আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জানোয়ার লীগ ও কুত্তালীগ আচরণ.................

আ. লীগের কর্মীসভায় আটকে গেলো বাবুর স্মরণসভা নাটোর, অক্টোবর ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ হঠাৎ করে একই মাঠে কর্মী সভা ডাকায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভা করতে পারেনি বিএনপি। পুলিশ বলছে, একই স্থানে দুই দল সভা ডাকায় কাউকেই অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি। বনপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুকে গত বছর ৭ অক্টোবর প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে বড়াইগ্রাম পৌরমাঠে স্মরণসভার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। পৌর কর্তৃপক্ষও তাতে অনুমোদন দেয়।

এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়, মাঠে তৈরি হয় মঞ্চ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ সেখানে কর্মীসভার ডাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার পক্ষ থেকে বিএনপিকে স্মরণসভা করতে নিষেধ করা হয় বলে অভিযোগ করেন দলটির নেতারা। তা উপেক্ষা করে শুক্রবার দুপুর থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মাঠে জড়ো হতে থাকলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরাও মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান নেয়।

পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম মুক্তা ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন পুলিশের বাধা পেরিয়ে মাঠে ঢুকে মঞ্চে অবস্থান নিলেও পুলিশ তাদের মাইক লাগাতে দেয়নি। বিপুল সংখ্যক পুলিশ স্মরণসভার মঞ্চ ঘিরে রাখে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপার কয়েকবার আশ্বাস দিলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মাঠে তাদের দেখা মেলেনি। অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম মুক্তা সাংবাদিকদের বলেন, "আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাবুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের কাছে বনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বাবুর স্মরণসভা করার অনুমতি না পেয়ে আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পৌর মাঠে সভা করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।

কিন্তু আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের সভা ভণ্ডুল করলো। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে। " এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, "দলীয় সিদ্ধান্তে পৌর মাঠে আমাদের কর্মী সভা ডাকা হয়েছে। বিএনপি ইচ্ছা করলে অন্য কোথাও সভা করতে পারতো। " বড়াইগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা কাউকেই সভা করতে নিষেধ করিনি।

তবে একই স্থানে দুই দল সভা ডাকায় আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। " দুই পক্ষকে সমঝোতায় আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়েছে উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, "আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে একই জায়গায় একই সময় আমরা দুই দলকে সভা করতে দিতে পারি না। " অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার নাসিরুল ইসলাম বলেন, "স্মরণসভা করতে দিতে না পারায় আমরা সত্যিই দুঃখিত। তবে এ ছাড়া আমাদের বিকল্প ছিল না। " নিহত বাবুর স্ত্রী মহুয়া নূর বলেন, আওয়ামী লীগ বাবুর জনপ্রিয়তাকে এতোটাই ভয় পায় যে, তার স্মরণসভাও করতে দিতে সাহস পায়নি।

"তারা নিলর্জ্জভাবে স্মরণসভা পণ্ড করেছে। তারা আমার স্বামীর হত্যাকারী। " এক বছর পার হলেও পুলিশ বাবু হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এএইচ/জেকে/১৯৫৯ ঘ.  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।