়েছিল ব্রিটেনে। সেই মেয়েটি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের কণ্ঠ হয়ে মুক্তির পথ দেখাচ্ছে। জন্মস্থানের মাটির গন্ধ তাকে বার বার টেনে আনে বাংলাদেশে।
শুধু তাই নয় নিজ ভূমি সিলেটে এসে তিনি সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তৃতাও দেন।
হাউজ অব কমনসে তিনিই প্রথমবারের মতো বাঙালি এমপি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় সহযোগিতার জন্য বিশ্বশক্তির কাছে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করবেন রুশনারা। তিনি চাপ সৃষ্টি করবেন ব্রিটেনে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
জীবনযাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখতে তিন এখন চষে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ। সিলেটে অক্সফাম আয়োজিত এসংক্রান্ত মাঠ পর্যায়ের পরিদর্শনে রয়েছেন তিনি।
সেখানে শুনবেন দরিদ্র মানুষের কথা। এরপর তা তুলে ধরবেন বিশ্ব দরবারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি বাংলাদেশের হয়ে আওয়াজ তুলবেন। ‘কিপ দ্য প্রমিজ’ নামে ক্যাম্পেইন করবেন।
রুশনারা আলী বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বাউ আসন থেকে ২০১০ সালের মে মাসে হাউস অব কমনসের সদস্য নির্বাচিত হন।
হাউজ অব কমনসে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। একই বছর অক্টোবরে তিনি তার নিজ দল থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী মনোনীত হন।
তিনি এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বাণিজ্য এবং বেসরকারি খাত বিষয়ে লেবার পার্টির মুখপাত্র। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে রুশনারা আলী ইয়াং ফাউন্ডেশনের সহযোগী পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
২০০২-০৫ মাল পর্যন্ত তিনি ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কমিউনিটি ডিরেক্টরেটে কাজ করেন এবং উত্তর ইংল্যান্ডে একটি কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন।
রুশনারা ২০০০-০১ সালে ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ দপ্তরে মানবাধিকার কর্মী, ১৯৯৯-২০০০ সালে ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক পলিসি রিসার্চে গবেষণা সহযোগী এবং ১৯৯৭-১৯৯৯ সালে তার বর্তমান আসনের এমপি উনা কিংয়ের সংসদীয় সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
রুশনার আলী কর্মজীবন শুরু করেন টাওয়ার হ্যামলেট ইউনির্ভাসিটি প্রতিষ্ঠা প্রকল্পে গবেষণা সহকারী হিসেবে।
তিনি অক্সর্ফোড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জনস কলেজে দর্শন রাজনীতি ও অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার আগে টাওয়ার হ্যামলেট কলেজ ও মালবেরি গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করেন।
রুশনারার জন্ম ১৯৭৫ সালে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ভুরুক গ্রামে।
সাত বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে লন্ডন অভিবাসী হন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।